ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের আইস বাকেট চ্যালেন্জ ঘোষণা করার পর- বিভিন্নজনের প্রতিক্রিয়া অথবা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের আইস বাকেট চ্যালেন্জ ঘোষণা করার পর- বিভিন্নজনের প্রতিক্রিয়া অথবা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
নারীবাদি তাসলিমাঃ জুকারবার্গ খোলা মাঠের মাঝখানে যে ভাবে মাথার ওপর ঠান্ডা পানি ঢাললো, কোনো মেয়ে যদি সেই একই কাজটি করতো তাহলে পুরো বিশ্বেই ছিঃ ছিঃ পড়ে যেতো। পুরুষ তোরা পারিসও বটে। (এবার মনে মনে- ভেজা টি শার্টে ইস বিদেশী ছেলেটা কি হ্যান্ডসাম,দেশের পুলাপানগুলো ম্যান্দামার্কা)
সন্দেহবাদী বন্ধুঃ মানুষ এটা নিয়ে খামোখা চিল্লা পাল্লা ক্যামনে করে। আর বালতির ভিতর আইস যে ঠান্ডা ছিলো এর কোনো প্রমাণ আছে কি? কাউকে তো ছুঁয়ে পরীক্ষা করতে দেখলাম না। আইসের টুকরাগুলো প্লাস্টিকেরতো হতে পারে।
লাইক শিকারী ফেসবুক পাতাঃ যার জন্য আপনি আজকে ফেসবুক ব্যবহার করছেন-সেই জুকার বার্গ এরকম একটা কাজ করলেন। এই নীল বালতির জন্য ঘন্টায় মিলিয়ন লাইক চাই।
অতি মানবতাবাদীঃ লক্ষ লক্ষ মানুষ পৃথিবীতে না খেয়ে আছে আর উনি মাথার ওপর আইস ঢেলে ডলার দিয়ে চ্যালেন্জ করছেন। নিরণ্ন, বস্ত্রহীন মানুষের দুঃখ তোরা বুঝবিনা।
তাৎক্ষণিক ফতোয়াঃ যেকোন রকমের বাজি ধরা হারাম। এটা মাথায় আইস ঢেলে হোক আর আইস খেয়ে হোক। হারাম, হারাম, হারাম।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক বন্ধুঃ পুঁজিবাদী আমেরিকার নতুন পুতুল মার্ক জুকারবার্গ ইসরাইল, গাজা, রাশিয়া, ইউক্রেন ইত্যাদি থেকে মানুষের দৃষ্টি ভিন্নদিকে ঘুরাবার জন্য এটা একটা নতুন চাল। আর কিছু নয়।
ক্ষ্যাপা বন্ধুঃ বালতি ভর্তি আইস তোর মাথায় ঢাল অথবা তুই উপতা অইয়া আইসের ভিতরে হুইয়া থাক-এটা নিয়ে এতো চিল্লা পাল্লার কি?
আলোচিত মডেল নায়লাঃ ইস মার্ক জুকারবার্গকে কোলে নিয়ে থুক্কু ঐ বালটি খানা কোলে নিয়ে যদি একটা পোজ মারতে পারতাম।
বউয়ের ফেসবুক আসক্তি নিয়ে অতিষ্ট স্বামীঃ আমার বউয়ের খোমা আর ফেসবুক-চুলকানি আর মলমের মতো একটা ছাড়া অন্যটা চলেনা। শালা কি যে এক জিনিস পয়দা করলি। তোরে যদি কাছে পাইতাম তবে এই বালটি দিয়ে তোর মাথায় দুয়েকখান বাড়ি দিয়ে মনের জ্বালা মিটাইতাম।
অতি আহলাদি প্রেমিকাঃ ওগো দেখেছো। ছেলেটা কি স্মার্ট। ওর বালতিটাও কি হ্যান্ডসাম। তোমাকে বালতিভর্তি এত্তোগুলা লাইক।
অতি কট্টর রাজনৈতিক বন্ধুঃ পুরো জাতি যখন শোকে কাতর তখন এমন একটা শোকের মাসে তুমি এসেছো আইস নিয়ে বরফ খেলি করতে-জাতির শোক নিয়ে তামাশা। জয়বাংলা।
অতি কট্টর জাতীয়তাবাদী বন্ধুঃ মার্ক জুকারবার্গের দিকে চেয়ে দেখ-ও কিন্তু ঠিকই এ মাসে আনন্দ ফুর্তি করছে। আরে করবেনা।এমাসেতো ম্যাডামের জন্মদিন। শুধু তোরাই মানুষ হলিনা। আর হবি ক্যামনে- তোরাতো মানুষ না আওয়ামীলীগ।
রাজনৈতিক নেতাঃ বালতি ভর্তি বরফ নিয়ে এভাবে দৌড়াদৌড়ি করায় পদ্মায় জাহাজ ডুবি হলো। না হলে এতো কিছুর ব্যবস্থা নেয়ার পরও এরকম দূর্ঘটনা ঘটবে কেনো?
রাজনৈতিক নেতাঃ আস্তা একটা খবিস। আমি পাশে থাকলে বরফ মাথার উপরে ঢালতাম না, অন্য জায়গায়.......................(সেন্সরড)
এবার এ স্ট্যাটাস পোস্ট করার পর- যে মন্তব্যগুলো পেলাম।
প্রথম কমেন্টঃ শালা সুশীল সাজতে চায়। আবে সবাইরে নিয়েই তো লিখলি।এবার তোরটা তুই লিখ।
২য় কমেন্টঃ আস্তা ছাগল।কীসের সাথে কি ? খাইয়া দাইয়া কোনো কাম নাই। কিছু একটাতো উগলাতে হবে। তাই উগলে দিলো।
৩য় কমেন্টঃ হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম। ওরে কেউ আমারে ধর। শেয়ার দিলাম ভাই।
চতুর্থ কমেন্টঃ ৩য় কমেন্টের পরপরই- এক্কেবারে আজাইরা। এখানে হাসির কি হলো?
৫ম কমেন্টঃ মোটামুটি চলে।
৬ষ্ঠ কমেন্টঃ বন্ধু আছোতো সুখে আটলান্টার বুকে।লিখো, লিখো। দিনতো তোমাদেরই। দেশে এসে জ্যামের মধ্যে পড়ে ঢলা খাও। সব হাসি তামাশা বের হয়ে যাবে।
৭ম কমেন্টঃ ভাই, ভালো কিছু লিখুন। আপনাকে দিয়ে কমেডি হয়না।
৮ম কমেন্টঃ এতো লম্বা লিখা পড়ার টাইম নাই। শুধুই লাইক দিলাম। আমারেও একটা লাইক দিয়েন।
৯ম কমেন্টঃ এরশাদরে তো বিয়া দিয়া দিলেন, থুক্কু এরশাদরে দেখি বাদ দিয়া দিলেন।
১০ম কমেন্টঃ এটা খালি রাখলাম। কারণ এটাতো আপনিই লিখবেন।
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ভণ্ড মুসলমান
ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?
মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আসবে তুমি কবে ?
আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন
(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )
একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন
কোথাও ছিলো না কেউ ....
কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।
আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন
#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়
আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন