- মাল্টিনিকধারী নাস্তিক ব্লগাররা অনেক আগে থেকেই মানববন্ধন যেন না হতে পারে তার চেষ্টা চালায় । তবে শুরুটা তারা করেছে অপরিচিত শুধু কমেন্টকারী নিক থেকে । এই সময়ে ব্লগারদের গনধোলাইয়ে মাইনাসের দেড়-সেন্চুরী করে দুইজন । পরপর দুইরাতে ।
- ওইসব পোষ্টে কিছু পরিচিত ব্লগার (আসীফ মহিউদ্দিন কিংবা সবাক) আবেগ আর উত্তেজনা সামলাতে না পেরে নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করে দেন । কমেন্ট করে ফেলেন । গালাগালি করে ফেলেন । যা তাদেরকে ভাদা ট্যাগ দিতে ব্লগারদের উৎসাহিত করে ।
- কমেন্টবাজ ফাউল নিক দিয়ে কাজ হচ্ছেনা দেখে সুশীল নিকে মাঠে আসেন । বিএনপি জামাত খুজে পাওয়া যায় কিনা, ট্রাই করতে থাকেন ।
- সব চেষ্টা ব্যার্থ হবার পর, মাত্র একরাত আগে ব্লগের অন্যতম ক্ষমতাবান ব্লগার মাঠে নামেন । তিনি প্রমান করে দেন, এইটা আসলে শিবিরের লোকজন করতেছে ।
- ভারত কখনো বাংলাদেশে আগ্রাসন চালালে কারা প্রতিরোধে থাকবে, ব্লগারদের কাছে পরিস্কার হয়ে যায় তাদের আচরনে । যেহেতু জাশি বাইডিফল্ট ভারত বিরোধী, তারা মাঠে থাকবে ওই সময়ে । যেহেতু জাশিবিরোধী অতি চুলকানী সম্পন্ন ব্যক্তিরা জাশি যা করে তা করতে পারবেনা, অতীব দেশপ্রেম থাকলেও তারা বাধ্য হয়েই ভারতের বিরুদ্ধে দাড়াতে পারবে না । কারন জাশি আলু খায় বলে এন্টি জাশি সিংগারা খায়না । কারন সিংগারায় আলু থাকে ।
- মানববন্ধনের মাত্র একদিন আগে শিবির কানেকশন প্রকাশ করায় সন্দেহ জাগে, প্রথম আলো পত্রিকার সাথে জড়িত সাংবাদিকটি ফেসবুক ক্যাশ খুজে সহজ কাজটি দুদিন আগে কেন করেন নি ? মাত্র একদিন আগে ভন্ডুল করে দেবার একটাই কি উদ্দেশ্য যে প্রতিবাদে উন্মুখ ব্লগাররা যেন নতুন করে আয়োজনের সময় না পান! প্রথম আলো পত্রিকাটি নাকি বিএসএফ এর প্রতি বড়ই সহমর্মী । তাদের হলিখেলার ছবি আহলাদ নিয়ে প্রকাশ করে ।
- আয়োজকরা কিছুতেই চাননি তাদের পরিচয় প্রকাশ হোক । অথচ জোরজবরদস্তি করে তাদের পরিচয় বের করে এত বড় দায়িত্ববান আর জরুরী প্রগ্রামের ক্রেডিট তারা তুলে দিলো একটা রাজনৈতিক মতাদর্শের হাতে । এটা সবচেয়ে করুন আত্মঘাতী গোল ।
- নাস্তিকরা রিউমার ছড়ায় আজ পুলিশ নাকি কাউকে দাড়াতে দেবেনা । অথচ এটা পরিস্কার মিথ্যা ছিলো । নিজেদেরকে মিথ্যাবাদী প্রমান করাটা আরেকটা আত্মঘাতী গোল ।
- নাস্তিকরা আরেকটা বড় ভুল করে । তাদের ধারান ছিলো এটা বোধহয় ব্লগারদের মানববন্ধন ! আসলে ব্লগ ছিলো শুধু একটা অংশিদার । আপামর সব শ্রেনীর তরুনদের প্রতিবাদ ছিলো এটা ।
- তারা ভেবেছিলো, মানববন্ধন টা হবেনা শেষপর্যন্ত। কিন্তু বড় ধরনের একটা প্রতিবাদ মানববন্ধন হয়েছে ! আসলেই । আগের আয়োজকদের আয়োজনেই ।উপস্থিত সবার সামনে দাড়িয়েই তারা মানববন্ধন পরিচালনা করেছে - যেখানে একাধিক ফিজিকাল্লি চ্যালেন্জড পারসন ও উপস্থিত হয়েছিলেন । যা বিরোধীতাকারীদের জন্য চূড়ান্ত লজ্জার ব্যাপার । উপস্থিত হয়েছিলেন অনেক তরুনী ।
- এবার আত্মঘাতি গোলের দ্বিতীয় টাইপে আসি । ওরা ব্লগে পোষ্ট করছিলো, মানববন্ধনে নাকি শুধুই ছাগল ছিলো । কিন্তু কৌশিক-শামসীর এর মত সিনিয়র ব্লগারদের উপস্থিতি ওদের মুখে শেষ চপেটাঘাতটা দিয়ে দিলো ।
- পুরো ব্যাপারটাই বড্ড করুন কিন্তু বড়ই বিনোদনের । লেজে গোবরে অবস্থা বেচারাদের ।
*** বাংলার যে তরুন প্রজন্ম বিএসএফ এর বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে রাজপথে কাধে কাধ মিলিয়ে দাড়িয়েছে, তাদেরকে স্যালুট । এক ঢিলে অনেকগুলো পাখি মেরেছেন আপনারা । প্রতিবাদের ঝাপটাকে মিডিয়ায় পৌছে দিয়েছেন, সরকারকে বাধ্য করেছেন প্রতিবাদ জানাতে, ভারতকে বাধ্য করেছেন দু:খ প্রকাশ করতে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন -আমাদের ভেতরের শত্রুদেরকে চিনিয়েছেন... এই প্রতিরোধ অব্যাহত থাকুক !
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৪৯