What’s in a name? That which we call a rose
By any other name would smell as sweet.”
শেক্সপিয়ারের জুলিয়েট-এর কথা। বাংলায় বলা হয়, নামে কী এসে যায়! নামে যদি কিছু নাই আসে যায়, আমরা নাম দিই কেন? এমনি এমনি?
মানুষের এক আজব স্বভাব-সে সবকিছুকে নাম দিতে চায়, নাম দেয়। আর এই নাম নিয়ে কত হুজ্জত, কত ঝগড়া ফ্যাসাদ আর কোর্ট কাচারি। নামের আবার দামও আছে। প্রত্যেক বছর এর র্যাঙ্কিংও হয়! কর্পোরেটে যাকে ব্র্যান্ড বলা হয়, সেটা আদতে নাম ছাড়া আর কী?
আমরা যারা বিশ্বাসী, creation-এ বিশ্বাস রাখি, আমরা জানি আল্লাহ্ আদমকে (عليه السلام) প্রথমেই সবকিছুর নাম শিখিয়েছিলেন:
وَعَلَّمَ آدَمَ الأَسْمَاءَ كُلَّهَا
আর আল্লাহ্ আদমকে সকল কিছুর নাম শিখালেন। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ৩১)
এর পরের ঘটনা আরো সাঙ্ঘাতিক। পরীক্ষা নেয়া হলো: আদম vs. ফেরেশতারা! কিসের পরীক্ষা? ওই নামেরই। ফেরেশতারা নাম জানতেন না, আদম (عليه السلام) জানতেন। আদমের সুপিরিয়রিটি এস্টাব্লিশ হলো নামের পরীক্ষার মাধ্যমে। ফেরেশতারা সিজদা করলেন, ইবলিস করল না যার ফলে অভিশপ্ত শয়তানে পরিণত হলো!
… তারপর সে-সমস্ত জিনিসকে ফেরেশতাদের সামনে আনলেন। বললেন, আমাকে তোমরা এগুলোর নাম বল, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক।
তারা বললেন, আপনি পবিত্র! আমাদের কোনো জ্ঞান নেই আপনি যা আমাদের শিখিয়েছেন তা ছাড়া। নিশ্চয়ই আপনি প্রকৃত জ্ঞানী ও বিজ্ঞ।
তিনি বললেন, আদম, ওদেরকে বলে দাও এসবের নাম। তারপর যখন আদম বলে দিলেন সে-সবের নাম, তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, আমি আকাশ ও পৃথিবীর সব গোপন বিষয় সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানি? এবং সেসব বিষয়ও জানি যা তোমরা প্রকাশ কর, আর যা তোমরা গোপন কর! (সূরা বাকারাহ, আয়াত ৩১-৩৩)
নামে কী এসে যায়: উত্তর পেয়ে গেলেন নিশ্চয়ই! সব কিছু!!
মুসলমান মানেই আমরা অলমোস্ট সবাই জানি যে, আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্র ৯৯টি নাম আছে। সিপারার (আমপারা) পিছনে সেই ছোটবেলা থেকেই আমরা ৯৯ নামের ছক দেখছি। ঘরে ঘরে ৯৯ নামের বাঁধাই করা ছবি ঝুলতে দেখা যায় অহরহ। ক্যালেন্ডারেও ব্যবহার হয়। ফজরের নামাযের পরে কোনো কোনো মসজিদে সূরা হাশরের শেষ কয়টি আয়াত সবাই মিলে উচ্চস্বরে পাঠ করা হয়, যেই আয়াতগুলোতে আল্লাহ্র অনেকগুলো নামের উল্লেখ আছে।
প্রশ্ন: আল্লাহ্র নাম কোত্থেকে এল? আসলেই কি উনার ৯৯টা নাম? নাকি আরো আছে? এগুলো জেনে কী হবে? কি লাভ? আমি কি চাইলেই আল্লাহকে মনখুশি নাম দিতে পারি? এই প্রশ্নগুলোর কিছুর উত্তর ইনশাআল্লাহ আজকের লেখায় থাকবে। বাকি উত্তর পেয়ে যাবেন পরের এপিসোডে। ইনশাআল্লাহ্।
আগের পর্বে যেমন লিখেছিলাম, আমার এই লেখাগুলার প্রাইমারি সোর্স শাইখ ড. ইয়াসির কাদীর গত রমজানের লেকচার সিরিজ। আগ্রহীদের অবশ্যই ভিডিওগুলো দেখে নিতে বলব: worth their weight in gold.
