সবাই প্যাচাল পারে। সবাই'ই নিজেকে জাহির করতে চায় একেবারে খোলামেলাভাবেই। অনেক সময় ব্যাপারটা এতই উন্মাদনায় পরিনত হয় যে তখন আর কোন হুশ জ্ঞান থাকেনা। যেমন ২২ নম্বর (সাবেক ৮ নম্বর) লোকাল বাসের মধ্যে জনদৈক ব্যক্তিদের মধ্যে ঝগড়ার প্রসঙ্গটাই ধরুন। অফিসার আর রিক্সাওয়ালা দুই মামা। ভীষণ চেচামেচি ! রিক্সাওয়ালা মামা তো চেচামেচি করছেই, অফিসার মামাও (আপনারা 'মামা' বলেছি দেখে মাইন্ড করিবেননা প্লিজ। কারণ তিনি আমার মামা'ই বটে) গলা উচিয়ে মাইকিং করতে শুরু করলেন যে, উনি ভদ্রজন। আমি জানিনা কেন যেন এমনতর ভদ্রতার প্যাচাল (তা রসালো আর ঝঁঝালো যাই হোক না কেন) আমার একেবারেই অসহ্য।
তারেকভাইয়ের সাথে সুমির তিন বছরের প্রেম। তারেক ভাই সত্যিই সুমির জন্য অনেক কিছু সেক্রিফাইস করেছে। সুমিও কম করেনি তারেক ভাইয়ের জন্য। অবশ্য এসব সুমির কাছ থেকেই শোনা কথা। মাত্র তিন মাস হল সুমির সাথে আমার পরিচয়। আমার কাছে মনে হয়েছে যে সুমি আসলেই ভাল মেয়ে। এখনও আমি জানি যে সুমি ভাল মেয়ে। কিন্তু ইদানিং সুমি আমার সাথে ঠিক কেমনতর আচরণ শুরু করেছে। আমার সামনেই তারেক ভাইকে দেখলে অনেকটা এড়িয়ে চলে। তারেক ভাই আমার কাছে জানতে চায় যে, সুমি কি ইদানিং তোমাদের বন্ধু সার্কেলে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছে? আমি তার কথা বুঝতে পারিনা যেন। তারেক ভাইয়ের কথায় বুঝতে পারি, সুমি এখন যেন তাকে আর পাত্তা দিতে চাইছেনা। অথচ আমার ক্ষেত্রে অন্য ব্যাপার ঘটছে ইদানিং। আমাকে দিনে বেশ কয়েকবার ফোন না দিয়ে যেন ও শান্তি পায়না। পাঁচ ছয়টি এসএমএস দিবেই। যেকোন একটা উপলক্ষ তৈরী করে দিনের অন্তত এক বেলা আমার সাথে খাবেই। সাবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আমার ঘুমের বারোটা বাজিয়ে রাত আড়াইটার সময়ে ঘুম জড়ানো কণ্ঠে ফোন দিয়ে চারটা-সাড়ে চারটা অবধি ফোনে প্যাচাল পাড়বে। আমি ওকে এড়িয়ে যেতে চাইলেই ছিঁচকাদুনে কান্না শুরু করবে। আমার বন্ধুত্বের খাটিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলবে। এমনকি তারেক ভাইয়ের কাছে নালিশ করবে বলে হুমকি দেয়। আমার অসহ্য লাগে। সাত্যিই অসহ্য লাগে। এরকম বন্ধুত্বের কোনোই মানে খুজে পাইনা। এটাকে কি ধরনের বন্ধত্বে বলে তাও বুঝতে পারিনা আমি। সবচেয়ে বড় কথা হল এরকম বন্ধুত্বের ফিসফিসানি আমার একদমই অসহ্য!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




