somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অমানিশাত (ধারাবাহিক উপন্যাস)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ঔপন্যাসিক মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

পর্ব ১

এক যুবক মনানন্দে গান গেয়ে হাঁটছিল। বাতাসে ভেসে হাঁড়িয়ামেঘ রাঙামেঘকে ধাওয়া করছিল। হঠাৎ আকাশ ঝামরিয়ে মেঘতিমিরে পরিবেশ আচ্ছন্ন হয় এবং বাজ ফেটে বিজলি চমকালে, "লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ" বলে সে দৌড় দেয়। তখন অনতিদূরে বাস থেমে দরজা খুলে। নামবে কি না নামবে নিয়ে দুই বান্ধবী দোটানে পড়ে দোনোমনো করে। ড্রাইভার বিরক্ত হয়ে বললো, "তানা-না-না করে ত্বরে নামলে সকলের মঙ্গল হবে।"
"করি কি না করি?" একসাথে বলে বান্ধবীদ্বয় বাস থেকে নেমে আশ্রয়ের জন্য এদিক-ওদিক তাকায়। চারপাশে আকাশচুম্বি অট্টালিকা তবুও যেন মাথা গুঁজার ঠাঁই কোথাও নেই। এক বান্ধবী বললো, "শাইরা, চল কফি খাব। অনেকদিন হয় গরমাগরম সিঙারা খাইনি।"
"তুই কফি খা আমি পার্কে যেয়ে ঝালমুড়ি খাব।" বলে শাইরা ডানে বাঁয়ে থাকিয়ে দ্রুত রাস্তা পার হয়ে পার্কে প্রবেশ করলে আকাশ ভেঙে ঝেঁপে বৃষ্টি ঝরে। যেন একেবারের বর্ষণে শহর ডুবাবে। শাইরা দ্রুত হেঁটে গাছের নিচে গেলে যুবক দৌড়ে যেয়ে দু হাতে চুল ঝাড়ে। শাইরা কপাল কুঁচকে তাকালে, যুবক কপট হেসে বললো, "ঠাঠাপড়া মেঘ আমাকে তাড়া করেছে। বাজ ফেটে ঠাঠা পড়েলে আমি ডরাই।"
"আমাকে শুনাচ্ছ কেন, নানীর মত পাথালি কোলে লয়ে অভয় দিতে হবে নাকি?" বলে শাইরা মুখ বিকৃত করে। ওর কথায় কান না দিয়ে যুবক এদিক-ওদিক তাকায়। অনতিদূরে চা'র দোকান দেখে দু হাতে মাথা চেপে ধরে গাছে হেলান দিয়ে বসে মাথা নেড়ে যুবক বললো, "মারধর করলেও এখন আমি চা'র দোকানে যাব না। বাজ ফেটে ঠাঠা আমার মাথায় পড়বে।"
তার কথা শুনে হাসতে শুরু করে শাইরা বললো, "সত্যি ঠাঠাবাজকে ভয় পাও নাকি?"
"ঠাঠাবাজকে আমি ভয় পাই না, আমি তাকে চিনিও না। আপনি তাকে চিনেন নাকি? আমি গুণ্ডামি করি না।"
"এই একটু আগে বলেছ, ঠাঠা পড়ে বাজ ফাটলে আমি ডরাই।"
"ও আচ্ছা। ঠাঠা এবং বাজ দুটাকে আমি ডরাই। একবার সামান্যের জন্য মাথায় পড়েছিল। ভ্যাগিস আমি তখন ভূগর্ভে ছিলাম, নইলে নির্ঘাত আমার মাথার মাঝখানে পড়তো।"
"ভূগর্ভে কী করছিলে?"
"কিছু আনার জন্য নিচে গিয়েছিলাম। থাক আমার কথা, আপনি এত প্রশ্ন করছেন কেন?"
"আর প্রশ্ন করব না।" বলে শাইরা মুখ ভেংচিয়ে অন্যদিকে তাকায়।
"অনেক অনেক ধন্যবাদ। অপরিচিতদের সাথে বেশি কথা বললে বিপাকে পড়তে হয়। অপরিচিতদের সাথে আমি কথা বলি না। এখন সমস্যা হলো, আকাশ ভেঙে মেঘ পড়ুক কিছু বলব না, বাজ ফেটে টাঠা পড়ে কেন, হায় রে হায় আমি এখন করি কি না করি?" বলে যুবক মাথা নাড়লে আগ্রহের সাথে শাইরা বললো, "কী করতে চাও?"
