জনৈক বয়স্ক ভদ্রলোক। সম্পর্ক ছিলো দুই রমণীর সাথে। একজনের সাথে সম্পর্ক ছিলো ধনের জন্য- ধনী পৌঢ়া । আরেকজনের সাথে সম্পর্ক ছিলো প্রেমের জন্য- দরিদ্র যুবতি অপ্সরা।
ভদ্রলোকের মাথার কেশরাজি ক্রমশঃ ধূসর হচ্ছিল । ঠিক যেমন ধূসর ছিলো ধনী পৌঢ়া রমনীর চুল। পৌঢ়া রমণীর মনোবাসনা ছিলো দুজনের চুলই ধূসর হোক। ফলে কাউকে আর কুন্ঠিত হতে হবেনা। যুবতি মেয়ের তৃপ্তি ছিলো দুজনার কালো চুলে।
ভদ্রলোক যখন পৌঢ়ার কাছে যেতেন- তখন আহলাদি পৌঢ়া ভদ্রলোকের মাথা থেকে কালো চুলগুলো একটা একটা করে তোলে নিতেন। আর যখন যুবতী মেয়ের কাছে যেতেন-তখন যুবতি মেয়েটি ভদ্রলোকের সাদা চুলগুলো একটা একটা করে তোলে নিতো।
এভাবেই যাচ্ছিলো বেশ।
কিছুদিন পর ভদ্রলোক দেখলেন- তার মাথায় সাদা আর কালো কোনো চুলই অবশিষ্ট নেই । মাথা পুরোটাই খালি। এখন একেবারে সব নিঃশেষ।
চুল নাই ফলে আহ্লাদি বুড়িও নাই। চুল নাই -যুবতি রমণীও নাই।
সব পেতে গিয়ে ভদ্রলোকের সব শেষ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৩৯