somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক
প্রভাবপ্রতিপত্তি আজীবন থাকে না। প্রতারকরাও প্রতিরিত হয়। ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতাসীনের কী হবে? কবর অথবা শ্মশানে প্রতিদিন মৃতসৎকার হয়। ©_Mohammed Abdulhaque [www.mohammedabdulhaque.com]

"হাজিবাবা"

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



গল্পকার মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

আত্মসাধকের সার্থক ভালোবাসার গল্প...

একমাত্র সন্তানরা নাকি শান্তশিষ্ট, বিধায় বিশিষ্ট হওয়ার জন্য হৃদয় ইংলিস মাধ্যমে লেখাপড়া করছে। বন্ধুরা তাকে অনেক নামে ডাকে। কেউ ডাকে রিক, কেউ ডাকে রিকি, কেউ ডাকে রক আবার কেউ ডাকে রকি। সহপাঠীরা তাকে সহ্য করতে পারে না এবং সে ও খামোখা ভাঁড়ামি করে। যাইহোক, গ্রীষ্মের ছুটি শেষে ইউনির সামনে ফষ্টি-নষ্টি করছিল। হঠাৎ ফ্যাশনসম্মত রূপলাবণ্যবতী ছাত্রীর মুখোমুখি হলে নিজেকে সামলিয়ে হৃদয় বললো, “I am very sorry, please forgive me.”
উত্ত্যক্ত ছাত্রী অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে পাশ কেটে চলে যেতে চাইলে ডান হাত প্রসারিত করে হৃদয় বললো, “Tell me your pet name and I will let you know mine.”
“ইস!” বলে ছাত্রী বিরক্তি প্রকাশ করে থমকে দাঁড়ায় এবং কপাল কুঁচকে তাকিয়ে স্বগতোক্তি করে, “এলোপাথাড়ি দৌড়ে এঁড়ে লোকের খপ্পড়ে পড়লাম কেমনে? জাতে উঠার জন্য এককালীন লোকটা জাতিচ্যুত এবং সমাজচ্যুত হয়েছে। একগাল খাবারের জন্য নাজানি কী করবে? দূরত্ব বজায় রাখলে জাতিগত প্রভেদ এবং জন্মগত স্বভাব বজায় থাকবে নইলে অজাতকুজাতে বজ্জাত জন্মাবে।”
“You are noble and beautiful but I am wilful, not awful.” বলে হৃদয় অপলকদৃষ্টে তাকালে, গম্ভীরকণ্ঠে ছাত্রী বলল, "নিষ্ণাতে নিষ্পত্তি হলে, নিষ্পেষণ নিষ্প্রয়োজন। নিষ্কারণে নিষ্প্রাণ ভাবপ্রকাশ নিষ্ফল হয়েছে। আমি নিষ্পাপ নই, নিষ্পুণ্য শব্দে আবেগ নিষ্প্রবাহ হয়। তোমার হাবভাব নিষ্পাদক এবং সূর্য এখনো নিষ্প্রভ হয়নি। স্বেচ্ছাচারীকে দিগ্দর্শন করে যথেচ্ছাচারিণী হতে চাই না। লেখাপড়া বিরক্তিকর হলে খোঁড়াখুঁড়ির জন্য মনগড়া খোঁয়াড়ে যাও।”
“I am very sorry, are you talking to me?" সভয়ে বলে হৃদয় চোখ কপালে তুললে, তার চোখের দিকে তাকিয়ে ছাত্রী বললো, "নিষ্ঠুর তুমি নিষ্ঠাবান হওয়ার চেষ্টা করলে অন্তরাত্মা সন্তুষ্ট হবে। লোকাচারের অর্থ জানলে সমাজের রীতিনীতি অনুযায়ী সামাজিক প্রথা পালন করতে পারবে এবং সকলের মঙ্গল হবে।"
"I am thunderstruck. Someone please call the doctor!” বলে হৃদয় দুহাতে মাথা চেপে ধরে ডানে বাঁয়ে তাকায়।
ছাত্রী মাথা নেড়ে বললো, "প্রবাহিত সময়ের সাথে পাথরের ছায়া নড়ে, চাইলেও আমি অনড় হতে পারব না। নড়েচড়ে সরে দাঁড়ালে তড়বড় করে হেঁটে যাব। নভোনীল শাড়ি পরে নারীরা দৌড়াতে পারে না।”
