somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মৌমাছি এবং ভাল্লুক এর গল্প।

১৪ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১) সহযোগিতা এবং আনন্দের গল্প।
সম্পূর্ন গল্পটি পড়ার জন্য ছবির উপর ক্লিক করুন।

লেখক: Inga Palme
অংকন: Gerhard von Reith
অনুবাদ: Shible Shadiq

২) এবং গল্পের শুরু এখানে....

৩) এই সেই ভাল্লুক....

৪) এবং এই সেই মৌমাছি....

তারা একত্রে একটি পুরানো কিন্তু সুন্দর এবং আরামদায়ক বাড়িতে বসবাস করত।

৫) এই সেই পুরানো কিন্তু সুন্দর এবং আরামদায়ক বাড়ি।

সবকিছু আরামদায়ক রাখার জন্য ভাল্লুক খুবই যত্নবান ছিল। সবচে আরামদায়ক ছিল ভাল্লুক এর সোফা।

৬) এই সেই আরামদায়ক সোফা....।

মৌমাছিকে অর্থ উপার্জনের জন্য বিশাল পৃথিবীতে বেরিয়ে পড়তে হয় যেন ভাল্লুক যথেষ্ট পরিমান টাকা পায় সবকিছু আরামদায়ক এবং সুন্দর রাখার জন্য। মৌমাছি বিশাল পৃথিবীর একটি সার্কাসে স্বনামধন্য খেলোয়াড় হিসেবে কাজ শুরু করে।

৭) এই সেই সার্কাস যা বিশাল পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে অবস্থিত।

কখনো কখনো মৌমাছিটার নিত্যদিনের কাজ করতে ভাল লাগতোনা। তখন সে ভাল্লুকের ঘন লোমের ভেতর লুকোচুরি খেলত। কিছুটা বিরক্ত হলেও মৌমাছির আনন্দ দেখে ভাল্লুকও খুশি ছিল। ভাল্লুকের ডান কানের ভেতরে থাকতেই সবচাইতে বেশি পছন্দ করত মৌমাছি।

৮) এই ভাল্লুকের সেই ডান কান যার ভেতর মৌমাছিকে দেখা যাচ্ছে।

মাঝেমাঝে ভাল্লুকটা তার দেখা মস্ত বড় পৃথিবীর গল্প বলে। এবং মৌমাছি বলে তার নতুন নতুন আশার কথা। মুহুর্তগুলো সবসময়ই তাদের দুই জনের জন্য খুব নাটকীয় ছিল। তাদের জীবন ছিল উত্তেজনাপূর্ন। তারা একজনের কথা আর একজন খুব গুরুত্বের সাথে শুনত।

একদিন ভাল্লুক মৌমাছিকে বলল, ''আমি আমার সম্পূর্ন জীবনে অনেক মৌমাছি দেখেছি কিন্তু তাদের কারও জীবনই আমাদের মত সুখকর নয়। কেমন হয় যদি আমরা অন্য মৌমাছিদের দিকে একটু তাকাই এবং তাদের সাহায্য করি আরামদায়ক জীবন লাভের জন্য?''

শুনে মৌমাছি বল্‌ল, ''খুবই চমৎকার প্রস্তাব, তাহলেতো আমি অন্য মৌমাছিদের সাথে সবচাইতে বিপদজনক খেলাগুলো অণুশীলন করতে পারি।

এবং তারা তাদের কথামতই কাজ করলো। ভাল্লুক অনেক অনেক মৌমাছিকে নিয়ে আসলো এবং তারপর থেকে তারা খুব সুখে এবং শান্তিতে আরামদায়ক সোফায় বিচরন করতে থাকলো।

৯) ভাল্লুকের সেই সোফার প্রানবন্ত ছবি

এইমুহুর্তে ভাল্লুক তার বাড়িকে আরামদায়ক রাখার জন্য যথেষ্ট সহযোগিতা পাচ্ছে এবং মৌমাছি অন্যদের তার সবচেয়ে বিপদজনক খেলাগুলো দেখিয়ে আনন্দ পাচ্ছে।

কঠোর পরিশ্রম আর অণুশীলনের কারনে অল্পকিছুদিনের মধ্যেই ছোট্ট মৌমাছিগুলো খেলা শিখে গেল এবং সবাই একত্রে বিশাল পৃথিবীর কোন এক অংশে সার্কাসে খেলা দেখাতে শুরু করলো।

মাঝেমধ্যে ছোট্ট মৌমাছিগুলোর সার্কাসে খেলতে ভালো লাগত না। তখন তারা ভাল্লুকের ঘন লোমের মধ্যে ঢুকে লুকোচুরি খেলত।

যদিও এটা ভাল্লুকের জন্য কিছুটা বিরক্তিকর ছিল, কিন্তু তবুও ভাল্লুক খুব খুশি ছিল কারন তার ঘন লোমের মধ্যে সকল মৌমাছির জন্যই পর্যাপ্ত জায়গা ছিল।

১০) দুর্দান্ত ভাল্লুকের ঘন লোমের ভেতর ছোট্ট মৌমাছির দল।

তারপর মৌমাছি ভাল্লুকের কাছে তাদের নতুনতর আশার কথা বলতে থাকবে এবং মাঝেমধ্যে ভাল্লুক ছোট্ট মৌমাছিদের কাছে বলবে মস্ত বড় পৃথিবীর কথা। ভাল্লুক, মৌমাছি এবং ছোট্ট মৌমাছিদের জন্য এটা ছিল খুবই উত্তেজনাকর। এবং সবসময়ের জন্য মৌমাছি তার প্রিয় জায়গায় বিচরন করবে।


১১) আবারও সেই মৌমাছি ভাল্লুকের ডান কানের ভেতরে।

এবং খুবই অন্যরকম একটি দিনে সমস্ত ছোট্ট মৌমাছিরা মৌমাছি এবং ভাল্লুককে বিদায় জানাবে।

কারন তারা সকলেই যথেষ্ট বড় হয়ে উঠেছে তাদের খেলা পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখানোর জন্য। এবং তারা এই করে বেঁচে থাকার ব্যবস্থাও করে নিতে পারবে মৌমাছির মত।

এবং তারা আরাম-আয়েশের সাথে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করে নেয় অন্য কোন মৌমাছি এবং মাঝেমধ্যে অন্য কোন ভাল্লুকের সাথে। যেমন তারা থাকত ভাল্লুকের আরামদায়ক সোফায়।

এবং এইটা খুব বেশী দিন আগের কথা না যে অনেক ছোট্ট মৌমাছিদের প্রানবন্ত বিচরনে মুখর ছিল ভাল্লুকের আরামদায়ক সোফা।


১২) এই ভাল্লুকের সেই আরামদায়ক সোফা পৃথিবীর কোন এক কোনায় যার চারদিকে ছোট্ট মৌমাছির দল আনন্দের সাথে ঘুরে বেড়াত।
এবং কী হলো সেই ভাল্লুক এবং মৌমাছির?
তারা এখনও সেই আরামদায়ক সোফায় বসে একজন আর একজনকে গল্প শোনায় এবং উত্তেজনামুখর দিন যাপন করে।
কিন্তু এখনকারমত গল্প এখানেই শেষ....
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৪:৩৮
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×