সহিংস ছাত্ররাজনীতির সর্বশেষ শিকার টাঙ্গাইলের দরিদ্র পরিবারের সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের ছাত্র আবু বকর। দিনমজুর বাবাও সন্তান আবু বকরের পড়াশুনার খরচ চালানোর জন্য মা অনেক দিন ধরেই মাথায় নারিকেল তেল দেন না। এতে কিছু টাকা অন্তত বাঁচে। বকরকে ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে দিনমজুরের কাজ করতে হতো। এমন একটি নির্দোষ তরুণ যার স্বপ্ন ছিলো প্রতিষ্ঠিত হয়ে বাবা মাকে একটু সুখের মুখ দেখাবেন, সেই আবু বকরের স্বপ্ন পূরণ হতে দিলোনা প্রশ্নবিদ্ধ ছাত্র রাজনীতি। মনটা খারাপ হয়ে গেলো খবরটা পড়ে। কিন্তু আমাদের মতো পাবলিকের পক্ষে এইসব ইস্যুতে মন খারাপ করতা ছাড়া আর কি করার আছে?
কিন্তু আমি হতভম্ভ হয়ে গেলাম এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য শুনে। বৃহস্পতিবার আন্তমন্ত্রণালয় একটি বৈঠক শেষ করার পর সাংবাদিকেরা এই ব্যাপারে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সাহারা খাতুন বলেন, "এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা, কোনো ব্যাপার না। এমনটি ঘটতেই পারে। তবে আমরা কী পদক্ষেপ নিচ্ছি সেটাই আসল"।
মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লগিং করেন কিনা জানি না। তাঁর কাছে আমার প্রশ্ন, আর কতটি নিষ্পাপ প্রাণহরণ প্রমাণ করবে এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়? তিনি দ্বায়িত্বে আসার পর থেকেই তো বলে আসছেন, পদক্ষেপ নিচ্ছি। কিন্তু সেই পদক্ষেপের ফলে কোন পরিবর্তন তো দেখতে পাচ্ছি না। ছাত্র সংগঠনগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে আর কত সাধারণ ছাত্রকে প্রাণ দিতে হবে। সাংগঠনিক নেত্রীর পদ ছেড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের কাজের প্রতি নীতিগত অসমর্থন ব্যাক্ত করেছেন। কিন্তু তিনি সেটি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার দ্বায়িত্ব তিনি কখন পালন করবেন শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস রোধে? আমরা আরো কত দিন এইসব বিচ্ছিন্ন (!) ঘটনা দেখবো? প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি জবাব দেবেন আবু বকরের বাবা মা কে?
(ব্লগারের একান্ত নিজস্ব মতামত)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




