আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে?
এই নিয়ে সরকারী দলের অবস্থান,
সংবিধান অনুসারে বর্তমান সংসদের মেয়াদ ৯০ দিন পূর্ণ হবার আগ মুর্হুত হতে নির্বাচনী প্রকিৃয়া শুরু হবে, এবং নির্বাচন হবে সর্বশেষ নির্বাচিত বা বর্তমান সরকারের অধীনে,
কিন্তু বর্তমান প্রধান মন্ত্রী একটু নমনীয় হয়ে তিনি বলেছেন, বর্তমান সংসদের মন্ত্রী সভা ভেঙ্গে দেওয়া হবে এবং একটি অর্ন্তভর্তী নির্বাচন কালীন মন্ত্রী সভা গঠিত হবে এবং সেই মন্ত্রী সভায় বিরুধী দলীয় সংসদ সদস্য হতে সরাসরি অংশ গ্রহণের প্রস্তাব রাখা হয়।
এবার দেখাযাক বিরুধী দল হতে কি প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
কিছু ক্ষণ আগে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিরুধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া ঘোষনা করেন,
অর্ন্তভতী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে, এবং এই অর্ন্তভর্তী সরকারের উপদেষ্ট হবে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ হতে, ঐ দুই টার্মের তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ হতে বি,এন,পি ৫ জন ও আওয়ামীলীগ ৫ জন নামের প্রস্তাব করবেন, এবং দুই দলের সাথে যৌত আলোচনার সাপেক্ষে এই অর্ন্তভর্তী কলীন সরকারের প্রধান কে হবে তা ঠিক করা হতে পারে,
এখন দেখা যাচ্ছে বিরুধী নেত্রী খালেদা জিয়া ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচন কালীন সরকারের রুপরেখার প্রায় মিল,
যেমন -
সরকারী দল হতে প্রস্তাব রাখা হয় , সরকারী ও বিরুধী দলীয় সংসদ সদস্য হতে মন্ত্রী সভা গঠিত হবে।
বিরুধী দল হতে প্রস্তাব করা হয়, সরকারী দল হতে ৫ ও বিরুধী দল হতে ৫ জনের নাম পচন্দ করে অর্ন্তভর্তী কালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হবে।
এখানে দেখা যাচ্ছে মন্ত্রী বা উপদেষ্টা কে কে হবে, তা নিয়ে আর বির্তক নেই,
কিন্তু একটি বিষয় মুল বির্তক সৃষ্টি হতে যাচ্ছে সেটা হল অর্ন্তভর্তী কালীন সরকারের প্রধান কে হবে?
দুই নেত্রীর চুড়ান্ত প্রস্তাব বিশ্নেষ করে দেখা যায়, প্রধান মন্ত্রী নমনীয় হয়ে সর্ম্পূণ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা হতে একটু সড়ে এসেছেন এবং প্রধান মন্ত্রী নির্বাচন কালীন অর্ন্তভর্তী সরকারে বি,এন,পির অংশগ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছে , কিন্তু বিরুধী নেত্রী তার আগের অবস্থান হতে বিন্দু মাত্র সড়ে আসেনি, আগের মত সেই তত্ত্ববধায়ক এর রুপ চায় বি,এন,পি।
দেখাযাক শেষ পর্যন্ত কি হয়, কে হয় অর্ন্তভর্তী কালীন সরকারের প্রধান?