আরেক ছাত্রী ডেকে বললো, "এই নদী, কী হয়েছে?"
“সুষ্ঠু মাথা নষ্ট করার জন্য ফ্রায়েড রাইস খেয়ে এই লোকটা আমার সাথে ঝগড়াঝাঁটি করেছে।" বলে নদী মাথা নেড়ে দ্রুত চলে যায়। অন্য ছাত্রীর দিকে তাকিয়ে অবাককণ্ঠে হৃদয় বললো, "Who is she and where is she from?"
"ওরে অবাঙাল, বাংলা শিখে বাঙাল হওয়ার চেষ্টা করলে অন্তত তোর মঙ্গল হবে।"
"নদীর একটা কথাও আমি বোঝিনি। আমার দাদা প্রদাদাকে বকাবকি করেছিল নাকি?"
"শাড়ির আঁচল ধরে জিজ্ঞেস কর যেয়ে।" বলে ছাত্রী দ্রুত চলে গেলে হৃদয় ক্লাসে যায় এবং ছুটির পর সিঁড়িতে বসে গুনগুন করছিল। তাকে বিরক্ত না করে ছাত্রাছাত্রীরা দূরত্ব বজায় রেখে দ্রুত সটকাচ্ছিল। নদী বেরোতে চেয়ে তাকে দেখে চমকে এক পা পিছিয়ে বিড়বিড় করে কিছু পড়ে বেরিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় আড়চোখে তাকিয়ে মুখ বিকৃত করে নিম্নকণ্ঠে বললো, "সংস্পর্শ তো দূরের কথা তোমার সংস্রবে আমার সর্বনাশ হবে। সত্বর সংস্ক্রিয়া করলে শান্তি এবং স্বস্তি সংস্থিত হবে। সংস্কৃতি সংস্কারে সংস্কর্তা হলে হয়তো পাশে বসে প্রেমালাপ করব।”
"নদী, দাঁড়াও।" বলে হৃদয় দৌড়ে পাশে গেলে নদী চমকে বুকে থুতু দিয়ে বললো, "হঠাৎ ঠাঠা পড়ে আটানব্বই সের আটার ভুষ্টিনাশ করেছে।"
"আমাকে বাংলা শিখাবে? আমি বাঙাল হতে চাই।"
"তুমি অবাঙাল নাকি?"
"Unfortunately I was made in Bangladesh." বলে হৃদয় বোকার মত হাসে। তার চোখের দিকে তাকিয়ে দৃঢ়কণ্ঠে নদী বললো, "অধশ্চৌর এবং সিঁধকাঠির অর্থ কী?"
"শোনেছি জায়ফল বেশি কষা এবং ভল্লুকরাজ মধু পছন্দ করেন।”
"এক খড়িশের বিষে আঠাশটা খাটাশ মরেছিল, বিষবৃক্ষের জড় জাপটে দাঁড়াশ নির্বিষ হয়েছিল, তা কি তুমি জানো?”
“কেউ আমাকে কানেকানে বলেছিল, সালম-মিছরি আনার জন্য বেজির ভাশুর তখন কবিরাজের বাড়ি গিয়েছিল।”
"বোঝেছি, প্রভাবপ্রতিপত্তির জন্য কূটবুদ্ধির প্রয়োগ করতে হবে।" বলে নদী হাঁটতে শুরু করলে, পথরোধ করে হৃদয় বললো, "ছাব্বিশের অর্ধেক ছাপ্পান্ন হলে তিরাশির অর্ধার্ধ কত?"
"আমার সম্মুখ থেকে সরে দাঁড়াও, তোমার ছায়ায় পাড়া মারলে আওসা বেমার হবে।"
"মোটামুটি সঠিক উত্তর হল, সাতাশ দশমিক ছেষট্টি।"
"দশমিক দুইর ভরতুকি কে করবে?" বলে নদী মাথা দিয়ে ইশারা করে পাশ কেটে যেতে চায়। কাঁধ ঝুলিয়ে হৃদয় বললো, "নদী, কমপক্ষে অন্তত শরম ভরম শব্দের অর্থ আমি জানি।"
"অধর্ম্য কাজে ধর্মনাশ হয়।"
"আমি অধার্মিক নই। তোমাকে দেখার সাথেসাথে তোমার প্রেমে পড়েছি।"
“আগে অধম ছিলে এখন অধমাধম হয়েছ। উত্তম হওয়ার চেষ্টা করলে সত্বর উৎকৃষ্ট হবে।"
“এক বিদ্যালয়ে পড়ে তুমি হতে চাও বিদুষী আর আমি হতে চাই বিদেশি ভাষায় পারদর্শী।"
