১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যখন স্বাধীন হয় ঠিক তখন বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩০% ছিল হিন্দু। অর্থাৎ ১৯৭১ সালে মোট ৭ কোটি জনসংখ্যা মধ্যে হিন্দু র্ধম অনুসারী ছিল ২ কোটি ১০ লক্ষ, বর্তমানে ২০১৩ সালে এসে বাংলাদেশের হিন্দু র্ধমের অনুসারী সংখ্যা হল মোট জনসংখ্যার ১০% এর কম। বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যা হল প্রায় ১৫ কোটি ৬০ লক্ষ, এর মাঝে হিন্দু র্ধমের অনুসারীর পরিমাণ প্রায় ১ কেটি ৫৫ লক্ষের কিছু বেশী।
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ৪৩ বছরের ব্যাবধানে হিন্দু র্ধমের অনুসারীর পরিমাণ কমেছে প্রায় ২০%। যেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে সব র্ধমের অনুসারী যেখানে বৃদ্ধি পাবার কথা, সেখানে উল্টা ঘটনা ঘটেছে হিন্দুদের ক্ষেত্রে। বৃদ্ধির পরিবর্তে হ্রাস পেয়েছে হিন্দুর্ধমের অনুসারীর পরিমাণ। এই হল বাংলাদেশের হিন্দুদের পরিসংখ্যানের সংক্ষিপ্ত চিত্র।
এবার আসাযাক সাম্প্রতিক খালেদা জিয়ার হিন্দুদের সর্ম্পকে করা একটি মন্তব্যের ব্যাপারে।
গত শনিবার মাননীয় বিরুধী দলী নেত্রী খালেদা জিয়া বলেন হিন্দুদের সাথ বি,এন,পির কোন দুরত্ব নেই, আলহামদুলিল্লাহ ,
খালেদা জিয়া বক্তব্য বিস্তারিত জানুন
আমরা ও আমি নিজে ব্যাক্তিগত ভাবে চায় নিদিষ্ট কোন দলের সাথে নিদিষ্ট কোন র্ধমের কোন দুরত্ব থাকা উচিত নয়, আমি মনে করি হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ মুসলিম র্ধমীয় মত পার্থক্য থাকলেও সবচেয়ে বড় কথা আমরা সবাই বাঙ্গালী , আমরা সবাই মানুষ। আমি নিজেও বার বার সবাইকে একটি কথা বুঝাতে চেষ্টা করি র্ধম মানুষের সম্পূর্ণ একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়, কে কি র্ধম পালন করবে তা তার নিজস্ব ব্যাপার, র্ধম নিয়ে বিভাজন বা পার্থক্য তৈরী, র্ধমী দাঙ্গা ফ্যাসাদ সৃষ্টি কোন রাষ্ট্রে কল্যাণ বয়ে আনেনা,
আমার মনে হয় বি,এন,পি উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন রাষ্ট্র পরিচালনায় ও রাষ্ট্রের শান্তি অর্থনৈতিক উন্নতি জন্য সবচেয়ে যে জিনিসটি প্রযোজন সেটি হল র্ধমীয় সম্প্রতি ও বন্ধুত্ব, ও র্ধম নিরেপেক্ষ রাষ্ট্রীয় পরিচালনা নীতি ও শাসন ব্যাবস্থা,
ধন্যবাদ খালেদা জিয়াকে তার ভুল বুঝতে পারার জন্য, আশাকরি আগামীতে বি,এন,পি এটি কথাটি শুধু মুখে নয় বাস্তবে উপলব্ধি করবে এবং বাস্তবে হিন্দু সহ সব সংখ্যা লঘুদের সাথে বন্ধত্ব ও সৌহাদ্য বাজায় রাখবে, এতে দেশে যেন উন্নতির পথে এগিয়ে যবে তেমনি আমাদের দেশের হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সাবই তাদেরকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত মনে করবে এই বাংলাদেশে, বিশ্বের কাছে আমরা প্রতিষ্টা পেতে চায় একটি র্ধমীয় বন্ধুত্ব দেশ হিসাবে,
খালেদা জিয়ার এই বক্তব্যর বিপরীতে আমি কোন রকম উষ্কানী মুলক বা হাসি বিদ্রুপ কোন মন্তব্য করতে চায়না, অতীতে খালেদা জিয়া যা বলেছিল তা ভুলে যেতে চায়। ভুলে যেতে চায় খালেদা জিয়ার করা সেই মারাত্বক র্ধম নিয়ে বিদ্রুপ ও র্ধমীয় অবমাননা উক্তি ( আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গেলে মসজিদে আযানের পরিবর্তে উলুধ্বনী শোনা যাবে)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৩৮