somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অবোধ্য সুশীল সমাজ

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৬ রাত ২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশে সুশীল গনতন্ত্র প্রবর্তনের একটা প্রচেষ্টা চলছে। সুশীল সমাজ ব্যানার নিয়ে একদল কেতাদুরস্ত মানুষ সুশাসন, নাগরিক অধিকার, রাষ্ট্র নীতিমালা সংশোধন জাতিয় বিভিন্ন দাবী নিয়ে হাজির হচ্ছেন সংবাদপত্রের প্রথম পাতায়, তারা হাজার হাজার সেমিনার, সিম্পোজিয়াম করছেন, রাষ্ট্র ভবনে যাচ্ছেন চা চক্রে যোগ দিতে, সন্ধ্যার পর যাচ্ছেন দুতাবাস পাড়া সেখানে তাদের সন্ধ্যাকালীন আড্ডা বসবে, তবে আমি অনেক চেষ্টা করেও এই সুশীল সমাজের কেতা ধরতে পারলাম না। কোন কোন শর্ত পালন করলে একজন সুশীল হয়ে উঠবে এমন কোনো নীতিমালা এখনও হাতে আসে নি, তাই এত দিন দেখে শুনে যা বুঝলাম তাই আমার কাছে সুশীল সমাজ।
সুশীল সমাজ নামক শ্লোগানটা তৈরি করেছে দৈনিকগুলো, তাদের মতাদর্শ প্রচারের জন্য বিভিন্ন চেহারার ও কণ্ঠস্বরের ক্যানভাসার প্রয়োজন, সংবাদ পত্রের নেক নজরে থাকা এইসব মানুষ সম্মিলিত ভাবে সুশীল সমাজ। বর্তমান আমলা, প্রাক্তন আমলা, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী, অভিনেতা, লেখক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সবাই এই সুশীল চক্রের অংশ, কিন্তু তাদের কে কোন বিচারে সুশীল বানালো এর কোনো হদিস পাওয়া গেলো না। কেনো তারা সুশীল এবং আমরা অশীল এটাও জানা হলো না আমার। তবে সামাজিক অবস্থান বিচারে এরা সবাই মধ্যবিত্তের উচ্চতরঅংশে বসবাস করেন, সামাজিক ক্ষমতা ধারন করেন অনেক রকম কানেকশন আর জ্যাক আছে তাদের, এটাও একটা প্রপঞ্চ এই সুশীল সমাজের চক্রে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার।তবে প্রাথমিক শর্ত হলো একটা স্নাতকোত্তর সনদ থাকা। বাংলাদেশি মধ্যবিত্তের ছেলেদের পেটে ভাত থাকুক আর নাই থাকুক তাদের বগলে একটা স্নাতকোত্তর সনদ থাকেই তবে তারা সবাই আবার সুশীল হয়ে উঠে না। সেই ছেলে বেলায় পড়া সব ক্ষারই ক্ষারক, সব ক্ষারক ক্ষার নয় জাতীয় বিষয় এটা।
তবে যেকোনো সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মতো এখানেও স্তরবিন্যাসের বিষয় আছে। ক্ষমতার পরিমান অনুযায়ী এই স্তর উঁচু নীচু হয়।উঁচু দরের সুশীল হলে তাদের লন্ডনের ইম্পেরিয়াল আর কুইন কলেজের সনদ থাকে, বিদেশী প্রতিষ্ঠানের বড় বড় ডিগ্রি থাকে তাদের সাইনবোর্ডে নামের চেয়ে অর্জিত ডিগ্রির নামধাম বড় হয়ে ঝুলে। যারা এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে আমলা হয়ে অবশেষে অনেক অনেক উঁচু পদে চলে যেতে পেরেছেন তারাও উঁচু পদের কিন্তু যারা এই সম্পুর্ন যাত্রা সম্পন্ন করেন নি তারা সুশীল হলেও কৌলিন্য নেই তাদের। এই সব কুলীন সুশীলদের মতামত চাওয়া হয় বিভিন্ন সামাজিক রাষ্ট্রিয় সমস্যায়,আদু,বুধু এসব মানুষ যারা সামাজিক সমস্যা ও সমাধানের জন্য বিভিন্ন মতামত প্রদান করেন, তারা যেহেতু কোনো ভাবেই সুশীল চা চক্রে নিমন্ত্রিত অতিথি নন তাই তাদের এইসব অনুভব ছাপা হয় চিঠিপত্র কলামে এবং সেখানেই এসব মতামত পচতে থাকে, আর আমাদের কুলীন সুশীলদের বিজ্ঞ মন্তব্য ছাপা হয় প্রথম পাতায় বড় বড় হেডিংসহ," জনাব বলেছেন এই সমস্যার সমাধান এভাবে করতে হয়"।
