প্রখ্যাত আইনজীবী, সাহিত্যিক, গীতিকার ও ভাষাসৈনিক গাজীউল হক। তবে গাজীউল হক শুধু ভাষাসৈনিকই ছিলেন না। তিনি ছিলেন দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সামনের কাতারে। বাংলাদেশের ইতিহাসে বড় তিনটি ঘটনা ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এ তিনটিতেই গাজীউল হকের অবদান রয়েছে। তিনি ভাষা আন্দোলনসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কাজী মোতাহার হোসেনসহ বিখ্যাত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নেন। তিনি সব সময খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। পূর্ব-পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে রাজপথে মিছিল করেন। এজন্য তাঁকে সরকারের রোষানলে পড়ে কারাবরণ করতে হয়েছে কয়েকবার। আজন্ম দ্রোহী গাজীউল হক ফেনীর ছাগলনাইয়া হাইস্কুলের শিক্ষক সুরেন্দ্রনাথের কাছে বিপস্নবী দীক্ষা পয়েছিলেন। এর স্ফূরণ ঘটে ১৯৪২ সালের ২৩ মার্চ ১৫ বছর বয়সে। ইউনিয়ন জ্যাক পতাকার প্রতি ‘অসম্মান’ প্রদর্শনের অভিযোগে এদিন তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। এরপর ১৯৫৩, ১৯৫৪ (দুই বার করে), ১৯৫৬, ১৯৫৮, ১৯৬৪, ১৯৬৯ ও ১৯৭৫ সালে গ্রেফতার হয়ে কারাবাস করেছেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের কারণে ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালে হুলিয়া মাথায় নিয়ে গোপনে আন্দোলন করেছেন তিনি। ভাষা সৈনিক গাজীউল হক ২০০৯ সালের ১৭ জুন মৃত্যুবরন করেন। তাঁর চতুর্থতম মৃত্যুদিনে আজ তাঁকে স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধায়। ভাষাসৈনিক গাজীউল হক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