বিদায় বেলায় রাহেলা বানুকে দেখতে পাই নাই
আমি জানি কতটা ব্যাকুল একটি চোখের চাহনি হতে পারে
আমি জানি কৃষ্ণচূড়ার ফুল হাতে কতটা অপেক্ষা করা যায়
আমি জানি একটি হাসির জন্য একে-৪৭ এর গুলিও খাওয়া যায়
আমি আরও কত কিছু জানি, কিন্তু আমি হিসেব মেলাতে বসিনি ।
আমার আমিত্বের মাঝেও একটি ব্যতিক্রম সত্তা বিদ্যমান
আমিত্বকে চেনে না এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল
নিজেকে বিকিয়ে দিয়ে যে জন বিলাসিতাকে খরিদ করে
আমি একবার তার সাক্ষাৎ পেতে চাই, ছুঁয়ে দেখতে চাই
শুনেছিলাম, মোহে পড়ে মানুষ নাকি পাথর হয়ে যায়
আমি সেই পাথরকেই ছুঁয়ে দেখতে চাই, মানুষরূপী পাথর ।
একটা একটা করে একাধিক মার্বেলগুলো জড়ো হয়েছে
মাঠের এককোনায় দুষ্টু ছেলের দল সেটা নিয়েই মেতে আছে
একটা মার্বেলের আঘাতে আরেকটা মার্বেল ছিন্ন হচ্ছে, চূর্ণ হচ্ছে
তাদের ভিতরকার কষ্ট বুঝার মতও আশেপাশে কেউ নেই
তাদের ভিতরকার কান্না দেখার মতও কেউ নেই ।
আমি মানুষ, সেটাই আমার পরিচয়, নখদর্পণযুক্ত পশু আমি
আমিত্বের বড়াই করতে করতে আমি আরেকজনকে তুচ্ছ করছি
নিজের বেহালার সুর অন্যকে বাজাতে দেখে আমি ক্রোধান্বিত হয়েছি
মনে মনে ভেবেছি ১০১টা উপায় যাতে পৃথিবীকে আমি শেষ করতে পারি
আমি মানুষকে মানুষ বলি না, বলি পশু, নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে
আজ নিজেরাই যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে অসহায়কে বিলুপ্ত করছে এরা
আর কয়েকটা বছর পর জাদুঘরেই দেখা যাবে মানুষ, সত্যিকারের মানুষ ।