কোনো গ্যাসক্ষেত্রে আগুন লাগলে, কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে হরেন, নরেন, যোগেন, আবুল, আককাসে এদের পেটে লাথি পড়লে তাদের আসলে কি রকম অনুভব ধারন করা প্রয়োজন এটা আমাদের জানিয়ে দেন সুশীল সমাজ,সংবাদপত্রে নিয়মিত কলামলেখা ভাবগম্ভির সব লেখকই বাই ডিফলট সুশীল সমাজের আঙ্গিভূত,প্রতিষ্ঠিত লেখক, সংবাদপত্রের সম্পাদক, খ্যাতনামা সাংবাদিক সবাই এই সুশীল সমাজ চা চক্রের নিয়মিত অতিথি,সেসব ষাটাঙ্গপ্রণাম পাওয়ার অধিকারী মানুষজন আচানক রাজনৈতিক গটিলতায় বিষম সমস্যায় পড়েছেন।
তাদের মহামুল্যবান মেধার অনেকটাই অপচয় হচ্ছে রাজনীতি সংশোধন ও সুশীল গনতন্ত্র প্রবর্তনের নিমিত্তে।দেশে সংবাদপত্র বিষ্ফোরণ ঘটেছে,তাদের কলম ব্যাস্ত।আপামর জনসাধারনের ভাবনা তুলে ধরতে হবে।দেশে স্যাটেলাইট চ্যানেল 10টার মতো-সেখানেও নিয়মিত হাজিরা দিতে হয় তাদের-যারা দামের জন্য সংবাদপত্র নিয়মিত কিনেন না সেসব মানুষ 150-200 টাকা দিয়ে ক্যাবল সংযোগ নিয়েছেন, তাদেরও সুশীল সমাজের ভাবনা জানা প্রয়োজন। তারা পোশাক পড়ে তৈরিই থাকেন, রাত 12.30এ সরাসরি সম্পচারিত অনুষ্ঠানে টাইয়ের নট একটু ঢিলা করে বলেন " রাজনীতি কলুষিত হয়ে গেছে", উনারা যা বলছেন সে কথায় যুক্তি আছে, তিনারা যা বলছেন সেটাও সঠিক, কারো কথাই আসলে ফেলে দেওয়ার মতো নয়, ভাবনায় বিকলাঙ্গ এসব মানুষ স্পষ্ট ভাবে নিজের অবস্থান তুলে না ধরে ঝোপের চারপাশের ধুলা উড়াচ্ছেন।
এই সুশীল সমাজ নামের অভিজাত তন্ত্র প্রবর্তনের জন্য সংবাদপত্রের ব্যাগ্রতার হেতু কি? কোন স্বার্থসংশ্লিষ্ঠতা থেকে তারা এটাকে প্রমোট করছেন এটা বুঝতে পারলাম না। দেশের উন্নয়নের কথা বলছেন জনাব, সেটা রাজনৈতিক দলও বলছে, তাদের অনেকগুলো প্রস্তাবনাও আছে, আপনি বা আপনারা একটা নীতিমালা ঘোষনা দেন, টাদের ঘোষিত প্রস্তাবনাকে খন্ডন করে একটা পালটা প্রস্তাবনা নিয়ে আসেন, প্রমান করেন রাজনৈতিকদের কলুষিত মননে এমন যোগ্যতা নেই যা 2020 সালের বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চাইয়ের কল্পলোকের সাথে যায় না।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারী আমলা যারা চাকুরি ছাড়ার সাথে সাথেই মহাসুশীল হয়ে যান, যেমন করে ষাটোর্ধ সব মানুষ একটু ধর্মপালন শুরু করে দেন এরাও অবসর গ্রহনের সাথে সাথে দেশদরদি হয়ে যান এবং কোনো না কোনো দল থেকে নির্বাচনের মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করেন। তারা বলেছেন সমন্বয়হীনতা আমাদের 2020 সালের স্বপ্নের বাংলাদেশ পাওয়ার প্রধান বাধা। বাস্তবায়নের সমস্যার কথাও বলছেন তারা, 25 বছর সরকারী চাকুরি করার পর সরকার ইচ্ছা করলেই যেকোনো প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীকে বরখাস্তের অধিকার সংরক্ষন করেন, তাই তাদের ঝুনো মাথার বলিষ্ঠ পরিকল্পনা সরকারের নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক হলে তারা চাকুরী বাঁচাতে সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা করেন না।

