somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হায় পেপাল । হায় ডিজিটাল বাংলাদেশ

০৫ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গভীর দুঃখ এবং বেদনাবোধ থেকে এই কথাগুলো বলতে হচ্ছে। মানুষ ঘরে বন্দি। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনকেতো আর বন্দি করে রাখা যায়না। নানা প্রয়োজন মেটাতে আর্থিক লেনদেনের দরকার। ঘরে বসে পৃথিবীর নানা দেশে টাকা আদান প্রদান-লেনদেনের বিশ্ববিখ্যাত পরিচিত মাধ্যম হচ্ছে পেপাল সার্ভিস। পেপাল সার্ভিসের মাধ্যমে কোনো রকম ফি ছাড়াই ঘরে বসে মাত্র এক ক্লিকের মাধ্যমেই পেপেলের এক একাউন্ট থেকে আরেক একাউন্টে আর্থিক লেনদেন করা যায়। কথায় বলে- নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টের চেয়েও পেপেলের একাউন্ট ব্যবহার করা নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। দূর্ভাগ্য হলো- বিশ্বের প্রায় দুশত দেশ/রিজিয়নে এই সার্ভিসটি থাকলেও আমাদের গর্বের ডিজিটাল বাংলাদেশে পেপাল নেই।

বাংলাদেশে সাধারণত আমি আগে সোনালি এক্সচেন্জের মাধ্যেম টাকা পাঠাতাম। যাতে মুনাফাটা দেশের ব্যাংকেই হয়। সেটা এখন আর হয়না। সোনালী এক্সচেন্জের অফিস থেকে আমি এখন অনেক দূরে চলে এসেছি। তাছাড়া আরো কিছু কারণ আছে। সেগুলো না হয় নাই বা বলি। শুধু লণ্ডনের একটা ঘটনা বলি। লণ্ডনের একটা বিখ্যাত ব্যাংক আর সোনালি এক্চেন্জের অফিস নাকি একেবারে পাশাপাশি অবস্থিত। লণ্ডনের ব্যাংকে দৈনন্দিন বিজন্যাস বেশি। ঝামেলা কম। আর আমাদের সোনালীতে বিজন্যাস কম, ঝামেলা বেশি। দুটো জিনিসের অভাবে মানুষের জীবনে ঝামেলা বাড়ে। দক্ষতা আর সততার অভাব। আপনি সৎ কিন্তু দক্ষ না। আপনাকে ঝামেলার মুখোমুখি হতে হবে। আবার আপনি খুবই দক্ষ, কিন্তু সৎ না। এক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষকে দূর্ভোগ পোহাতে হবে। আর দুটোরই যদি অভাব হয়-তবে আপনার জীবনে ঝামেলার আর শেষ নেই।


যাইহোক, মানি ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে এখন ঘরের পাশে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নই ব্যবহার করি। কিন্তু এখনতো গৃহবন্দি। বাইরে যেতে পারিনা। কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে দেশে টাকা পাঠানো দরকার। উপায়তো একটা সেটা হলো পেপাল সার্ভিস। যেহেতু আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ। নিশ্চয়ই ঘরে বসে পেপালে টাকা পাঠানো যাবে। না- বাংলাদেশে পেপাল নেই। আছে জুম । ওরা টাকা পাঠানোর একটা ভালো ফী চার্জ করে। তাছাড়া, নিজের ব্যাংকও আবার একটা ফি চার্জ করে ক্রেডিট কার্ড থেকে। মানে হলো ডাবল চার্জ। অথচ পেপাল সার্ভিস থাকলে একেবারে ফ্রিতেই এক ক্লিকেই কত সহজে টাকাটা পাঠানো যায়।

এরপর আমি পেপাল ঘাটাঘাটি শুরু করলাম। পৃথিবীর কোনো কোন দেশে পেপাল আছে। আমি অবাক। ভারতের কথা বাদই দিলাম। এমনকি পাশের দেশে নেপাল, ভুটানেও পেপাল সার্ভিস আছে। শুধু তাই না। যে দেশকে নিয়ে আমরা হাসাহাসি করি -সেই উগান্ডাতে পর্যন্ত বিশ্ববিখ্যাত পেপাল সার্ভিস আছে। শুধু আমাদের দেশে নাই। এবার আমি আরেকটু কৌতুহলি হলাম । কেন নাই। বাংলাদেশের অবস্থা কি আসলেই উগাণ্ডার চেয়েও খারাপ। সোমালিয়ার চেয়েও খারাপ। আমি মানতে নারাজ। বাংলাদেশে কেন পেপাল নেই নীচে এই কারণ গুলো পেলামঃ

1) Business environment is not good in Bangladesh.
2) No solid customer base
3) Misuse of PayPal service (used service for money laundering, terrorist activity ).
4)The policies implemented by Bangladesh Bank (the Central bank of Bangladesh) are not conducive enough (yet) for PayPal to operate there.
5)PayPal has directly shown the red signal indicating ‘NO’ due to the poor financial management system of Bangladesh.

পেপাল রেড সিগন্যাল দিয়ে রেখেছে- বাংলাদেশে ভালো বিজন্যাসের পরিবেশ নেই। বিজন্যাস করতে না পারায় বিশ্ববিখ্যাত একটা ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানিকে বাংলাদেশ থেকে কিছুদিন আগে চলে যেতে হয়েছে। আমার আর কারণগুলো পড়তে ইচ্ছে হলোনা। সত্যিই আমার বুক ফেটে কান্না আসছে। ছবিতে দেখুন আফ্রিকা আর এশিয়ার কোন কোন দেশে পেপাল সার্ভিস আছে। জানিনা, সোমালিয়া, উগান্ডা, নেপাল, ভুটানের মানুষ ওদের দেশকে ডিজিটাল সোমালিয়া, ডিজিটাল উগান্ডা বলে কিনা। তবে আমরা বুক ফুলিয়েতো আমাদের দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশই বলি। মহাকাশে গর্বের স্যাটেলাইট পাঠিয়েছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস- কোথাও কোনো কিছু ঠিকমতো কানেক্ট হচ্ছেনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি মন্ত্রী মহোদয়দের ধান কাটা বাদ দিয়ে - এইসব বিষয়গুলো দেখার জন্য একটু নির্দেশ দিতেন- তাহলে হয়তো ডিজিটাল বাংলাদেশের সত্যিকারের সুফলটুকু আমরা পেতাম।

দৈনিক প্রায় বারো-চৌদ্দ ঘন্টা গার্মেন্টসের ভিতর আটকে থেকে দেশের হাজারো মেয়েরা ইউরোপ আমেরিকার ছেলে মেয়েদের আণ্ডার গার্মেন্টস বানায়। আর সেই আণ্ডার গার্মেন্টস পরে ওরা নাসায় কাজ করে -এটাকেই যদি কেবলমাত্র উন্নয়নের মাপকাটি বলা হয়- তাহলে গভীর দুঃখ পাওয়া ছাড়া করার আর কিছুই নাই।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ৯:১০
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×