আল্লাহ্র নাম ও গুণাবলী — ইসলামিক একত্ববাদের মৌলিক ভিত্তি:
আল্লাহ্র নাম ও গুণাবলী কুরআনের একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়। কুরআনে এমন জায়গা খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হবে যেখানে পরপর দুই কি তিন আয়াতে আল্লাহ্র একটা নামও নেই। বলা যায় প্রায় প্রত্যেকটি লাইনেই বা আয়াতেই আল্লাহ্র এক বা একাধিক নাম পাওয়া যায়। আল্লাহ্র নামের জ্ঞান আমাদের ধর্মের একদম মৌলিক বিষয়গুলোর একটি। ইসলামের প্রথম পিলার হলো الاىمان بى الله বা আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস। আল্লাহ্? কে তিনি? চিন্তা করে দেখেন, আল্লাহ্র নামগুলো যদি না থাকতো, তাহলে কি এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারতাম আমরা? পারতাম না। তার মানে হলো, আল্লাহ্র পরিচয় সম্বন্ধে আমাদের যে জ্ঞান, তার একমাত্র উৎস হলো আল্লাহ্র এই সুন্দর নামগুলো। এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আর একারণেই আমাদের স্কলাররা বলেন যে, আল্লাহকে জানা হচ্ছে তাওহীদের অর্ধেক, আর বাকি অর্ধেক হলো এই জ্ঞানকে প্র্যাকটিস করা, অর্থাৎ যেই আল্লাহকে চিনলাম, সেই আল্লাহ্র ইবাদত বা উপাসনা করা।
ইসলামিক মনোথিযম আসলে খুবই সিম্পল একটা আইডিয়া। لا اله الا الله… আপনাকে আল্লাহকে জানতে হবে, আর তাঁকে উপাসনা করতে হবে। ব্যস!
আল্লাহ্র নামের জ্ঞানের মর্যাদা:
আল্লাহ্র নামের এই জ্ঞান থেকে পবিত্র বা উত্তম কোনো জ্ঞান নেই। এটাই জ্ঞানের সর্বোচ্চ শাখা। চিন্তা করে দেখেন, একজন ডাক্তার আর একজন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার: কে সমাজে বেশি মর্যাদা পান। অন্তত সাধারণ মানুষের মধ্যে? নিঃসন্দেহে একজন ডাক্তার। কারণ তিনি মানবদেহ নিয়ে কাজ করেন। আর মানবদেহ হলো মানমর্যাদায় সবার উপরে। সমাজের দুজনকেই দরকার, কিন্তু তাদের সম্মান বা তাদের জ্ঞানের মর্যাদা নির্ভর করল সেই জ্ঞান কী বিষয়ের তার উপর। খেলাধুলার জ্ঞান আর পদার্থবিজ্ঞানের জ্ঞান সমান মর্যাদার অধিকারী না (অ্যাথলেটরা যতই মাথা ঘুরে যাওয়ার মতো অংকের টাকা কামান না কেন)। তাহলে চিন্তা করে বলুন দেখি, আল্লাহ্র নামের জ্ঞান থেকে উচ্চ মর্যাদার জ্ঞান আর কী হতে পারে, যে আল্লাহ্র স্থান বা মর্যাদা সবার উপর।
আল্লাহ্র নাম ও গুণাবলী শেখার তাগিদ:
কুরআনে আল্লাহ্ আমাদের আদেশ করেছেন তাঁর নাম ও গুণাবলী শিখতে। কুরআনে প্রায় দেড় থেকে দুই ডজন আয়াত শুরু হয়েছে اعلم (ই’লাম) বা اعلمو (ই’লামু) দিয়ে। এর অর্থ হলো: জানো/ জেনে রাখো। অর্থাৎ, আল্লাহ্ আমাদের কোনো একটা কিছু জানতে বা শিখতে আদেশ করছেন। কী জানা বা শেখার আদেশ? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই اعلم (ই’লাম) বা اعلمو (ই’লামু)-র পর আল্লাহ্র এক বা একাধিক নাম বা গুণের বর্ণনা এসেছে। যেমন: اعلمو ان الله غفور رحىم… অথবা, اعلمو ان الله شدىد العقاب… অর্থাৎ, “জেনে রাখো আল্লাহ্ হলেন ক্ষমাশীল, দয়াময়”, অথবা, “জেনে রাখো আল্লাহ্ কঠিন শাস্তিদাতা”। জেনে রাখো আল্লাহ্….। জেনে রাখো আল্লাহ্…। অর্থাৎ আল্লাহ্ আমাদের বলছেন: আমাকে চেন, জানো। আমার নামের মাধ্যমে, আমার গুনাবলীর মাধ্যমে।
আল্লাহকে না জানলে, না চিনলে তাকে উপাসনা করব কেমন করে? ভালোবাসব কেমন করে? ভয়ই বা পাব কেন বা কেমনে? তাঁর উপর ভরসাই বা রাখবো কীভাবে? আমরা আল্লাহকে ভালোভাবে জানি না বা চিনি না বলেই কি আমাদের ইবাদত শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে? অথবা আমাদের দু’আ হয়ে গেছে হাত তুলে শরীরচর্চার মতো?
