আপনার মোটিভ যদি ঠিক থাকে তবে দক্ষ ডিটেকটিভ না হলেও খুনিকে ধরা যায়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে। কারণ- পৃথিবীতে এমন কোনো খুন হয়না-যা ট্রেস করা যায়না। বিশেষ করে-বর্তমান CETS বা Criminal Enforcement Tracking System এর মাধ্যমে। ডিএনএ, ফিংগারপ্রিন্ট, সিসি ক্যামেরা ইত্যাদির মাধ্যমে খুনিকে গ্রেফতার করা এখন বলতে গেলে দুধভাত। ফাহিমের খুনি ধরা পড়েছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে। কোনো বড় ডিটেকটিভও না। সাধারণ একজন পুলিশ অফিসারই ফাহিমের খুনিকে ধরেছে। কারণ হলো- ফাহিমের খুনি ধরার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুমতির দরকার পড়েনি, নিউইয়র্ক স্ট্যাটের গভর্ণরকে অর্ডার দিতে হয়নি, পুলিশ কমিশনারের লোকাল সিনেটরকে ফোন করতে হয়নি, খুনি ধরা পড়লে কোন রাজনৈতিক নেতার কি ফায়দা হবে-তার হিসাব কষতে হয়নি। আইনের কাজ অনুযায়ি আইন চলেছে। । পৃথিবী যতদিন থাকবে। ততদিন পৃথিবীতে ক্রাইমও থাকবে। কিন্তু রাষ্ট্রের কাজ হলো - কোনো ক্রিমিনাল যেন ক্রাইম করে ছাড়া না পায়। সেজন্যই মানুষ রাষ্ট্র তৈরি করে। একজন ভালো মানুষ যদি মারা যায় আর একজন ক্রিমিনাল যদি মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ায়-তাহলে আর রাষ্ট্র তৈরি করে লাভ কি? আইন আইনের গতিতে চলেছে বলেই ফাহিমের খুনিরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধরা পড়েছে। আর সাগর রুনির খুনি আট বছর পার হওয়ার পরও ধরা পড়েনি। আমেরিকা-বিলাতে প্লেন করে নানা সময় নানা ফিঙ্গার প্রিন্ট চালাচালি হয়েছে। কিন্তু খুনের কোনো সুরাহা হয়নি। খুনী ধরার উদ্দেশ্য যদি না থাকে তবে পৃথিবীর সব গোয়েন্দাদের জাহাজ ভর্তি করে নিয়ে এসে একজায়গায় করলেও খুনী ধরা পড়বেনা। আর মোটিভ যদি ঠিক থাকে তবে খুনি ধরতে দক্ষ ডিটেকটিভেরও দরকার পড়েনা। এগুলো দরকার পড়ে শুধু ম্যুভিতে আর ঔপন্যাসে। শুনেছি-আদালতের কার্যতালিকা থেকেও নাকি মামলাটি বাদ দেয়া হয়েছে। কিছুদিন পর শুনা যাবে হয়তো- সাগর-রুনি নামক কেউ কোনোদিন মারা যায়নি। 'মেঘ' আকাশ থেকে পড়া একটি কুড়িয়ে পাওয়া সন্তান।
আইন অনুযায়ী যদি দেশ চলে তবে খুনী ২৪ ঘন্টার মাঝেই ধরা পড়ে।
আর দেশ অনুযায়ী যদি আইন চলে তবে খুনি আট বছরেও ধরা পড়েনা। পার্থক্য এখানেই।
কিন্তু এসব বুঝবে কে? রুমি একটা চমৎকার কথা বলেছিলেন- "একশত জন্য বুঝদার মানুষকে একটা প্রমাণ দিলেই বুঝে যায়। আর একজন গর্দভকে একশতটা প্রমাণ দিলেও সে কিছুই বুঝেনা "।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২