এইসব আমলারা কেউই রাজনীতির প্রভাবমুক্ত নন, সরকারী দলের তোষনে কাটিয়েছেন অনেকটা সময়,তাদের হঠাৎ সুশীল এবং দেশপ্রেমিক হয়ে যাওয়ার বিষয়টা আমাকে শঙ্কিত করে। কেনো তারা এমন ভোল পালটে ফেলেন এটা জানা হবে না আমার। তবে সংবাদপত্রে যারা কলাম লিখেন তারা লিখেন জীবিকার প্রয়োজনে এমনটা বিশ্বাস আমি করি না। তাদের জীবনযাত্রার মানের সাথে কলামের জন্য প্রদেয় টাকা দিয়েই সেটা অর্জন করা যাবে এমন ছেলেমানুষি বিশ্বাস করা কঠিন। অর্থের প্রলোভনে তারা দেশ প্রেমিকের ভড়ং ধরে বসে আছে এমন হতে পারে না। প্রচারনার আলোয় আসার একটা ক্ষীন লোভ থাকতে পারে।
প্রশাসনের অংশ বিচার বিভাগ, সেখানের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরাও সুশীল সমাজের অংশ, সেই হিসেবে গনধিকৃত আজিজ সাহেবও সুশীল সমাজের অংশ, তারা সুশীলতার নমুনা নিম্নমানের, এর পরে তারা স্থালভিষিক্ত মানুষটাও সুশীল সমাজের অংশ তবে তার কথা শুনলে তার গালে জুতা মারতে ইচ্ছা করে। এছাড়াও বরখাস্ত হয়ে যাওয়া নির্বাচন কমিশনের অন্য দুই কমিশনার, তারাও সুশীল সমাজের অংশ, এদের সুশীলতার মান নিয়েও বিশাল একটা প্রশ্নচিহ্ন ঝুলছে।
আমাদের শ্রদ্ধেয় জাফর ইকবাল স্যার, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস, আলোকিত বাংলাদেশ চাই এর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার, ব্যারিষ্টার রোকন উদ দৌলা( যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার পর সুশীলতা অক্ষুন্ন আছে কি না এ নিয়ে আমি সংশয়ে আছি) আবুল মাল আব্দুল মোত্তালিব, শফিক রাহমান, কবীর চৌধুরী সবাই সুশীল মানুষ।
তারা সম্মিলিত ভাবে বলেছেন, নির্বাচন বিধি সংস্কার করে প্রার্থির শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়াতে হবে, অষ্টম শ্রেনী পাশ করা কেউ এইসব অভিজাত মানুষের উপর ছড়ি ঘোরাবে এটা তাদের পছন্দ না। সংবিধান যখন লেখা হয়েছিলো তখন মাঠ পর্যায়ের অনেক রাজনৈতিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা কম ছিলো, শিক্ষা সহজলভ্য কোনো পন্যও ছিলো না তখন, তাই তাদের জন্য এমন একটা বিধি সংযোজিত হয়েছিলো এখন শিক্ষা সহজলভ্য, শিক্ষার মান কমেছে, নীতিবোধ কমেছে এর পরও আমাদের দেশে শিক্ষিত মানুষ বাড়ছে, কুশিক্ষিত মানুষ হলেও তাদের সনদ আছে। এই সনদ দেখিয়ে নির্বাচন করতে হবে। যেকোনো স্কুলে পয়সা দিলেও অষ্টম শ্রেনী পাশের সনদ পাওয়া যায় এর জন্য স্কুলের গেটও পার হতে হয় না। তবে বাংলাদেশের বিচারালয়ের একজন বিচারপতিও সনদপত্রে জাল করার দায়ে অভিযুক্ত। এই কালিমা লেপন না হলে তিনিও হয়তো একজন সাম্ভাব্য সুশীল হতেন, হয়তো হবেনও, এমন সাম্ভাব্য সুশীলের অবস্থা দেখে এবং এটা জানার পর যে নীলক্ষেতে এখন টাকা দিয়ে জাল সনদ তৈরি করা যায় সুশীল সমাজের মুখে সনদ দিয়ে নির্বাচনের দাবীটা জেনে বিব্রত ও বিস্মিত হই।
সৎ রাজনৈতিক চাই এই দাবিটা আমারও ভালো লেগেছে, হয়তো নির্বাচনের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য 5 বছর সক্রিয় রাজনীতি করতে হবে এই দাবিটাকে আপাত দৃষ্টিতে ভালো লাগলো বলেই। এইসব রুই কাতলা সুশীল আবার পদাধিকার বলে পার্টির উপরে সারির নেতা হয়ে উঠবেন। মাঠপর্যায়ে কাজ বলতে যেমন বামপন্থি আর জামাতি রাজনীতির ধারা আছে তেমন ধারা এটা না।তারা দলের উপরের পর্যায়ের নেতা হবেন, বিভিন্ন সেমিনারে উপস্থিত থাকবেন বা পার্টির সদস্য খাতায় নাম লিখিয়ে রাখবেন, এমন রাজনীতি যদি সক্রিয় রাজনীতি বলে গন্য হয় তাহলে লাভের গুত পিপড়া খাবে, অযথা 5 বছর বসে থাকা নির্বাচনের জন্য এই টুকু ছাড়া ভিন্ন কোনো লাভ হবে না।
এইসব সুশীল দের নিরস্ত করা কঠিন, একবার চাদপ্রদীপের আলো পড়লে পতঙ্গ উড়ে যায় পুড়তে, ন্যাংটো মানুষ কাপড় পড়ে সভ্য হয় আর যারা টাই পড়ে বসে থাকেন তাদের গলা উশখুশ করে, জনগনের কণ্ঠস্বার তার পেটের ভেতরে ঘাই মারে।

