"হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের প্রতি রাষ্ট্রপক্ষের অনাস্থা ও আপত্তির কারণে যমুনা টিভি সংক্রান্ত রিট আবেদনের নথিপত্র প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতিরা।
সম্প্র্রচার বন্ধ ও ফ্রিকোয়েন্সি বাতিল করার বিরুদ্ধে যমুনা টিভি কর্তৃপক্ষ রিট আবেদনটি দায়ের করে। রিট আবেদনটি আংশিক শ্রুত অবস্থায় বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মামনুন রহমানের বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারিত ছিল। গতকাল যুমনা টিভির আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক শুনানি শুরু করতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তি জানায়।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ওই বেঞ্চে শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তখন মুরাদ রেজা আদালতে বলেন, আমরা এই মাসে এই মামলার শুনানি করতে পারবো না। অ্যাটর্নি জেনারেল এই মাসে ব্যস্ত থাকবেন। আদালত তার এই কথার মর্মার্থ জানতে চায়। মুরাদ রেজা তখন আদালতকে বলেন, এই কথার মর্মার্থ হল আমরা এই বেঞ্চে রিটের শুনানি করতে চাই না।
তখন আদালত বলেন, এটা স্পষ্ট করে বললেই হয়। এরপর আদালত এই মামলার পুরো ঘটনা লিখে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন। এ পর্যায়ে ব্যারিস্টার রফিক উল হক রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ করে বলেন, আল্লাহ যদি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বাঁচিয়ে রাখেন, তাহলে সুপ্রিম কোর্ট আপনা আপনি অবলুপ্ত হয়ে যাবে। মামলা মোকদ্দমা করতে হবে না। এ পর্যায়ে আদালত ব্যারিস্টার রফিকের কথার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, তাহলে আমরাও বেঁচে যাই। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য।
তবে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা এর প্রতিবাদ করে বলেন, আদালতের এ ধরনের মন্তব্য করা ঠিক নয়। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম অবশ্য শুনানির সময় আদালতে ছিলেন না।"
সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো ও দৈনিক আমাদের সময়
২২ জানুয়ারী ২০১০
উপরের খবরটি পড়ে সেদিন একটু অবাকই হলাম।আমার প্রশ্ন জাগছে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম কী এমন করছেন যার জন্য রফিক উল হক এর মতো সিনিয়র আইনজীবী এমন কথা বললেন। বেশ কিছুদিন ধরেই এমন কিছু বিষয় নিয়ে মাথায় খুব খোঁচাচ্ছে। আপনারা কি কেউ এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করবেন?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




