কেমনে কি? আবালের দেশে আমরা সবাই আবাল। জঙ্গি দমনের নামে সরকার যা করতাছে তা মাইনা নেওন যায় না। শিশুতোষ ভুতপুর্ব প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দায়িত্ব নিয়ে বলেছেন জেলখানায় নাপিতের দোকান না থাকায় কয়েদিদের দাড়িমোছ স্বাভাবিক ভাবেই বড় হয়ে যায় আর শেখ হাসিনার সরকার ঐসব দাড়িমোছ ওয়ালা কয়েদিদের ক্রসফায়ারে হত্যা করে জঙ্গি দমনের নাটক করে যাচ্ছে। এই রকম ঘোরতর অভিযোগে সেলুকাস পুর্নজন্ম প্রাপ্ত হইয়া বিস্ময়ে মর্তে নামিয়া আসিয়াছেন। এখন উপায়। এভাবে মুনষ্য হত্যা চলিতে থাকিলে তো বাংলাদেশে অচিরেই মানুষের আকাল পড়িয়া যাইবে। সেলুকাস তো চিন্তায় চিন্তায় অস্থির হইয়া রাস্তায় রাস্তায় ছুটাছুটি করিতেছে। আবাল জনগনের দিব্য দৃস্টি নাই বলিয়া রক্ষা, তাহারা কিছু দেখিতে পারিতেছে না, তাই বুঝিতেছেও না। দেশ কতাটা শংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়া অতিক্রম করিতেছে। শেখ হাসিনার জালিম সরকার যাহাই করুক না কেন জজমিয়ার ঘটনা ঘটাইয়া যিনি বিশ্ব বিখ্যাত হইয়াছেন সেই উজ্জল জোতিস্ক বেগম খালেদা জিয়ার তো কিছুই অজানা থাকার কথা নহে। তিনি সবই জানেন এবং বোঝেন। মানি লন্ডারিং ও যাবতীয় চোর্যবৃত্তি থেকে সবার দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে দেয়ার জন্যই এই সকল নাটকের উৎপত্তিহেতু । বিএনপি নাকি উঠিয়া দাড়াইয়াছে। আস্তে আস্তে হাটিবে, দৌড়াইবে কিন্তু অলম্পিকে অংশগ্রহন করিতে পারিবে না। তাই ব্রাজিল অলাম্পিকে বিএনপি নাই। বিরোধী দলেও নাই। দেশে এখন গৃহপলিত বিরোধী দলের চর্চা চলিতেছে। যাহা কল্যাণকামী রাষ্ট্রের জন্য মোটেও মঙ্গলজনক নয়। তাই বিএনপি খুদ্র খুদ্র গৃহ রাষ্ট্রের সঙ্গায় নিজেদের সঙ্গায়িত করিয়া নিজ নিজ গৃহের শাসনভার গ্রহন করিয়া সুখ নিদ্রায় ভাতঘুমের প্রাকটিস করিতেছে। সেলুকাস এই সব দেখিয়া বড়ই পরিতাপের সাথে আবার শেষ নিম্বাস ত্যাগ করিয়া ধরাধাম ত্যাগ করিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০