সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ শিয়া। ইরানিরাও শিয়া। ইরানের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক খারাপ। তাই, আমেরিকা চায় আসাদকে সরাতে।রাশিয়া আবার চায়না পৃথিবীতে আমেরিকার একক আধিপত্য থাকুক । পুটিন সেজন্য আসাদকে বন্ধু মনে করে। ফলে, আসাদকে চায় ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে। সিরিয়ায় আবার ক্ষমতার মূল দ্বন্দ্বে পাঁচ গ্রুপ। আসাদের সরকারী বাহিনী,কুর্দিশ, আইসিস, আল নুছরা আর বিদ্রোহী গ্রুপ। অন্যদিকে, আমেরিকার দোস্ত সাউদিরা সুন্নি। এরা অর্থ দেয় আইসিসকে। যাতে, আসাদকে সরানো যায়। আমেরিকা আবার এটা সমর্থন করে। আইসিস চায় পুরো সিরিয়া, লেবানন একচ্ছত্রভাবে নিজেদের দখলে নিতে। জর্ডানের আবার ৯৮% সুন্নি আরব মুসলমান। এদের সম্পর্ক খারাপ সিরিয়ার সাথে। আইসিসরা আবার জর্ডানের পাইলটকে জ্বালিয়ে মারে। সেজন্য জর্ডান আইসিসের উপর পাল্টা আঘাত করে। আইসিস মিলিটান্ট গ্রুপরা আবার সাউথ টার্কি দখল নিতে চায়। টুর্কিসরা আবার রাশিয়ার প্লেন ভুপাতিত করে। ইউরোপ -আমেরিকা আবার মুসলমান বিরোধী। অন্যদিকে, মার্কিনরা সৌদিআরবের বন্ধু। তাই সেখানে গণতন্ত্রের দরকার নাই।
মুসলিম দেশগুলো মাঝে একমাত্র টার্কি আবার ন্যাটোর সদস্য। এজন্য সে নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করে। এই টার্কি রাশিয়ার প্লেন ভূপাতিত করলে -ফ্রান্স, বৃটেন, আমেরিকা কিছুই বলতেও পারেনা। টার্কির এ আক্রমণকে তাই আমেরিকা,বৃটেন, ফ্রান্সরা সমর্থণ করে।তরস্কের আবার কুর্দি সমস্যা। এরা আবার অস্ত্র পায় আমেরিকার কাছ থেকে, রাশিয়ার কাছ থেকে। অন্যদিকে, ফ্রান্সে আইসিসের আক্রমণে সবাই আবার অনুতপ্ত হয়। সহমর্মিতা প্রকাশ করে। এই আইসিসকে আবার রাশিয়া আক্রমণ করে। অন্যদিকে আমেরিকা, ইসরাইল সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো আইসিসের কাছ থেকে তেল কিনে। প্যালেস্টাইনার আবার ইসরাইলের সাথে অসম যু্দ্ধ করেই যাচ্ছে। ইসরাইলের ট্যাংকের তেল আসে আইসিসের কাছ থেকে। প্রতিদিন তেল বিক্রি করে প্রায় ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই তেলের টাকা দিয়ে রাশিয়া, আমেরিকা, চায়না থেকে বাজারে এবং চোরা বাজারে আইসিসরা আবার সমরাস্ত্র কিনে। নিজেদের একটা সূঁচ বানানোরও ক্ষমতা নাই। অস্ত্র বেচার জন্য আমেরিকা, রাশিয়া আবার যুদ্ধের বাজার তৈরি করে রাখে। অস্ত্রের চালান আসে ইসরাইল, আমেরিকা থেকে। বিনিময়ে তেল পায় আইসিসের কাছ থেকে। ফেসবুক আর টুইটার গ্রুপ আইসিসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ফ্রান্সের পতাকা বানিয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করে। কিন্তু ভুলেও ওদের টুইটার, ফেসবুক একাউন্ট বন্ধ করেনা। এইটা কেমন গিট্টু। এই গিট্টু খোলার আদৌ কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা? মাথা শুধু ভন ভন করে।
আচ্ছা, মাথা যেহেতু ভনভন করে ঘুরছে। তাই একটা কৌতুক বলে শেষ করি।
ছোট ছেলে স্রষ্টার কাছে প্রার্থণা করছে। স্রষ্টাগো দুনিয়াতে আর যেন ৩য় বিশ্বযু্দ্ধ না লাগে।
মা দূর থেকে এই অদ্ভূত প্রার্থণা শুনে জানতে চাইলেন- কীরে তুই যুদ্ধ নিয়ে এতো পেরেশানি হইলি কেন?
ছেলে বলছে- কি বলো গো মা। কেন পেরেশানি হবোনা।বিগত ২টা বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস মুখস্থ করতে করতে জানপ্রাণ ফানাফানা হয়ে গেলো।
এখন,আরেকটা যুদ্ধ লাগলে সে ইতিহাস মুখস্থ করতে তো জানপ্রাণ এবার একেবারে ত্যানাত্যানা হয়ে যাবে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৩