হে সুন্দরবন তুই বারবার বাংলাদেশ কে রক্ষা করেছিস সেই ৮৮ সালের ঝড়ের সময় বুক পেতে ঝড়ের গতি কমিয়ে দিয়েছিস,২০০৭ সালের সিডর ২০০৯ সালের আইলা ঠেকিয়ে মানুষকে রক্ষা করেছিস, তোকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবিকানির্বাহ করে তুই ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিস,সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে তুই বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি,তোর বুকে স্বনামে বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানান ধরণের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল , তোর থেকে কাঠ,গোল পাতা নিয়ে মানুষ আশ্রয়সস্থল তৈরি করে তোর থেকে মধু সংগ্রহ করে তোর থেকে সবচেয়ে বেশি মাছ সংগ্রহ করে, আরো অনেক সুনাম তোর, তোর মত বন বিশ্বের অনেক দেশে নেই, তুই আমাদের গায়ের জ্বালা, কেন তোর মত বন আমাদের দেশে থাকবে? কেন তুই এই দেশ এই দেশের মানুষকে রক্ষা করবি?কে দিয়েছে তোকে এই অধিকার? এই দেশ যখন অন্যের দখলে ছিল তারা তোকে রক্ষা করেছে ,তাই বলে আমরা কেন তোকে রক্ষা করবো? তোকে হত্যা করবো মানুষের চোখের সামনে, তোর বুক চিরে বয়ে যাওয়া নদী দিয়ে আমরা বিষক্ত কয়লা, তেল আনা নেওয়া করবো, মাঝে মাঝে তার দুটি একটি ডুবিয়ে দিব । আর সেই কয়লা,তেল তোর পানিকে বিষক্ত করবে, তোর বুকে আশ্রয় নেওয়া কোন প্রাণীকে আমরা বাঁচতে দিব না। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপন্ন ধোয়া ও তাপ তোর বুকে গেথে থাকা সব গাছপালাকে ধ্বংস করবে, সাথে আশপাশে কৃষিজমিতে কোন ফসল জন্মাতে দিবে না আশপাসে বাস করা মানুষ রোগেভুগে মারা যাবে হা হা হা ,পাকিস্থান ১৯৭১ সালে যত মানুষ মারেনি ,তার অধিক মানুষ মারা যাবে ধুকে ধুকে, তুই বাংলাদেশের অহংকার তাই তোকে হত্যা করা আবশ্যক। মানুষকে বিদ্যুৎ এর লোভ দেখিয়ে চোখে টুপি পরিয়ে দিব, অনেক বুদ্ধিজীবি আছে আমার দলে , দেশের অনেক পতিত জায়গা আছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার জন্য, সেখানে করবো কেন ? তাহলে তো তোকে হত্যা করা যাবে না, তোকে মরতেই হবে, অনেক বিতর্ক হচ্ছে তোকে নিয়ে, অনেক মানুষ দেখার অপেক্ষা করছে কি হয় দেখা যাক ,আগে করি তো, যখন তুই ধ্বংস হবি আমরা তখন বেঁচে থাকবো না কিন্তু ইতিহাসে আমাদের নাম স্বর্ণ অক্ষরে লেখা থাকবে, মানুষ আজ সিরাজ-উদ-দৌলা কে ভুলে গেলেও মীর জাফর কে ভোলে নি, তেমনি আমাদের ভুলবে না। তোকে মরতেই হবে কারণ তুই এই দেশের অংহকার
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