খুব সহজে অতি দ্রুত সামাধানের হতে পারে বর্তমান চলমান রাজনৈতিক সমস্যার অস্থিরতা, দরকার শুধু মানষিকতা।
আসুন দেখাযাক কি ভাবে অতি দ্রুত বর্তমান চলমান রাজনৈতিক সমস্যা সামাধান করা যায়।
প্রথমে ছোট গল্প বলি,
এক ক্রেতা মাছ কিনতে বাজারে গেলেন, মাছওয়ালাকে জিজ্ঞসা করলেন ভাই মাছের কেজি কত?
>মাছ বিক্রেতা উত্তর দিল প্রতি কেজি মাছ ১৫০ টাকা।
>ক্রেতা - প্রতি কেজি ১২০ টাকা দিবেন?
>বিক্রেতা - না, যদি মাছ কিনতে চান ১৪০ টাকা দিতে হবে।
>ক্রেতা - না, ভাই ১৪০ টাকা দিয়ে তোমার মাছ কিনব না।
>বিক্রেতা - ১৩৫ টাকা নিবেন।
>ক্রেতা - ঠিক আছে ১৩৫ টাকা হলে এক কেজি মাছ দেন।
শেষ পর্যন্ত দেখা গেল ১৩৫ টাকা দিয়ে মাছ কিনতে পারায় ক্রেতা খুব খুশি হলেন তার পাশাপাশি বিক্রেতাও খুশি ১৩৫ টাকায় তার মাছ বিক্রি করতে পারায়।
ব্যাপারটা যদি আরেকবার ভাল করে বিশ্লেষণ করি দেখা যায়, প্রথমে বিক্রেতা মাছের প্রতিকেজি দাম চেয়েছিল ১৫০ টাকা, কিন্তু ক্রেতা বলেছিল প্রথমে ১২০ টাকা হলে মাছ কিনবে, ক্রেতা বিক্রতার মাঝে মাছের দামের পার্থক্য দাড়ায় ৩০ টাকা, পরে আলোচনা আর দরদাম করে ক্রেতা ১২০ হতে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকায় মাছ কিনতে রাজী হল, অন্যদিকে বিক্রেতাও তার প্রথম দাম ১৫০ টাকা হতে ১৫ টাকা নামিয়ে ১৩৫ টাকায় তার মাছ বিক্রি করতে রাজী হল, এতে দুইজনেই খুশি হল।
ব্যাপারটি সম্ভব হয়েছে ক্রেতার মাছ কিনার ১০০% মানষিকতা ছিল, অন্যদিকে বিক্রেতারও মাছ বিক্রি করার ১০০% মানষিকাত ছিল।
আমার মনে এই মাছ ক্রয় বিক্রয়ের গল্পের মত আমাদের বর্তমান চলমান রাজনৈতিক সমস্যাও খুব সহজে অতিদ্রুত সামাধান সম্ভব, শুধু দরকার মানষিকতা।
কি ভাবে চলমান রাজনৈতিক সমস্য সামাধান হতে পারে তার একটি নমুনা বা র্ফমুলা দেখাযাক।
খালেদা জিয়া নিজে বলেছে গত ১৯৯৬ ও ২০০১ তত্ববধায়ক সরকার হতে বি,এন,পি ও আওযামীলীগ ৫+ ৫ জন করে নাম প্রস্তাব করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হোক ও আলোচনার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা কে হবে, তাও ঠিক করা যেতে পারে।
অন্যদিকে প্রধান মন্ত্রী বলেছিল বি,এন,পি ও আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য নিয়ে নির্বাচন কালীন একটি অর্ন্তভর্তী কালীন সরকার গঠন করা হোক।
খালেদা জিয়ার প্রস্তাব অনুসারে গত দুই তত্ত্ববধাক হতে যে ৫+৫ জনের কথা বলা হয়েছিল , সেই পাচঁ জন কি বি,এন,পি ও আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য হতে কি হতে পারেনা?
এবার আসাযাক ঐ নির্বাচন কালীন সরকারে প্রধান কে হবেন,
যেহেতু বি,এন,পি বার বার বলতেছে ও দাবী করতেছে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে না বি,এন,পি। ভাল কথা, এই সমস্যও খুব সহজে সামাধান করা যায়, এর জন্য দরকার বর্তমান সংসদ বহাল রেখে প্রধান মন্ত্রী পদ হতে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করা, ও বি,এন,পি আওয়ামীলীগের সহ বাকী রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও দেশের গণ্যমান্য ব্যাক্তিসাথে সাথে আলোচনা করে একজন বর্তমান সংসদ সদস্যদের মাঝ হতে শেখহাসিনা ব্যাতিত অন্যকাউকে ঐ নির্বাচন কালীন সরকার প্রধান বানানো অথবা টেকনোক্রেট প্রধান মন্ত্রী বানানো।
উদাহরণ স্বারুপ আমরা দেখেছি পাকিস্তানের গত টার্মেটর তৎকালীন প্রধান মন্ত্রী ইউসুফ রাজাগিলানী সংসদ বহাল রেখে ১৯ শে জুন ২০১২ সালে প্রধান মন্ত্রী পদ হতে পদত্যাগ করেন এবং তার স্থলে নতুন প্রধান মন্ত্রী হন রাজা পারভেজ আশরাফ।
আমি মনেকরি এটা আমাদের দেশেও সম্ভব, সংসদ বহাল রেখে শেখ হাসিনা প্রধান মন্ত্রী পদ হতে পদত্যাগ করে বি,এন,পি আওয়ামীলীগ সমঝোতার মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কালীন অর্ন্তবর্তী কালীন প্রধান মন্ত্রী বানানো, এতে আওয়ামীলীগে দাবী পুরণ হবে ও সংবিধানের নিয়মও পালন করা হবে, এবং সংসদও ভাংতে হবে না, আবার পাশাপাশি বি,এন,পির দাবী অনুসারে হাসিনার অধীনেও নির্বাচন করতে হবে না এবং বি,এন,পি দলীয় সংসদ সদস্য হতে সদস্যদের নিয়ে নতুন মন্ত্রী সভা গঠিত হবে। এবং এতে দুই দলের শর্তও পুরন হবে।
এখন দরকার শুধু দুই দলের শীর্ষ্য নেতা নেত্রীদের মানষিকতা।