আমরা বেড়েছি আজব সময়ে আজকের হিসেবে আঁধার,
ল্যাপটপ নেই মুঠোফোনও নেই টিভি ছিলো কালো সাদার।
আমরা বেড়েছি এমন সময়ে 'গুগল' ছিলো না হাতে,
ছিলো না জাদুর অন্তর্জালে সমাধানও সাথে সাথে।
আমরা খেয়েছি টিফিনেও বাসি ভাজি-ডালে রুটি ভিজা,
আমাদের পাতে ফ্রাইসও ছিলো না দেখিনি আমরা পিজা।
এই যে বাড়িনি স্মার্টফোনে, দেখিনি থ্রী-জি'র কিছু-
এই যে ডুবিনি ওয়াইফাই সুখে ছুটিনি নেটেরও পিছু-
তবে কি আমরা পিছিয়ে ছিলাম? হেসে কই মোটে তা না-
আমার ভুবন ঝলমলে ছিলো, ছিলো 'সেবা' ছিলো 'রানা'।
আমরা চিনেছি দ্যুমা-পার্ল বাক, গোর্কির শ্লেষ হাসি কে,
মার্ক টোয়েন আর হেমিংওয়ে বুঝি সেবার কিশোর ক্লাসিকে।
ক্রুসো হয়ে দ্বীপে একলা ঘুরেছি জুলভার্ন পড়ে চাঁদে,
বিশ্বকে আমি জানালায় দেখি প্রাঞ্জল অনুবাদে।
রানা সেজে একা মিশনে বেড়াই তেলআবিব থেকে হিথ্রো
গুলিয়ে খেয়েছি সেই কুটিকালে পৃথিবীরই মানচিত্র।
বইয়ের ভাঁজেও বই গুঁজে পড়ে কত মা'র বকা শুনি,
আমার প্রথম নেশাটা থামেনি প্রিয় 'সেবা প্রকাশনী'।
এভাবে আমরা হয়েছি রঙীন এভাবেই বেড়ে উঠি,
টিফিন বাঁচানো পয়সায় কেনা আমাদের গড়া খুঁটি।
এভাবেই ঠিক তিন প্রজন্ম একই ভাব হৃদে পোষেন,
বুকে চির আঁকা আমার কাজীদা,কাজী আনোয়ার হোসেন।
ভুলবো না কভু কাজীদা তোমাকে ভুলবো না এই ঋণ,
ঘুমাও কাজীদা শান্তিতে তুমি বুকে বেঁচে অমলিন।
(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৭:২৩