“মুচকি হেসে তোমার সাথে কথা বললে অন্যরা আমাকে এড়িয়ে চলবে আর বলবে, নদীর উপর উপরিভাবের প্রভাব পড়েছে।"
"ভূতের সাথে হাতাহাতি করার মানতে ভূতুড়েবাড়ি গিয়েছিলাম, পঞ্চভূতের বৃত্তান্ত শুনে আমি ভূতের ভয়ে বৃত্তাকার হয়েছিলাম।"
"আমার সাথে লেগেছ কেন, আমি তোমার কী ক্ষতি করেছি?"
"তুমি কাম্য, তোমার কামনায় আমি কামপীড়িত হয়েছি।”
"তিন সত্য করে বলছি, তোমার সকল কথা আমি বুঝি না।"
"নিঃসঙ্গ জীবন সত্যি আত্মঘাতী। দয়া করে আমাকে ভালোবাসো, প্রাণবন্ত হওয়ার জন্য আমি তোমাকে ভালোবাসতে চাই।"
"সদুত্তরের জন্য উত্তরে যেতে চেয়ে সত্যি নিরুত্তর হয়েছি।"
"অতসী ফুলে আসন সাজিয়ে অতলান্তিকে মন ভাসতে চায়, কমলাকরের কোমরজলে ভেসে কামনীরা কামনায় আগুন ধরায়।"
"পচা ভাতের পানি গিলে মানুষ মাতাল হয়, তুমিতো কড়মায় পোস্তের ছাতু মিশিয়েছ। বেশি বাড়াবাড়ি করলে কোমরে বাড়ি পড়বে।”
“মাছরা আমাকে কানেকানে বলেছিল, সুখের সাগরে ভাসার আনন্দ সত্যি উপভোগ্য। জ্যোৎস্না পান করার সময় চকোরী আমাকে বলেছিল, জ্বালাতে চাইলে অমাব্যসার রাতেও কামনায় আগুন জ্বলে। ওসব বিশ্বাস করে আমি আশঙ্কিত হয়েছি এবং পরিবেশ হয়েছে ভয়ঙ্কর, নাজানি কখন কী হবে?”
"শৈল্পিক শব্দের প্রকৃত অর্থ না জানলে লাঞ্ছিত না হলেও শিলোঞ্ছ হতে হয়। আহারান্বেষণে শিলীমুখরাও দিনমান ভনভন করে কিন্তু প্রতিভাবানরা প্রতিভার প্রভাবে প্রভাবশালী হতে চায়, যা কাল্পনিক গল্প এবং কাঁঠালের আমসত্ত্বে হাভাতের পেট ভরে না। লেখালেখি শখ অথবা চাকরির অংশ হতে পারে, নেশা অথবা পেশা হতে পারে না। বেগার খাটলে বেকার লেখক হাঘরে হয়, কাজে ব্যস্ত থাকলে সম্মান-সম্পদ এবং পাতের ভাত আয়ত্তে থাকে।” বলে নদী অপলকদৃষ্টে তাকালে, হৃদয় মাথা দুলিয়ে বললো, "বাঁচার জন্য বাতাসের প্রয়োজন এবং সেচেষ্টরাই সর্বার্থসাধক। দোয়া করি, সকল শিল্পির পাতে যেন অন্তত নুন পান্তা থাকে।”
"অবুঝের মত কবিতা পড়ে ভোকোর মত দড়াদড়ির লেজুড় ধরি, চায়ের কাপে কফি থাকে না জেনেও হাতা ধরে বলি, কফি মজা হয়েছে।”
"কী করব জানি না। কী বলব জানি না। শুধু জানি কিছু করতে হবে। হন্তারা অমর হতে চায় কিন্তু মৃত্যু সবাইকে স্পর্শ করবে। বৃষ্টিতে আহর্যের উপাদান থাকে, অতিবৃষ্টির কারণ মৃত্যু হয়। জানি না কী কারণ বিমনা মন ভাবুক হতে চায়?” বলে হৃদয় বুক ভরে শ্বাস টেনে আকাশের দিকে তাকায়। তার দিকে তাকিয়ে মাথা দুলিয়ে নদী বললো, "নিরেট বোকা হলেও সত্যাসত্য জানার সাহাস আছে। আজ আশ্বস্ত হলাম, আমরা সবাই শাসিত। শাস্ত্রমতে শাস্তি ভয় পাই না, তবে সরকারের শাস্তির ভয়ে ত্রস্ত। যা অজানা ছিল তা আজ জানলাম। শাসনাধীন হওয়ার জন্য শাসনকর্তার গিন্নি হতে চাই না। এই বেশে বেশ আছি এবং আমি বিশ্বাস করি, মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত হব। স্বর্গে প্রত্যাবর্তনের পর পুণ্যবতীরা আমোদপ্রমোদ করবে।”