আল্লাহ্র নাম ও গুণাবলীর জ্ঞান ঈমান বাড়ায়:
আমাদের স্কলাররা বলেন যে, আল্লাহ্র নাম ও গুণাবলী শেখার মাধ্যমে আমাদের ঈমান সবথেকে বেশি বাড়ে। অন্য কোনো কাজে ঈমান এত বেশি বা এত দ্রুত বাড়ে না। ঈমান বাড়ার অনেক উপায় আছে। ভালো কাজে ঈমান বাড়ে। রোগীর সেবা করলে ঈমান বাড়ে। কুরআন পড়লেও বাড়ে। দান করলে বাড়ে। ইয়াতীমের মাথায় হাত রাখলেও ঈমান বাড়ে। কিন্তু সবথেক বেশি বাড়ে আল্লাহ্র নাম ও গুণাবলী শিখলে। আর তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনি (সীরাহ) পড়লে। এই দুটি থেকে বেশি তাড়াতাড়ি বা সহজে ঈমান বাড়ানোর কোনো উপায় নেই। সেকারণেই আবারো বলতে হয় যে, আল্লাহ্ সম্মন্ধে সম্যক ধারণা আমাদের বিশ্বাসের মৌলিক ভিত্তি।
কেন হবে না! আল্লাহ্র প্রত্যেকটা নামই আমাদের নতুন করে ভাবতে শেখায়। নতুন নতুন দিক আমাদের চোখের সামনে চলে আসে। আল্লাহ্কে যেন আমরা প্রতিটি নামের সাথে নতুন করে চিনি। আল মালিক, আল কুদ্দুস, আস সালাম, আল মু’মিন, আল মুহাইমিন, আল আযীয, আল জাব্বার, আল মুতাকাব্বির, আর রাউফ, আর রাহীম… প্রত্যেকটি নামের অর্থই নিয়ে আসে আমাদের সামনে নতুন অভিজ্ঞতা, নতুন বিশ্বাস, নতুন আশা, নতুন ভালোবাসা, নতুন ভরসা। নামগুলোর অর্থ যেন মুহূর্তেই তাঁর জন্য আমাদের ভালোবাসা বাড়ায়ে দেয়। আর কোনো কিছুই আমাদের এইভাবে প্রভাবিত করে না।
আল্লাহ নিজের প্রশংসা পছন্দ করেন:
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, আল্লাহ্ থেকে নিজের প্রশংসা বেশি পছন্দ করে এমন আর কোনো সত্তা নেই। যে কারণে তিনি নিজেই তাঁর প্রশংসা করেন। চিন্তা করে দেখেন, অন্য মানুষকে আমরা যেসব প্রশংসা করি, সেগুলো অর্ধেক সত্য, অর্ধেক মিথ্যা। কারণ কেউইতো নিখুঁত বা পারফেক্ট না। অন্যদিকে আমরা যখন আল্লাহ্র প্রশংসা করি, আমরা যেভাবেই করি না কেন, আমাদের প্রশংসা আল্লাহ্কে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারে না। কেউ যখন আমার প্রশংসা করে, সে আসলে আমার মনের অবস্থা বা আমার ব্যক্তিগত দুর্বলতা, আমার মনের গভীরের কালিমা, আমার লুকিয়ে রাখা পাপ- এইসব না জেনেই করছে। তাই আমাদের কারো প্রশংসা করার আগে খুব সতর্ক থাকা উচিৎ; কোনোভাবেই যেন মাত্রাতিরিক্ত হয়ে না যায়। কোনো মানুষই নিঃশর্ত প্রশংসা পাওয়ার দাবী রাখে না। আপনি দয়ালু। ঠিক আছে। কিন্তু আপনি কি সবসময় দয়ালু, নাকি মাঝেসাঝে দয়া নাও দেখাতে পারেন? কেউ কি পারে সবসময় দয়া দেখাতে? একমাত্র আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলাকে নিঃশর্ত ভাবে প্রশংসা করা যায়। আর যতই প্রশংসা করিনা কেন, আমরা কখনোই তাঁর উপযুক্ত প্রশংসা করতে পারব না।
(বুখারী শরীফে এসেছে) একদিন মা ‘আইশা রাদিয়াল্লাহু আনহা রাতের বেলা ঘুম ভেঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পিচের মতো গাঢ় অন্ধকারে তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খোঁজে ইতিউতি হাতড়াতে লাগলেন। একসময় রাসুলের পায়ে তার হাত লাগলো। রাসুল তখন সিজদায় পড়ে আছেন। তিনি জানেনও না যে ‘আইশা জেগে আছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযে মগ্ন। ‘আইশা কান পেতে শুনতে লাগলেন রাসুল কি বলছেন। তিনি শুনলেন রাসুল বলছেন:
