শেখ মুহসীন আলী
নদী-বেষ্টিত সুন্দরবনে লঞ্চে ভ্রমণের সময় রাসত্দার ধূলাবালি নেই, নেই গাড়ির ঝাঁকুনি। বরং পাওয়া যাবে নির্মল বাতাস এবং নির্জন প্রকৃতির নীরবতা, যা মনকে দেবে পূর্ণ বিশ্রাম। নগীরর ব্যসত্দ বাসিন্দারা শহরের কোলাহল ও দূষিত ধোঁয়াযুক্ত বাতাসে হাঁফিয়ে উঠেছেন- পেতে চাইছেন একটু মুক্ত জায়গা। সেটাই তো সুন্দরবন!
সুন্দরবনে সবই তো রোমাঞ্চকর, সাগরে রাত কাটানো, গা ছমছম করা নির্জন বনে হেঁটে বেড়ানো এবং জনাকীর্ণ সমুদ্র সৈকতের পাড়ে ইট, সিমেন্ট, টাইলসের হোটেলের কামরায় নয় বরং শানত্দ সাগরে নৌযানে নিরাপদে ঘুমানো!
একনজরে সুন্দরবন
পৃথিবীর বৃহত্তম জোয়ার বিধৌত গরান (গধহমৎড়াব) বনভূমি। জাতিসংঘের 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট'-এর তালিকায় সুন্দরবন একটি সংরৰিত স্থান।
আয়তন 4990 বর্গ কিমি.
উত্তর দৰিণে বিস্তৃতি : 64 কিমি.
পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃতি : 78 কিমি.
সুন্দরবনের অবস্থান কোন কোন জেলায়
সাতৰীরা (শ্যামনগর+আশাশুনি)
খুলনা (দাকোপ+কয়রা)
বাগেরহাট (মংলা+শরণখোলা)
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় কতর্ৃক নিয়স্ত্রিত।
বিভাগীয় বন অফিস 2টি-
সুন্দরবন পশ্চিম এবং সুন্দরবন পূর্ব।
সুন্দর বনে আছে
ফরেস্ট অফিস : 16টি
নদী-নালা : 400টি
দ্বীপ : 200টি
মাছ : 400 প্রজাতির
পাখি : 320 প্রজাতির
সত্দন্যপায়ী প্রাণী : 50 প্রজাতির
সরীসৃপ : 50 প্রজাতির
প্রধান প্রধান গাছ : সুন্দরী, গরান, গেওয়া কেওড়া, পশুর, বাইন, ধুন্দল, ওড়া ইত্যাদি।
সুন্দরবন কি খুব বেশি দূরে
ঢাকা-সুন্দরবন (কটকা) = 285 কিমি.
ঢাকা-জাফলং = 310 কিমি.
ঢাকা-কুয়াকাটা = 320 কিমি.
ঢাকা-কঙ্বাজার = 405 কিমি.
ঢাকা- সেন্টমার্টিন = 490 কিমি.

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



