২০০১ হতে ২০০৬ পর্যন্ত দেশ কি ভবে চলেছিল তার নতুন করে আর ব্যাখ্যা দেবার দরকার নেই, কারণ তার ফল ২০০৮ জাতীয় নির্বাচনে বি,এন,পি জামাত পেয়েছে, ২০০৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের ফল পর এবং পরবর্তী ২০০৯ হতে ২০১৩ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের শাসন আমলে দেখে বি,এন,পি জামাত মুটিমুটি নিশ্চিত ছিল ২০১৪ নির্বাচনে তাদের জয় সুনিশ্চিত নয়। এমনিতে তাদের পরাজয় নিশ্চিত ছিল সুতরাং নির্বাচন করে হেরে বিরুধী দলীয় আসনে বসার চেয়ে নির্বাচন বয়কট ও নির্বাচনকে ভন্ডুল করে দেশে একটি অস্তিরতা বিশৃঙ্কলা সৃষ্টি করাটাই শ্রেয় বলে মনে করেছে বি,এন,পি জামাত জোট, শেষ পর্যন্ত বি,এন,পি জামাত তাই করেছে।
বিশ্বের যতগুলো দেশ আছে প্রতিটি দেশের আইন প্রণয়ন করেন সেই দেশের সরকার , এটাই চিরন্তন সত্য, বাংলাদেশও এর ব্যাতিক্রম নয়।
গত ২০০৮ নির্বাচনে জয়ী হবার পর আওয়ামীলীগ তত্ত্ববধায় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন প্রদ্ধতি বাতিল করে, দলীয় সরকারে অধীনে জাতীয় নির্বাচন প্রদ্ধতি চালু করেন, এই নীয়ম চালূ করার আগে সংসদে ভোট হয়, মোট ৩৫০ টি ভোটের মধ্যে ৩১৫ টি ভোট পায় তত্ত্ববধায়ক সরকার বাতিরের পক্ষে, শুধু তায় নয় দেশের বিশিষ্ট আইনজীবি, সুধী সমাজ, সাংবাদিক, সবাই তত্ত্বধায়ক সরকার বাতিলের পক্ষে মত দেন, সবচেয়ে বড় ব্যাপারটি ছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্ববধায়ক সরকার বাতিলের জন্য নির্দেশ দেন।
কিন্তু সবকিছুকে পাত্তা না দিয়ে বি,এন,পি তার নিজ সুবিধার কথা বিবেচনা করে নির্বাচন বয়কট করেন, শুধু তায় নয় তারা সংবিধান ও আইনী একটি বৈধ নির্বাচন বানচাল করার জন্য প্রাণপণ লড়াই করতে থাকেন, হাজার হাজার গাড়ী পুড়িয়ে দেওয়া হয় আন্দোলনের নামে, জীবন্ত মানুষের পুড়ে মারা হয়, ধ্বংস করা হয় কোটি কোটি টাকার রাষ্ট্রায় মুল্যবান সম্পদ, মারাত্বক ভাবে ধ্বংস করা হয় রেল পরিবহণ, রেল সেতু, রাস্তাঘাট কেটে দেওয়া হয়, জীবন্তু আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় জীবন্তু গরু, কেটে ধ্বংস করা হয় হাজার হাজার রাস্তার পার্শ্বের গাছ, পুড়িয়ে দেওয়া ভোট কেন্দ্র, ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্টান মাদ্রাসা, স্কুল , হিন্দু বৌদ্ধদের উপর চালানো হয় নির্মম অমানুষিক নির্যাতন,---------কারণ একটাই তত্ত্বধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়।
কিন্তু বি,এন,পি একবারও বিবেচনা করলনা, তত্ত্বধায়ক সরকার বাতিল আইনটি পাশ হয়েছিল সেই সরকারের অধীনে যেই সরকার ৩০০ টি আসনের মাধ্যে ২৬৪ টি আসন সহ মোট ভোটারের প্রায় ৫৪% ভোট পেয়েছিল। কিন্তু পক্ষান্তরে বি,এন,পি পেয়েছিল মাত্র ৩০ টি মত আসন,
এখন বি,এন,পির কাছে প্রশ্ন
১) দেশ কার কথায় চলবে, ২৬৪ টি আসন পাওয়া সরকারের কথায়? নাকি ৩০ টি আসন পাওয়া বিরুধী দরেল কথায়?
বি,এন, পি এখন কথায় কথায় বলেন, ভোটার বিহীন নির্বাচন, ১৫২ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদন্ধীতায় নির্বাচিত সংসদের বৈধতা নেই, ইথ্যাদি ইথ্যাদি, -------এখন বি,এন,পি কাছে প্রশ্ন
২) ২১ শে এপ্রিল ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণ করেন, কিন্তু নির্বাচন হয় ১৯৭৮ সালে ৩ রা জুন,
২১ শে এপ্রিল ১৯৭৭ হতে ৩ রা জুন ১৯৭৮ পর্যন্তু জিয়াউর রহমান কোন ক্ষমতা বলে, কোন নির্বাচনের মাধ্যে, কোন আইনে ক্ষমতা ছিল, সংবিধানে কোন ধারায় তিনি রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছিল?
৩) ৩ রা জুন ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করার অধিকার জিয়া কোথায় পেয়েছিল, কে তাকে এই অধিকার দিয়েছিল, কোন আইনে জিয়া এই নির্বাচন করেছিল?
৪) বিনা প্রতিদন্ধীতায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধীরা যদি অবৈধ হয়,
১৯৯১ এর পর বিনা প্রতিদনন্ধীতায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিল ১৯৯১ এ বি,এন,পির আব্দুর রহমান বিশ্বাস, ১৯৯৬ এ আওয়ামীলীগ হতে সাহাবুউদ্দীন, ২০০১ এ বি,এন,পির বদুরদ্দোজা চৌধুরী, ২০০২ সালে বি,এন,পি জমির উদ্দীন সরকার ও বি,এন,পির ইয়াজ উদ্দীন আহম্মদ, ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগে জিল্লু রহমান ও ২০১৩ তে সর্বশেষ আওয়ামীলীগের আব্দুল হামিদ। এরা সবাই বৈধ নাকি অবৈধ ?