سبحانك لا أحصي ثناء عليك أنت كما أثنيت على نفسك
কতইনা মহিমান্বিত তুমি! আমি তোমার প্রশংসা করার ক্ষমতা রাখি না, যেমনটি তুমি নিজে তোমার প্রশংসা করেছ।
গভীর রাতে দিনের সব থেকে সেরা সময়ে যখন সবাই ঘুমিয়ে, তখন সৃষ্টির সেরা মানুষ, শ্রেষ্ঠ নবী, শ্রেষ্ঠ অবস্থানে থেকে কী বলছেন একবার ভেবে দেখুন।
আল্লাহ্র নাম ও গুণাবলী হলো সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রশংসা, এর থেকে উঁচু বা উত্তম কোনো প্রশংসা হতে পারে না। তাইতো আল্লাহ্ কুরআনে চার চারটি জায়গায় বলেছেন:
وَلِلَّهِ الأَسْمَاءُ الْحُسْنَى فَادْعُوهُ بِهَا
আর আল্লাহ্র আছে সব থেকে ভালো ভালো নাম, সুতরাং সেসব নাম ধরেই তাকে ডাকো।
হুসনা হলো আহসানের স্ত্রী বাচক শব্দ। আর আহসান মানে হলো মোস্ট পারফেক্ট, সম্পূর্ণ নিখুঁত। হাসান মানে ভালো। আল্লাহ্র নামগুলো শুধু হাসান বা উত্তম না, বরং আহসান বা সর্বোত্তম। তাঁর নামগুলোর থেকে সুন্দর, মহিমান্বিত, নিখুঁত, মহত্তর আর কিছু নেই। তাঁর কাছে চাইতে হবে এই নামগুলো দিয়ে। আর দু’আর মানে কিন্তু শুধু হাত উঁচু করে চাওয়া নয়, দোয়ার মানে ইবাদাতও। মানে হলো, আমাদের আল্লাহ্র ইবাদাত করতে হবে এই নামগুলো দিয়ে। তাঁর নামগুলো শেখার একটা উদ্দেশ্য হচ্ছে সেই নামগুলো ধরে তাঁকে ডাকা, তাঁর ইবাদাত করা।
আল্লাহ্র নাম ও গুণাবলী শিখতে আগ্রহ বোধ করা ঈমানের পরিচায়ক:
বুখারী শরীফে একটা হাদীস আছে, যাতে একজন সাহাবীর একটা মজার ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। এই সাহাবী তার মহল্লার মসজিদে নামায পড়াতেন। তো তিনি যেটা করতেন সেটা হলো, সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা পড়ার আগে সূরা ইখলাস পড়তেন। প্রত্যেক নামাযে, প্রত্যেক রাকা’তে। প্রথমে সূরা ফাতিহা, এরপর সূরা ইখলাস, এরপর অন্য কোনো সূরা বা আয়াত। লোকজন আপত্তি জানালো। এই সাহাবী অনড়: তিনি এইভাবেই নামায পড়াবেন। পছন্দ না হলে অন্য কেউ পড়াতে পারেন! লোকজন গেল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে। ঘটনা শুনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লোকদের বললেন, যাও, গিয়ে ওকে বলো যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জানতে চান তুমি কেন এমন কর। এইবার সেই সাহাবী উত্তর দিলেন:
لالنها تصف الرحمان و احب ان اقرأ صفته
কারণ এটা (সূরা ইখলাস) আল্লাহ্কে বর্ণনা করে। আর আমি আল্লাহ্র বর্ণনা পড়তে পছন্দ করি।
এটা শুনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লোকদের বললেন, যাও, গিয়ে ওকে বলো যে, সূরা ইখলাসের ভালোবাসা তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে!
যখন কেউ আল্লাহ্কে ভালোবাসে, সে তাঁর নাম ও গুনাবলীকেও ভালোবাসে। আর যখন কেউ আল্লাহ্র নাম ও গুনাবলীকে ভালোবাসে, আল্লাহ্ও তাকে ভালোবাসেন।