খসখসে উন্নয়নের নিকষ ভোর। ঘুম ভেংগে তাকাতেই- ভেসে উঠে অন্য এক সকাল ! আবেগের ঢেউ লঘূ নিম্নচাপ সৃষ্টি করে হৃদয়ের উপকূলে। দেখি- স্রোতের বিপরীতে শেওলাগুলো অবলিলায় ভেসে থাকে। কাপুরুষ কুৎসিত- জৌলুসে বেঁচে থাকে। অনিয়মের খেসারত তখন মনে মগজে বুনে- বুনো অস্বস্তি। চৈতন্যের পাহাড় ঘেঁষে নেমে আসে বিদিশার অন্ধকার। ঘুঁটঘুটে আঁধারের জমকালো হাত ঢেকে রাখে- নিরীহ সত্য ! বিবেকের আশ্রয়, পতাকার আঙিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাই- হায়েনার পিচাশী উল্লাস। বন্ধকী বিবেক সেই অন্ধকারে পা বাড়ায়। তার উত্তাপ নেয়- আগামের অঞ্জলি ভরে। সবুজ অরণ্য আর নীল জলরাশি চিৎকার করে উঠে। সেখানেও ভংধরা বিকার যৌবন। তবু- অসৎ নিঃশ্বাসের গতি মেপে মেপে অন্ধকারে অন্ধকার ঘষি। সে পথের মাঝে, আলোর ঝরনা খুঁজি- শ্রমিকের হাতে। আসাদের রক্তমাখা শার্টের বুক পকেট থেকে কোন এক মাকে লিখা আহ্লাদি চিঠির রক্তে ভেজা আক্ষেপের বুক- ভেসে যায় লোনার প্লাবনে। বুঝে যাই- বাংলাদেশের কপাল পুঁড়েছে।
শৈল্পিক বাকশালী চোর ডাকাতের উৎপাতে তাই অতিষ্ট জীবন। সোনা চোর, কয়লা চোর, টাকা চোরের হর-হামেশ ফাঁকা বুলি কান ঝালাপালা করে বিরামহীন। বুঝে যাই, টীক্কা ইয়াহীয়ার বংশনুবাদের উচ্ছ্বিষ্ট সুবিধাভোগীরা আজ খামছে ধরেছে আদালতের টুটী। জগৎশেঠের লোলুপ দৃষ্টি নিঃশেষ করছে আমাদের মুষ্টি জমানো চাল। মীর জাফরের বায়োপিক দোসর খুবলে খাচ্ছে মানচিত্রের অলীন্দ- অতল। ক্লাইভের প্রেতাত্নারা তাই দাপিয়ে বেড়ায়- বায়ান্ন হাজার বর্গ মাইলজুড়ে। প্রিয় স্বদেশ, জানি- তুমি ভালো নেই...।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৬