প্রথম
যে তোরে ছাগল বলে
তারে তুই বলিস নে কিছু।
যে তোরে ছাগল বলে
তারে তুই বলিস নে কিছু।
আজকে তোরে ছাগল বলে
ল্যাজায় যে দেয় আগুন জ্বেলে
কাল সে প্রাতে বরফ হাতে
আসবে রে তোর পিছু পিছু।
(২০১৪ সালের আর দেরী নাই!!!)
আজকে তোরে ছাগু ভেবে
পাছায় লাথি যারাই দেবে
কাল সে ভুঁয়ে পড়বে শুয়ে
করবে রে তার মাথা নিচু।।
(নাইলে কল্লা কাইট্যা ফালামু না??)
যে তোরে ছাগল বলে
তারে তুই বলিস নে কিছু।
=============
দ্বিতীয়
ল্যাজ তুলে তুই দাঁড়া দেখি দিনেরাতে লাফাস নে আর।
অকারণ লাফ দিলে তোর সরু ঠ্যাং সইবে না ভার।
এখনো তোর হয়নি দাড়ি, শিং গজাতেও অনেক দেরি
এখন থেকেই এমন করে দিস না রে লাফ গাছে চড়ার।।
এদিক ওদিক খাসনে যা-তা, চিবো কেবল কাঁটালপাতা
জ্যান্তো মানুষ কামড়াতে তোর চাই দু-পাটি দাঁতেরও ধার।।
শোন রে এই বেকুবের কথা, দিস না রে লাফ যেথা সেথা
নইলে লোকে গদাম দেবেই, কচি হলেও পাবি না ছাড়।।
================
তৃতীয়
হে বাঙালী ছাগু পূণ্যতীর্থে চলোরে ধীরে
পাঞ্জাব পারে পাক পাহাড়ের খাদের তীরে
যেথায় দাঁড়ায়ে লাঙুল উড়ায়ে ছাগুরা জাতীয় পশু-
নির্ভয়ে বাস, খায় কচি ঘাস, ছাড়ে লাদি, করে হিসু।
ধ্যানগম্ভীর সেই যে ভূধর, অতি লোভনীয় তৃণপ্রান্তর
সেথা সুখে থাকো শিং উঁচু রাখো, আপন নীড়ে।
পাঞ্জাব পারে পাক পাহাড়ের খাদের তীরে।।