"আপনার সম্যসা কী, বার বার প্রশ্ন করছেন কেন?" বলে যুবক বিরক্ত হয়ে মাথা দিয়ে ইশারা করে। শাইরা কিছু না বলে মাথা নেড়ে নিচে তাকিয়ে পাথর হাতে নিয়ে গাছের গায়ে লিখতে চেয়ে কপাল কুঁচকে নিম্নকণ্ঠে বললো, "অমানিশাত।"
"আমার নাম জানলেন কেমনে?” বলে যুবক কপাল কুঁচ করলে অবাক কণ্ঠে শাইরা বললো, "মায়, আমি কেন তোমার নাম জানতে চাইব?"
"তা আমি জানব কেমনে? সবেমাত্র আপনি আমাকে নাম ধরে ডেকেছেন।"
"এসব কী বলছ, আমি কখন তোমার নাম ধরে ডাকলাম?"
"আমার নাম নিশাত।"
“ওরে বাসরে!”
“সেরেছে! বাজ ফেটে ঠাঠা এখন মাথায় পড়বে।" বলে নিশাত দৌড় দেয়।
"নিশাত, দাঁড়াও।" শাইরা হাত উঠিয়ে ডেকে হতাশ হয়ে কাঁধ ঝোলায়। নিশাত দৌড়ে দোকানে প্রবেশ করে হাঁপাতে হাঁপাতে বললো, "আল্লাহর দয়ায় আজকের জন্য বেঁচেছি। এই মুন্না, সাহেবদের জন্য চা বানা, আমি একটু জিরাই।"
"শাবাশ, আজ তুমি সত্যি অসমসাহসী হয়েছ।"
"ভাই রে, পেটের জ্বালা বড় জ্বালা। পেটে আগুন লাগলে মানুষ আগুন খেতে চায়। আমি তো দৌড়ে এসেছি। একটা পরোটা দে, নইলে অন্য দোকানে যাব।" বলে নিশাত ঘাড় বাঁকিয়ে তাকায়। এমন সময় বিজলি চমকালে নিশাত ঝম্পে উঠে দু হাতে কান চেপে ধরে বললো, "এই মুন্না, পরোটা লাগবে না, আজ আর অন্য দোকানে যাব না।"
মুন্না কথা না বলে মাথা নাড়ে। নিশাত মোবাইল বার করে কথা বলে।
"সাহেব, একটু পরে চা নিয়ে আসলে হবে? এখন আসলে নির্ঘাত ঠাঠা আমার মাথায় পড়বে এবং আমি মরে যাব। আমি মরলে মজার চা পাবেন না। কী করব? জি আচ্ছা একটু পরে বৃষ্টি থামলে নিয়ে আসলে চলবে। ধন্যবাদ সাহেব। সাহেব, মুন্না বলেছে আজ আপনাদেরকে মাগ্না পরোটা খাওয়াবে। জী, আট দশটা আনলে চলবে। জি আচ্ছা সাহেব ঠিকাছে, আমি খেয়ে আসব। ধন্যবাদ সাহেব।" বলে নিশাত মোবাইল পকেটে রেখে বেরিয়ে কপালের কাছে ডান হাত নিয়ে ভালো করে আকাশ দেখে আড়মোড়া দিয়ে বললো, "মুন্না, দশ বারোটা মাগ্না পরোটা দে।"
"খাঁটি আটা এবং ভেজালি ঘি তোমার নানাবাড়ি থেকে আসে নাকি?"
"আরে মুন্না, আমি কি কোনোদিন তোর ক্ষতি করেছি?"
