বাংলাদেশের আজকের জয় আমার কাছে সত্যিই ঐতিহাসিক বলে মনে হয়। কেনো ঐতিহাসিক মনে হয় সেটা টেকনিক্যালি ব্যাখ্যা করা মুশকিল। সম্ভবত অস্ট্রেলিয়া নামটা শুনলে, ছোটবেলার সেই মাইটি অস্ট্রেলিয়ার চেহারা ফুটে ওঠে বলে। সেই অস্ট্রেলিয়াকে আমরা হারিয়ে দিয়েছি! যদিও সত্যিকারর্থে এই অস্ট্রেলিয়া সেই দল নয়। এমনকি পূর্ণ শক্তির দলও নয়। সামনের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই স্কোয়াডে আরো পরিবর্তন আসবে। কিন্তু ওদের দলটা তো ওদেরই নির্বাচন করা। এই সিরিজের পরে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ খেলতে আসলে হয়তো আরো সতর্ক হয়ে দল নির্বাচন করবে। এবারের মতো এত ব্যক্তিগত কারণে খেলোয়াড়দের বাড়িতে রেখে আসবে না।
তিনটা ম্যাচেই আমাদের দল ব্যাটিং এর চেয়ে বোলিং ভালো করেছে। আজকের ম্যাচের সবচেয়ে সেরা বোলিং নিঃসন্দেহে মুস্তাফিজুর রহমানের। ম্যাচের শুরুর দিকে ওভারগুলো দেখিনি। মুস্তাফিজের নিজের লাস্ট ওভারটা দেখেছি। ম্যাচের ঐ অবস্থায় ঐরকম একটা ওভার বাংলাদেশের আর কোন বোলার করতে পারবে বলে মনে হয় না। এটা মুস্তাফিজের জন্য প্রশংসার। তবে দলের জন্য চিন্তার বিষয়। সামনের বিশ্বকাপ দলে ডেথ ওভারে বোলিং করার জন্য আমাদের হাতে অপশন কম। সামনের ম্যাচগুলোতে অন্য বোলারদের দিয়ে চেষ্টা করা যেতে পারে। যেহেতু সিরিজটা জিতেই গেছি। বোলিং এর অতিরিক্ত সফলতায় ব্যাটিং এর ফাঁকিবাজি ঢাকা পড়ে গেছে। তবে আফিফ হোসেনের খেলা ভালো লেগেছে। ফেসবুক সেলিব্রেটিতে পরিণত না হলে মাহমুদুল্লাহর পরে বাংলাদেশ দলের আর একজন ডার্ক নাইট হতে পারে সে।
মোটের উপর, করোনার এই দুঃসময়ে একটা আনন্দের উপলক্ষ তৈরি করে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ।
ছবি:বিসিবির অফিশিয়াল পেজ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৫