আমরা অনেকেই শুধু মনেই করিনা, বিশ্বাসও করি টাকাই সব, বাকি সব মিথ্যা! রাজনীতি বাদে, বড়লুক হওয়ার সম্ভবত সবচাইতে সহজ উপায় লটারী !!
অসঙ্খ্য মানুষের কাছে লটারী জিতাটা একটা স্বপ্ন। ইস্ যদি একবার লাইগা যায়, ১০ টাকায় ৪০ লাখ! জীবনে আর পিছন ফিরা তাকাইতে হইব না! বিএমডব্লু, নাভানার ফ্ল্যাট, উফফফ... ভাবতেই কইলজা ফুইলা উডে!!
কিন্তু অনেকের লেইগা, বাস্তবতা ছিলো দুঃস্বপ্নের চাইতেও ভয়ঙ্কর!
আসেন দেহি কয়জন সৌভাগ্যবান, কেমন আসেন তেনারাঃ
১।
একবার না, দুই দুইবার লটারী জিতসেন এভ্লিন আডামস, ১৯৮৫, ১৯৮৬।
৫.৪ মিলিওন আমেরিকান ডলার!!!
বর্তমানে উনি একটা ট্রেইলারে থাকেন। কিছুই অবশিষ্ঠ নাই!
'আমি জিতসিলাম ঠিকি, কিন্তু সেইটা হারাইসিও বটে। পতনডা এক্কেবারে সলিড ছিল ভাইজান, মাথায় আকাশ ভাইংগা পর্ছে, চইক্ষে সইষ্যা ফুল দেক্সি!!'
'আমি কড়া জুয়াড়ু আছিলাম, কুটি কুটি টাহা বাজীতে না হারলেও, এক্কেরে ছুড খাট পরিমানো না!
অনেক ভুল করছি, কিসুর লেইগা পস্তাই, কিসু কিসুর লেইগা কুন আফসুস নাই'।
এটলান্টিক সিটির স্লট মেশিন গুলিতে সে ভাল সময় কাটায়ছিল।
আডামস আবার সুযোগ পাইলে তার ভুল সুধ্রাইতে চায়। তার সমস্যা সে কাউরে 'না' কইতে পারে নাই। দুই হাতে বিলাইছে।
২।
উইলিয়াম 'বাড' পোস্ট। প্রাইজ মানিঃ ১৬.২ মিলিয়ান আমেরিকান ডলার!!! পেনিসিল্ভেনিয়া লটারী ১৯৮৮।
'আই উইশ ইট ন্যাভার হ্যাপেন্ড। সেইডা একটা দুঃস্বপ্নের মত হানা দেয়!'
বাডের এক প্রাক্তন প্রেমিকা প্রাইজ মানির শেয়ারের জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা ঠুইকা দেয়। কিন্তু ভাইজানের আদালত-আনাগোনা অইহানেই সীমাবদ্ধ থাকেনাই। হের ছুড ভাই ভাড়াইট্যা খুনি দিয়া হের সান্ডে-মান্ডে কুলুজ কইরা হের সম্পত্তি আত্নসাত করবার চাইসিলো। বাকি ভাই-বইনেরাও কম যায়নাই। হের গলায় পাড়া দিয়া ব্যবসায় ইনভেস্ট করাইছে। লাভের মুখতো দুরের কথা, হেগো সম্পর্কই নষ্ট হইয়া গেলো।
উনি আবার গুল্লি করসিল এক বিল-সংগ্রহকারীর খুল্লি বরাবর (আমারো ইন্টারনেটের বেডাইনগো ......)।
এক বছরের মাথায় হে উল্টা নিজেই ১ মিলিওন ডলারের বাকির খাতায় পইড়া গেসে।
বর্তমানে মাসে ৪৫০ ডলার আর ফুড-কার্ড (আমগো দেশের ভিজিএফ কার্ডের ডিজিটাল ভার্সন) এর বদৌলতে বাইচা আছে।
কাহিনি সারাদিন লেইখা শেষ করা জাইবনা, কে কেম্বে নিয়তির কাসে কট খাইসে।
১৯৯৩ তে সুজান মালিন্স ($৪.২মি), কেন প্রক্সমায়ার ($১মি),
উইলি হার্ট ($৩.১ মি), চার্লস রিডেল ($ ১ মি) প্রাইজ মানি জিতসিলো, কিন্তু ওই একি কাহিনি কমবেশী!! ২-৪ বছরের মাথায় ব্যাড-ইনভেস্টমেন্ট, জুয়া, মামলা, ড্রাগস... আত্নীয়-স্বজনের খাঁমচা-খাঁমচিতে সব শেষ!! হগলতের হাল এহন '' শুন মমিন মুসলমান...... একটা দুম্বা বান্দা আছিল গাছেরো তলায়!! ''
তবে জ্যানাইট লী'র ($ ১৮ মি, ১৯৯৩) আত্নাডা বড় ছিলো মনে লয়। সে বিভিন্ন খাতে দান-দক্ষিনা কর্সেন। পলিটিক্সে, শিক্ষায় আর সামাজিক কামে।
শেষমেশ ৮ বৎসরের মাথায় তারে দেউলিয়া ঘোষনা করা হয়, তখন তার ব্যাঙ্ক ব্যালান্স মাত্র $৭০০ !!
বুচ্চেন কাগু, লটারী জিৎলে বেহুশ হইয়া জাইয়েন না ! !
মনে রাইখেন, এইরাম সুলেমানি তরিকায় জিতা মুডা এমাউন্টের টাকার দুইডা সাইড থাহে। ইন্টেরিওর সাইড- সাইকোলোজি অফ মানি, আর হইলো হেই টাহার সাথে পরিবারের সম্পর্ক। এই দুইডার সহি-সুন্দর একত্রীকরন না কর্লে, হেই সম্পদ ধইরা রাখা অসম্ভব!!
এক্সটারিওর/ বাহ্যিক দিকটা হইলো- শুল্ক, কর বা টাকার বন্টন।
তাই, ভাবিয়া কইরেন "স্পেন্ড", কইরা ভাইবেন্না!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