মুন্না মাথা নাড়লে, মৃদু হেসে নিশাত বললো, "আগামী কাল দুপুরে অনেক লোক আসবে। আগেভাগে জুত করার জন্য পরোটা খাওয়াব। আমার দুইটা দে, ভুখ লেগেছে।"
"সত্যি বলছ নিশাত ভাই?" মুন্না উত্তেজিত হয়ে বললো।
"দোয়া মানত কর। শোন, মাত্র একটা মোরগবিরানি মানত করবে, বেশি হলে মানত আদায় করতে কঞ্জুসি করবে এবং মানত পূরবে না।" বলে নিশাত পরোটা হাতে নিয়ে খেতে শুরু করে। মুন্না চা বানাতে বানাতে বললো, "মানত পূরা হলে মোরগবিরানি তোমাকে দেব।"
"আমাকে দেওয়ার জন্য মানত করিয়েছি, অন্যকে দিলে মানত পূরবে না। এখন মনোযোগ দিয়ে মজার চা বানা।" বলে নিশাত পরোটা খেয়ে কেতলি হাতে দোকান থেকে বেরোয়। গাড়িতে বসা শাইরা তার দিকে তাকিয়ে গাল ভরে হেসে হাত নাড়ে। নিশাত শিউরে আকাশের দিকে তাকিয়ে নিম্নকণ্ঠে বললো, "আল্লাহ গো আল্লাহ আমাকে বাঁচাও, এই ঠাঠা মাথায় পড়লে নির্ঘাত অপমৃত্যু হবে।"
"এই নিশাত, কাঁদছিস কেন?" তার বয়সী একজন হাসতে হাসতে বললো।
"আরে বাবুর ভাই! তুমি কোথায় ছিলে?"
"আশেপাশে ছিলাম, কাঁদছিস কেন?"
"একেতো বাজের ডর, তারোপর ঠাঠা একটা মাথায় পড়েছিল। সামান্যের জন্য বেঁচেছি।"
"কী, আজ আবার তোর মাথায় ঠাঠা পড়েছিল নাকি?"
"ওই যে ধলা ভটভট দেখছ, ওটার ভিতরে বসে ঠাঠা যাচ্ছে। বল্লার নানী অলাদের বুদ্ধি এত ভোঁতা হয় কেন?"
"তোর কী হয়েছে, জ্বর-টর উঠেনি তো?" বলে বাবুর নিশাতের কপালে হাত দিয়ে তাপ মাত্রা পরীক্ষা করে। নিশাত বিরক্ত হয়ে বললো, "আরে বাবুর ভাই, জ্বর-জড়া আমাকে কাবু করতে পারবে না। আপার জন্য বর দেখা হচ্ছে এবং অনেক টাকা কর্জ করেছেন। ঋণ পরিশোধ না করে আমি কবরে যাব না।"
"নিশাত, এক কাজ করলে কেমন?"
"কী কাজ করাতে চাও?"
"আমার সাথে মা বাবার আদর ভাগ করলে তোর সাথে সুখ-দুখ বাটোয়ারা করব। আমার কেউ নেই, তাই আমি এক মাস কাজ করলে ছয় মাস ঘুরে বেড়াই। মা বাবা ভাগ করলে বারোমাস কাজ করব। দুই ভাই মিলে ঋণ পরিশোধ করলে বেশি দিন লাগবে না।”
"আরে বাবুর ভাই, কলিজা ধরে হেঁচকা টান মারো কেন? ছিঁড়লে মরে যাব তো।"
"যা, চা দিয়ে আয়। ধেয়ান চিন্তা করার জন্য আমি এখন পার্কে যাব।" বলে বাবুর চলে যায়। নিশাত ফিরে কাজে লাগলে মুন্না বললো, "দিনরাত কাজ করে অসুস্থ হলে ঋণ মারবে না ডাক্তারের আজুরা দেবে?"
"ঋণ পরিশোধ হলে শুধু দিনে কাজ করব। এখানে কাজ করায় থাকা খাওয়ার টাকা সঞ্চয় হচ্ছে।”
"এত কষ্ট করার কারণ কী?"
“ঘরে যুবতী মেয়ে থাকলে মা বাবার ঘুম হারাম হয়। অঘটন ঘটলে ঢাকের বাঁয়ারা ঢাকঢোল পেটায় এবং কুলটার বাপ ভাই আজীবন মাথা নিচু করে হাঁটে। সমাজে এক আনার দাম থাকে না রে ভাই।" বলে নিশাত ব্যস্ত হয়। রেস্তোরাঁ বন্ধ করার সময় বাবুর প্রবেশ করে চেয়ার টেনে বসে বললো, "মুন্না, আমাকে ভাত দে।"
এমন সময় মালিক ডেকে বললো, "নিশাত, তোমরা খাও আমি এখন বাসায় চলে যাব।"
মালিককে সালাম করে দরজা বন্ধ করে নিশাত গামছা দিয়ে ঘাম মুছে বাবুর দিকে তাকিয়ে কপাল কুঁচকে বললো, "সত্যি ভাত খাওনি?"