চলবে....
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১০
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খালেদা জিয়ার মৃত্যু রাজনীতির মাঠে বিরাট শূন্যতা

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৯

 
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়া এক উল্লেখযোগ্য চরিত্র। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির টালমাটাল পরিস্থিতিতে তিনি দলটির হাল ধরেন। সেনানিবাসে গড়ে উঠা দলটাকে রাজপথে বেড়ে উঠতে গৃহবধূ থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

"তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর।"

লিখেছেন এমএলজি, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৩০

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর।" বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় এ কাজটি করা হয়নি বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যাচ্ছে।

বিষয়টি সত্য কিনা তা তদন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া কেমন ছিলেন?

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪

ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া কেমন ছিলেন?

ইয়াতিমদের সাথে ইফতার অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া, ছবি https://www.risingbd.com/ থেকে সংগৃহিত।

তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রীও তিনি। তাকেই তার বৈধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বছরশেষের ভাবনা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮


এসএসসি পাস করে তখন একাদশ শ্রেণিতে উঠেছি। সেই সময়ে, এখন গাজায় যেমন ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে, তখন বসনিয়া নামে ইউরোপের ছোট একটা দেশে এরকম এক গণহত্যা চলছিল। গাজার গণহত্যার সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

উৎসর্গ : জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮



খিচুড়ি

হাঁস ছিল, সজারু, (ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেল “হাঁসজারু” কেমনে তা জানি না।
বক কহে কচ্ছপে—“বাহবা কি ফুর্তি!
অতি খাসা আমাদের বকচ্ছপ মূর্তি।”
টিয়ামুখো গিরগিটি মনে ভারি শঙ্কা—
পোকা ছেড়ে শেষে কিগো খাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×