[শর্ত: Nuke আক্রমনে ভারত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও বাংলাদেশ টিকে থাকবে]
বৃটিশরা একের পর এক রাষ্ট্রে উপনিবেশ স্থাপন করে যাচ্ছিল, আর নিশ্চিত করছিল মার্কেটের বিস্তার, কাচাঁমালের ও মানবদাসের সরবরাহ। ততদিনে ইউরোপের অন্য দেশগুলোতেও ছোঁয়া লেগেছিল শিল্প বিপ্লবের। নিজ নিজ রাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি সচল রাখতে বৃটিশ মনোপলি-তে আক্রমন করা ছাড়া ১ম বিশ্বযুদ্ধের কোন বিকল্প ছিল না। যে কোন যুদ্ধ থেকে একপক্ষ সব সময়ই লাভবান হবে- জানা কথা। বৃটিশদের ভাংগনের শুরু মানেই অন্য দেশগুলোর জন্য বাজারের বিস্তার বৃদ্ধি।
২য় বিশ্বযুদ্ধের মোটিভ মূলতঃ ১ম বিশ্বযুদ্ধের অনুরূপই: প্রবৃদ্ধি এবং বাজার বিস্তার। কিন্তু ২য় বিশ্বযুদ্ধের ফসল পুরোপুরি নিজেদের ঘরে তুলতে পেরেছিল আমেরিকানরা। মূলতঃ ভৌগলিক অবষ্থান এবং কৌশলগত নিয়ন্ত্রন আমেরিকানদের কপাল খুলে দেয়। যুদ্ধ শেষে সাহায্যের আড়ালে ইউরোপ দখল এবং পৃথিবীবাসীকে গনতন্ত্রের ট্যাবলেট খাইয়ে এখন পর্যন্ত আমেরিকা পৃথিবীর রাজা।
দু'টো বিশ্বযুদ্ধই হয়েছে মুলতঃ ব্যবসায়ীদের গ্রীন সিগন্যল থেকে এবং যুদ্ধ পরবর্তি সুবিধা অর্জন করেছে ব্যবসায়ীরা।
এবার শিরোনামের ব্যাপারে আসা যাক্। বাংলাদেশে কি এমন কোন ব্যবসায়ী গোষ্ঠী আছে যারা যুদ্ধের পরের আম কুড়াতে বিশ্ব চষে বেড়াবে? আমার উত্তর হলো: আছে।
লেখার একেবারে শেষ দিকে তারা আসবে।
বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দার চিপা দিয়ে যে লাভ এসেছে, তা হলো "স্বপ্ন"। আমেরিকান পুজিবাদের মনোপলিতে ভাগ বসানোর স্বপ্ন। যার ফলশ্রুতিতে উথ্থান ঘটবে চীন, রাশিয়া, ভেনিজুয়েলা, বলিভিয়া, ইরান নামক ইস্যু নেটওয়ার্কের। আমেরিকার গলাবাজী কমে আসবে।
৩য় বিশ্বযুদ্ধের শুরু করবে ঈজরায়েল। কারন বর্তমান প্রেক্ষাপটে অন্য রাষ্ট্রগুলোর শক্তিকে অবজ্ঞা করার মতো একমাত্র নির্বোধ এই একটি দেশই আছে- যাদের ধ্বংস হওয়ার কিছু নেই এবং চরমভাবে আগ্রসী মনোভাবাপন্ন শক্তিশালী জাতি। স্বয়ং আমেরিকা এই মাথা খারাপ কুকুরকে থামাতে পারবে না, উল্টো যুদ্ধে জড়াতে বাধ্য হবে। সেই সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে ইরানের ইস্যু নেটওয়ার্কটি।
তো বাংলাদেশ কিভাবে যুদ্ধের পর ফায়দা লুটবে? ৩য় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো ক্ষমতার পূর্ণ প্রয়োগ দেখাবে। ফলশ্রুতিতে মানুষ আদিম গরিবীযুগে ফিরে যাবে। আমরাই একমাত্র জাতি যারা জানি, বিলুপ্তির পরও গরিবদের কিছু থাকে এবং তাদের দ্বারা পূর্ণমাত্রায় ক্যাপিটালিজম প্রতিষ্ঠা করা সন্ভব। .... [এই পর্যন্ত এসে সবাই গল্পের ভাব বুঝে যাওয়ার কথা। যারা বুঝেন নি, তাদের জন্য নিচের অংশটুকু।]
মৃতপ্রায় গরীব-ও যে সোনা ফলাতে পারে এই তত্ব দিয়ে আমরা নোবেল প্রাইজ জিতে এনেছি। গরিবী ফলাও তত্বের জনক আমরাই। শুধু তত্ব কথাই নয়, কথাকে কাজে প্রমান করে আমাদের গরীবচোষক সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পরিসরে সফলতার সাথে তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমাদের আছে ইউনুছ ভাই, আর আছে BRAC - ব্যবসা বৃদ্ধির অন্যতম শর্ত প্রতিযোগিতায় তারা পরস্পরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টায়। তো ৩য় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউনুছ ভাইকে আমরা পশ্চিমে, আর BRAC কে পূবে পাঠিয়ে দিতে পারি। তাদের মিলিত প্রয়াস পৃথিবীব্যাপি তাবৎ গরীবদের চুষে বাংলাদেশের একাউন্টে সোনা ফলাবে। অর্থনীতিতে একটি তত্ব আছে- চুঁয়ে চুঁয়ে পড়া তত্ব (Trickle Down Effect)। উনারা আমাদের কিছু দিতে না চাইলেও উনাদের বগল থেকে যা চুঁয়ে চুঁয়ে পড়বে তাতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হবে হাজার বছরের জন্য। আমি অবশ্য অস্ট্রেলিয়ায় তাদের কাউকেই পাঠাতে চাই না। ঐ বিশেষ জন-বিচ্ছিন্ন অঞ্চলটি আমি জামাত-কে নির্বাসনে পাঠানোর জন্য রেখেছি- কারণ ঘাড়ে আস্ত চোষক রেখে আমি দুনিয়া চোষার মাস্টারপ্ল্যান করতে পারি না।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