"তোর সাথে খাওয়ার জন্য এসেছি। এই মুন্না, আজ থেকে আমিও তোর সাথে কাজ করব। শোন, বেতন ভাতা দিতে হবে না।" বলে বাবুর আড়মোড়া দেয়। নিশাত কথা না বলে থালে ভাত লয়ে বাবুর এবং মুন্নাকে ডেকে খেতে বসে। বাবুর হাত ধুয়ে খেতে বসে বললো, "কী হয়েছে নিশাত, কথা বলছিস না কেন?"
নিশাত মৃদু হেসে বললো, "গা ম্যাজম্যাজ করছে।"
"তোমাকে ভূতে ধরেছে নাকি, এত কাজ করার কী দরকার? দোকলার কাজ একলা করলে এমন হয়। এখন মুখ বুজে ভাত খাও।" বলে মুন্না মুখ বিকৃত করে খেতে শুরু করলে নিশাত বললো, "মহাজন বলেছেন, বিশ্বস্ত মানুষ পেলে তোকে সামনে বসিয়ে রাখবেন।”
"সামনে বসার জন্য আমি এখনে আসিনি। বাবুর্চির কাজ শিখে এসেছি। বেতন না বাড়লে আগামী মাসের শেষে চলে যাব।"
"বুঝেছি, বিশ্বাসকে বস্তায় ভরে বিশ্বস্ত হতে হবে। বেতনের চিন্তা বাদ দিয়ে আমাকে বাবুর্চি বানালে তোর বেশি লাভ হবে।"
"বাবুর ভাই, তোমার অনেক টাকা আছে তাই না?" বলে মুন্না হাসার চেষ্টা করলে বাবুর বললো, "না রে ভাই, আমার টাকা পয়সা নেই। আমি অত্যন্ত গরিব মানুষ। আমার জন্য দোয়া করিস। মা বাবা থাকলে আমিও নিশাতের মত অনেক বড় ধনী হতাম। তার মা বাবা আছেন। তাকিয়ে দেখ সে কত খুশি। টাকা সবকিছু নয়। কাজ করলে টাকা আসে। মা বাবার আশীর্বাদ অনেক বড় ধন। তোরা অনেক সুখী মানুষ। তোদের সব আছে। আমার কিচ্ছু নেই। টাকা দিয়ে মা বাবার আদর কিনা যায় না।"
"আগের কাজ ছেড়ে দিয়েছ নাকি?"
"চাইলেও ছাড়তে পারব না। বিশ্বাস করে আমার হাতে চাবি দিয়েছেন।”
"তাইলে আমাদের সাথে কাজ করবে কেমনে, বিশ্বাসঘাতক হতে চাও নাকি?”
"আমার কাজের জন্য তোদেরকে চিন্তা করতে হবে না। আমার যথেষ্ট সাহায্যকারী আছে।"
"মুখ বুজে ভাত খাও, তোমার সাথে কথা বললে খালি ভুখ লাগে। নিশাত ভাই, এই লোকের সাথে দূরত্ব বজায় রাখলে মঙ্গল হবে নইলে অনতিবিলম্বে তুমি বেকার হবে।" বলে মুন্না আর কথা না বলে ভাত খেতে শুরু করলে নিশাত বললো, "জানো বাবুর ভাই, বাড়িতে একটা বরামাসী পেয়ারা গাছ আছে। আপা নিজে না খেয়ে আমার জন্য লুকিয়ে রাখতেন। আমি ইলিশ মাছের ডিম খুব পছন্দ করতাম। ছোট কালে মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদতাম। আমাকে কাঁদতে দেখে আব্বা আম্মাও কাঁদতেন। পাশের বাড়িতে একদিন ইয়া মোটা ইলিশা রান্না করেছিলেন। জানো বাবুর ভাই, আম্মা যেয়ে কত মিনতি করেছিলেন উনারা এইটুকু ডিম দেননি।”
“নিশাত, চুপ কর। আর একটা কথা বললে ঠাঠা পড়বে।" ধমকে বলে নিশাতকে বাজুতে টেনে ঠোঁট কাঁপিয়ে বাবুর বললো, "গরিবের মাওলা গরিব হলেও আল্লাহ সবকিছুর মালিক।"
"বাবুর ভাই, সত্যি খুব কষ্ট হয়।"

চলবে...

© Mohammed Abdulhaque
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩২
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×