ক্ষমা একটি মহত্বের লক্ষণ, তবে সব ক্ষমা মহত্বের লক্ষণ হতে পারেনা, যেমন কোন খুনি , চোর, ডাকাত এই সমস্ত গুরুতর অপরাধীকে বিচারের আওতায় না এনে যদি রাষ্ট্র ক্ষমা করে দেয় সেই ক্ষমা কোন অবস্থায় মহত্বের লক্ষণ হতে পারেনা,
সে সব ক্ষমা মহত্বের লক্ষণ , যেমন - কেউ টাকা নিয়ে যদি পাওনাদার কে টাকা ফেরত দিতে না পারে, আর পাওনা দার যদি ঐ দেনা দারকে ক্ষমা করে দেয় এটা হল একটা মহত্বের লক্ষণ,
সেদিন মেডাম সাংবাদিক সম্মেলনে সবাই ক্ষমা করে দিয়েছেন বলেছেন, বাহ সবাই খুশিতে আত্নহারা, কি মহান মেডাম, কত বড় দিল মেডামের, হায়রে অবাগা আমারা কেউ কি আমার একবারও খেয়াল করেছি? এই ক্ষমা কার জন্য, মেডাম কাকে , কি জন্য ক্ষমা করেছেন? তা কিন্তু বলেন নি।
ঐ দিন মেডামের সাংবাদিক সম্মেলনের পর বি,এন,পি জামাতের বেশ উৎফুল্লহ আর আনন্দ ময় দেখা গিয়েছিল, বিশেষ করে ফেসবুক, ব্লগে, ভিবিন্ন মিডিয়ায় বি,এন,পি পন্থীরা মেডামের সেই ভাষণের ভুয়সী প্রশংসায় বেশ পঞ্চমুখ ছিলেন, কারণ মেডাম বার বার বলেছিলেন, কারো উপর প্রতিশোধ নিবেনা, প্রতিশোধের রাজনীতি তিনি করবে না, সাবই ক্ষমা করে দিয়েছেন, ইথ্যাদি, বাহ বাহা কত বড় বড় মহত্ব আর বড় দিলওয়ালা বক্তব্য মেডামের।!
আবারো গুরে ফিরে একটি প্রশ্ন
কার উপর প্রতিশোধ নিবেন না? কি সের জন্য প্রতিশোধ নিবেন না? তাকে কে কি করেছেন?
এই সমস্ত হাস্যকর উক্তি শুনে বেশ মজা উপভোগ করেছিলাম।
মেডামের পুরো ভাষাণ শুনার পর চিন্তা করলাম।
জিয়া পরিবারের ক্ষমার ইতিহাস তো বেশ পুরানো, ইতি মধ্যে বেশ মজার মজার ক্ষমার রের্কড আছে বি,এন,পির
যেমন
১) জিয়া কর্তৃক যুদ্ধ অপরাধী পাকিস্তানী সিটিজেন গোলাম আজমে ক্ষমা করে দেওয়া।
২) জিয়া কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ক্ষমা করে দেওয়া।
৩) খালেদা জিয়া কর্তৃক তার স্বামীর জিয়ার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দেওয়া।
আসুন সব খুনি চোর, বাটপার, রাজাকার যুদ্ধ আপরাধী মেডামে আগামীতে ভোট দিয়ে প্রধান মন্ত্রী বানাই কারণ তিনি সবাইকে ক্ষমা করেদিবেন বলে ঘোষাণা দিয়েছেন, বাহ বেশ বেশ এই রকম প্রধান মন্ত্রীতো চায় খুনি, টাউট বাটপার আর চোর ডাকাত খুনিরা।