ইউরোপের এক দায়িত্বশীল ব্যবসায়ী তার ব্যবসার প্রসার ঘটাতে লাগলেন সন্ত্রাস-বিরোধী নিরাপত্তা অস্ত্র বিক্রি করে। উচ্চ, মধ্য আর নিম্ন আয়ের মানুষের দেশে দেশে পুলিশ আর্মি আর কর্পোরেট নিরাপত্তা কর্মী প্রতিষ্ঠানগুলো সেই আগ্নেয়াস্ত্র কিনে নিরাপত্তা বাড়াতে লাগলো।
এক সময় দেখা গেলো; সেই মহান ব্যবসায়ী (লোভে পড়ে) ছোটখাট চোর/ডাকাত এমনকি মাফিয়াদেরও কাছেও অস্ত্র বিক্রি শুরু করে দিয়েছে (লাভের লোভ সামলানো কঠিন!)।
একদিন হঠাৎ সে ব্যবসায়ীর নিজস্ব জগত মানে নাচ, গান, শিল্প, সাহিত্য ঘেরা পরিপাটি বাড়ীর উপর একটি মাফিয়া চক্র আক্রমণ করে বসলো। আর আক্রমণ দেখে, সেই ব্যবসায়ীর প্রতিবেশীরা দুই দলে ভাগ হয়ে গেলো; একদল মিছিল মিটিং করে (চিৎকার) বলল, “নাচ, গান, শিল্প, সাহিত্যের উপর আঘাত মানে মানবিকতার উপর অমানবিকতার আঘাত; এর থেকে আমরা কেউ মুক্ত নই।” অন্যদল মনে মনে বলল, “এইসব লোভী ব্যবসায়ীর ইটের (লোভের) বিপরীতে পাটকেল (আঘাত) পাওয়াটাই নিয়তি, আমদের শক্তি কম তাই চিৎকার করতে পারছি না!”
এদিকে সারা দুনিয়ায় মিডিয়ার সুমহান ভুমিকায়; সাধারণ মানুষ ব্যবসায়ীর লোভটা দেখছে না, শুধুই দেখছে শিল্প-সাহিত্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, মানবতা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে...।
পুনশ্চঃ একবার আলফ্রেড নোবেলের কথা ভেবে দেখুন; তার নামে ৩৫০টা প্যাটেন্ট পাবেন যার মধ্যে বিখ্যাত একটা হচ্ছে ডিনামাইট (dynamite)। তিনি বেঁচে থাকতে নোবেল পুরষ্কার প্রবর্তন না করলে আজকের পৃথিবী তাকে খুনি ডিনামাইট আবিস্কারক হিসেবেই ঘৃণা করতো। যেমন আমরা কালাশনিকভ (Mikhail Kalashnikov) কে AK-47 (7.62×39mm assault rifle) আবিষ্কারের জন্য ঘৃণা করি।
.....
© খোরশেদ খোকন। ১৫/১২/২০১৫
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০০