ইউনুস সাহেব নোবেল পেয়েছেন, সাথে পেয়েছে গ্রামীন ব্যাংক, তিনি এখন রুই কাতলা সুশীল থেকে পদোন্নতি পেয়ে তিমি হাঙর সুশীল, দেশেড় এঁদো পুকুর ছেড়ে তিনি এখন বিশ্ব সমুদ্্রে। হাঙর সুশীল ইউনুস সাহেব শেখ মুজিবের বড়, তিনি 7 দফা প্রস্তাব করেছেন, বলেছেন নির্বাচনের বিকল্প নেই,( হয়তো ছোটো ভাইয়ের অনুরোধে তার ছোটো ভাই মুহাম্মদ জাহাঙ্গির সাহেব আবার নির্বাচন নিয়ে একটা অনুষ্ঠান নির্মান করেছেন।)
তার গ্রামীন ব্যাংক,30% সুদ এবং তাদের কাবুলিওয়ালা চরিত্র সহ ঋণদান কর্মিদের নিয়মিত নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এই ঋণদান কর্মিরা ঋণ গ্রহনের জন্য বিভিন্ন ভাবে প্রান্তিক জনগনকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেন। ঋণ গ্রহন করুন, ইউনুস সাহেব বলেছেন ঋণ মানবাধিকার, আপনার পেটে ভাত নেই, পাছায় ত্যানা নেই, আপনার জন্য বিদ্যালয়ের চৌকাঠ বন্ধ, আপনার জন্য কোনো হাসপাতালের ব্যাবস্থা নেই, এসব মানবাধিকার ক্ষন্ন হয়েছে তবে আমরা গ্রামীন ব্যাংক আপনার ঋণ মানবাধিকার পুরণের সর্বাত্বক চেষ্টায় নিয়োজিত।ঋণ নামের মানবাধিকার গ্রহন করুন ধন্য করুন গ্রামীন ব্যাংককে।
এসব কর্মিদের ঋণ দানের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা আছে, আছে ঋণ আদায়ের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা, যদি এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হয় তাহলে বেতন বন্ধ। অতএব মানবাধিকার ঋণ দেওয়ার পর সেটা আদায়ের জন্য এইসব কর্মিদের পাষন্ড আচরন করতে হয়।
এই সুশীল প্রতিষ্ঠান নোবেনধন্য হয়েছে। তার প্রতিষ্ঠাতা হাঙর সুশীল ইউনুস সাহেব, তারা এনজিও বাজ ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহীম, মুহাম্মদ জাহাঙ্গির, এবং বাংলাদেশের অভিজাত সুশীল এই পরিবারের অন্যসকল সদস্য,তাদের সন্তানসন্ততি এবং তাদের অনাগত সন্তানসন্ততি সবাইকেই ষাটাঙ্গ প্রণাম আমার।আপনার অভিজাত কুলীন সুশীল সমাজের অংশ।
নেহায়েত অশিক্ষিত আমি আপনাদের নিয়ে সামান্য চিন্তিত আসলে। সংবাদপত্রের কল্যানের আপনারা সুশীলত্বের যে কৈলিন্য লাভিয়াছেন তা আমার পক্ষে পাওয়া সম্ভব নয় সে হতাশা থেকেই হয়তো একটু আজেবাজে কথা বললাম, তবে একটা অনুরোধ করতে পারি সম্মিলিত সুশীল সমাজের চা চক্রে নিমন্ত্রিত সকলকে-

