somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেতে যেতে পথে-৩... {(হরতালে বেসামাল)...(রম্য রচনা-১০৭)}:P

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ভাই, পথটা কি হাসপাতালের দিকে গেছে? রাস্তায় দাঁড়ানো এক ব্যাক্তিকে অন্য ব্যাক্তির সরল প্রশ্ন। কিন্তু তিনি প্রশ্নটার জবাব দিলেন গরল করে। তার উল্টো প্রশ্ন ‘পথটার কী ডায়রিয়া বা এইডস হইছে নাকি যে হাসপাতালের দিকে যাবে? পথ সর্বত্রই যেতে পারে। সংসদ থেকে পতিতালয়-শশ্বান থেকে আঁতুড় ঘর, রাজপ্রাসাদ থেকে রাজপথ, আবার সাধারন ভবন থেকে রাষ্ট্রভবন- পথ সর্বত্রই যেতে পারে। কিন্তু গত প্রায় একটা বছর দেশের সব পথই থমথমে হয়ে আছে এক অজানা আশংকাতে, যেমনটি ছিল পাঁচ বছর আগেও। বিরোধী দলের হরতাল কর্মসূচি আর পুলিশের দমননীতির চিপায় পড়ে সাধারন পাবলিকের মরনদশা। অনেকেই বের হয়ে কোথাও যেতে পারেননি, আবার অনেকে আটকে গেছেন মাঝপথে। আর বর্তমানে চলা জেএসসি এবং জেডিসি পরিক্ষার্থীদের কথা আর কি বলবো। তাদের কারো পাঁচ এবং কারো আট বছরের সাধনায় যে আগুন জালিয়ে যাচ্ছেন রাজনিতিবিদরা সেটা কোন ভাষায়ই ব্যাখা করা সাধ্যাতিত।।

কিন্তু বিরোধী দল অথবা সরকারী দল কেউই জনতার ভোগান্তির কথা ভাবেননি। আর নেতাদের তো এ নিয়ে ভাবার সময় নেই! মূর্খদের ভাবনা শুধু পকেট গোছানোর। এক মন্ত্রি গেছেন জাপান সফরে। জাপান সফরে যাবার পর তিনি গেছেন এক স্বয়ংক্রিয় গাড়ী তৈরির কারখানায়। সেখানে গিয়ে তো তিনি তাজ্জব বনে গেলেন। হাতে তেমন কোন কাজ হয় না বললেই চলে, প্রায় সব কাজই হয় মেশিন-দ্বারা। সেই কারখানা পরিদর্শন শেষে লিফটে করে সবাই নিচে নামছিল। হঠাৎ এক ভদ্র মহিলা বিরক্তির সঙ্গে “ক্যাগ” করে উঠল। মন্ত্রি সাহেব তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে মহিলার ক্যাগ করে উঠার কারন জানতে চাইলেন, কর্মকর্তা পাশের আরেক লোককে দেখিয়ে জানালেন, লোকটি নাকি মহিলাটিকে গুতো মেরেছেন। এ কথা শুনার পর মন্ত্রি সাহেব গদগদ করে বলে উঠলেন, যাক এখানে কিছু কাজ তাহলে হাতেও করা হয়। এই হচ্ছে আমাদের নেতাদের অবস্থা। তারা সোজা রাস্তাটা চেনেন কম। জনগনের পশ্চাৎ দেশে বাঁশ দেয়ার জন্য তারা সব সময় বাঁকা রাস্তাটাই বেছে নেন।

যাই হোক শেষ আরেকটা গল্প হয়ে যাক, সাথে ফ্রি হিসেবে ছোট আরেকটা দিয়ে দিব, কারন এখন সবকিছুর সাথে ফ্রি দেবার প্রথা জোরালো ভাবে প্রচলিত। বাজে কথা না বাড়িয়ে শুরু করে দেই, এক নেতা তার চাল্লিকে বলছেন, ‘ভাবছি আগামী মাস থেকে যৌতক বিরোধী আন্দোলনে পথে নামব’। তখন তার চাল্লি (খাঁটি বাংলায় চ্যালা) বলল, এই মাসেই কেন নয় হুজুর? নেতা সাথে সাথে বললেন, ধুর বোকা, এই মাসে আমার ছেলের বিয়ে, আর আগামী মাসে মেয়ের। পথ যত বন্ধুরই হোক, পথে হাঁটতে নেতাদের কোন-রুপ অসুবিধা হয় না। এক প্রেমিক জুটি সারারাত ঘুরেফিরে সকালে মেয়ের বাসায় ফিরে এসেছে। মেয়ের বাবা সারারাত ঘুরে সকালে ফিরে আসার কারন জানতে চাইলেন। তখন ভীরু প্রেমিক বলল, জ্বি-সাতটায় আমাকে অফিস যেতে হবে কিনা। আমাদের রাজনৈতিক নেতারাও ক্ষমতায় যাবার পর জনতাকে পথে নামিয়ে নিজেকে উপরে টেনে তোলে সেটা বিরোধী নেতাই হোক আর সরকার দলিও নেতাই হোক। কিন্তু শেষ দিকে আবার পথে ফিরে আসেন, কারন তখন যে আবার ভোট চাইতে হয়। অন্যদিকে ক্ষমতায় যাবার পরঃ মাকসুদের সেই গানের মতন “গনতন্ত্রকে গন-ধর্ষন করে চলেন”, হরতালের নামে, দমন নীপিড়ন নীতিতে আর আমরা সাধারন জনগন তাদের রাজনৈতির বুলডোজারের পিশনে পিষ্ট হয়েও আবারো তাদেরই সুযোগ করে দেই, কারনটা হয়ত তেমন পরিস্কার নয়, তবুও মনে হয় আমাদের কাছে আর কোন দরজা হয়ত খোলা নেই। নাকি আছে? থাকলে মতামত দিয়ে জানাতে পারেন। আছে, এই আশাবাদ ব্যাক্ত করে আজকের মত বিদায়, হয়ত ফিরবো আগামিতে অন্য কোন রম্য নিয়ে, যদি সাহস পাই।।


বিঃ দ্রঃ ইহা একটি রম্য রচনা, কারো জীবনের সাথে মিল খাইলে আমি পাগল দায়ী নই। আর জানেন তো পাগলে কিনা বলে। সবাই ভাল থাকুন, শুভ কামনা রইল।
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×