ভড়ং ছেড়ে নিজের কাছে সৎ থাকেন তাহলে সভ্য হয়ে উঠতে পারবেন একদিন অনাগত ভবিষ্যতে।

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বস্তিবাসী সেই অগ্নিকন্যাকে নিয়ে লেখা একটি কাব্যগাথা

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৫৫


ঢাকার আকাশ তখন ধুলোমাখা সন্ধ্যার রঙে ছিল ডেকে
বস্তির সরু গলিতে শিশুদের কান্না
নর্দমার স্রোতের মতো দীর্ঘশ্বাস ফেলে
সেই অন্ধকার জন্মঘরে প্রথম আলো দেখেছিল
এক বস্তিবাসী কন্যা শিরিন
এখনো এক অচেনা নাম
যার ভেতর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাবুল আলীই আমাদের বাংলাদেশের প্রতীক

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭



আপনাদের কি এই ছবিটার কথা মনে আছে? এই বছরের শুরুতে চলতি বছরের জানুয়ারীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বেআইনিভাবে বাংলাদেশের জমিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মানুষ মানুষকে কীভাবে এত অপদস্ত করে এই ব্লগে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪

আমি তো কারও সাতেও নাই পাঁচেও নাই। এত সময়ও নাই মানুষকে ঘাঁটার। ব্লগের ব্লগারদের সম্পর্কেও তেমন কিছু জানি না। তবে পোস্ট পড়ে কিছুটা আন্দাজ করা যায় -কে কী রকম। আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগ কি শিখিয়েছে?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৬






অপমান, অপদস্থ থেকে বাঁচার উপায় শিখাইনি? ওস্তাদ মগা শ্যামী পাহাড়ে বসেও এসবের সমাধান করতে পারে, আপনি সামান্য অসুস্থতার জন্যও ব্লগে মিলাদ দেননি, দোয়া করেছেন কার জন্য? খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৮

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

অন্তর্জাল থেকে নেওয়া সূর্যোদয়ের ছবিটি এআই দ্বারা উন্নত করা হয়েছে।

ইসলামের পবিত্র আলো ওদের চোখে যেন চিরন্তন গাত্রদাহের কারণ। এই মাটি আর মানুষের উন্নয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×