
আমাকে ৫ বছর বয়সে বেবিতে ভর্তি করানো হয়। কিছুদিন পর গ্রীষ্মকালীন ছুটি পাই। তখন স্কুলও ভালো লাগে , বাসাতেও ভাল লাগে। বিকাল বেলা এলাকার বন্ধুদের সাথে মার্বেল খেলি, লাটিম খেলি, ডান্ডাগুটি খেলি। বড়রা বল খেলে, সেখানে যোগ দিয়ে বলে লাথি মারাই টার্গেট। অহরহ পরে যাই, হাটু ছিলি, কনে ছিলি, তাও মজা আর মজা...
এর ভেতরে স্মরণ নামের এক বন্ধুর মুসলমানি হল। সুন্দর একটা লুঙ্গি পরে হাত দিয়ে সামনের টুকু ফাক করে হেটে বেরাচ্ছে। সকালেই আমরা এক সাথে খেলেছি আর বিকেলেই এই অবস্থা। সকালে নাকি খেলা শেষে বাসায় গেছে, আর ৩ ভাইয়ের এক সাথে কাম ঘটায়ে দিছে। আমি সহ অন্যরা লুঙ্গির ভেতর আসলে কি হইসে দেখার জন্যে ব্যাকুল। সে আর দেখাবে না। লজ্জায় অস্তির। অথচ কতদিন হিসু দেবার সময় প্রস্রাব দিয়ে কাটা কাটি খেলছি।
যাইহোক সেদিন আর রহস্য উন্মোচন হল না। পরের দিন বুদ্ধি করে স্মরনের লঙ্গি হ্যাচকা টান দিল একজন। লুঙ্গি খুলে টুনটুনি দেখে ফেললাম, জায়গাটা ফোলা, সাদা পাউডার লাগানো। সে তো জাওরা হাওড়া করে বকতে বকতে কান্না শুরু করল। তারপর লুঙ্গি হাতে নিয়ে নাংটো হয়েই বাসায় গেল। আমরা তো আগেই চিরচির করে একেক দিকে দৌড়।
আমিও ছুটির কোন একদিন ১১ টার দিকে বাসায় ফিরছি। আমাকে গোসল দেয়া হল। দেখি নানী দাদী, চাচা ফুফু সবাই বাসায় আসছে। আব্বার অফিসের কলিগ এনামুল কাকাও আসছে। সাথে ২ জন অচেনা লোক। গোসল দেয়া শেষে আমাকে নতুন লুঙ্গি পরানো হল। তারপর এনামুল কাকা আমাকে ডেকে বলল, কাকা তোমাক নতুন এক কাকার সাথে পরিচয় করে দেই। ওনারা অনেক দূর থেকে আসছে। পরিচয় হলে তোমাকে একটা যাদু দেখাবি।
আমি গিয়ে দেখলাম মাঝ আঙ্গিনায় নতুুন গামছা বিছানো। আমাকে একটা উচা পিড়ির ওপর বসানো হল। কাকা বলল, এই নতুন কাকা একটা মন্ত্র পড়বি, তুমি তখন আকাশে একটা বড় পাখি দেখতে পাবা। এখন চোখ বন্ধ করে আকাশের দিকে মুখ কর। পাশে আব্বা সহ আরও অনেকে দাড়ায়ে। ভয় লাগতেছিল না। কিন্তু লুঙ্গি পড়ানো টা সন্দেহ জনক লাগছিল।
যাইহোক কাকা বলল, তুমি তো চোখ বন্ধ করে আছো, তোমার হাত ধরি , না হলে পড়ে যাবা। যাই হোক, হাত পায়ের তল দিয়ে পেচিয়ে ধরার সাথে সাথে মন্ত্রের মত কিছু একটা বলছিল। এর মধ্যেই অনুভব করলাম আমার পার্সোনাল পাটর্স কেউ একজন টেনে ধরছে। আমি মাথা নিচু করতেই দেখি ওটা মাথায় বাঁশের চিমটা লাগানো। কিছু বুঝে ওটার আগেই হাজং আগার চামড়া কেটে দিল। আমি দেখলাম ফোটায় ফোটায় রক্ত বের হচ্ছে। প্রথমে জ্বলেনি। তারপর, আর যাবো কই। প্রচন্ড জ্বালা পোড়া। একটা গজ দিয়ে নেবানল পাউডার লাগিয়ে দিল। এনামুল কাকার পেছন থেকে কে একজন আমার মাথা মোচড় দিয়ে আকাশের দিকে তুলে ধরছে।
আমি মা বলে চিৎকার দিলাম। পাউডার লাগানোতে জ্বালা আরও বাড়ছিল বোধায়। মা ঘর থেকে দৌড়ে এসে বলতেছে, কিছু হয়নি আব্বা। কিছু হয়নি। এখনিই ঠিক হয়ে যাবে। চারপাশে অনেক মানুষ কাদতেও লজ্জা লাগতেছে। এর ভেতরে, আব্বা লুঙ্গি পড়া অবস্থায় কোলে করে ঘরে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিল।
লুঙ্গি খুলে হাক্কা হুয়া অবস্থা। দাদী নানী মা খালা... সব মহিলারা আমার চারপাশে। অবশ্য তারা প্রায়ই আমাকে নাংটো করেই সাবান মাখিয়ে গোসল দিত। লজ্জা টজ্জা পাচ্ছিলাম না। ওটার জন্ত্রনায় অস্থির। আশির দশক, তাই মাথার উপর সিলিং ফ্যান থাকলেও কারেন্ট থাকতো না। হাত পাখা দিয়ে দুপাশ থেকে বাতাস করছে। এক সময় ঘুমিয়ে যাই।
প্রস্রাব করার সময় জ্বলতো। বুঝতে পারতাম জিনিসটা ফুলো অনেক ভারি হয়ে গেছে। ৩য় দিনে দাদি কে বললাম, দাদি শুয়ে থাকতে থাকতে পিঠ ব্যাথা করছে। দাদি বলল, বসবা? ঘরে কেউ ছিল না, দাদি আমাকে উঠে বসালো। কয়েক মিনিটের ভেতরে আমার প্রচন্ড ব্লিডিং শুরু হল ১ম দিনের মত। মা দাদিকে অনেক কথা শোনালো। দাদি মন খারাপ করে রাতেই নিজের বাসায় ফিরে গেল।
হাজং কে আব্বা ঐদিন ধরে নিয়ে আসলো। পরিস্কার করে আবার নতুন করে ব্যান্ডেজ করে দিল। বলল, আমার অন্যদের তুলনায় চামড়া বড় ছিল, তাই বেশি কাটছে, তবে মাপ দিয়েই। অনেকের রক্ত বন্ধ হতে একটু সময় লাগে। ভয়ের কিছু নাই। মা সারা রাত বসে বসে বাতাস করল মশারির ভেতর। আমি পুরান খ্যাতায় প্রস্রাব পায়খানা করছি কয়েকদিন।
১০-১১দিনের মাথায় পুরো সুস্থ্য হয়ে গেলাম। হাফ প্যান্ট পরে খেলতে যাই। একদিন ৪ বন্ধু বলল, এক মাসের মধ্যে তো সবারই মুসলমানি হল। চল এক চিপায় গিয়া দেখি, মাথা কাটার পর কারডা দেখতে সুন্দর হলো। আমিও সায় দিলাম। গেলাম, একে একে ৩ জনের টা দেখলাম। আমার পালা যখন এলাে দিলাম উরাধুরা দৌড়।
তারপর স্কুল খুলল। স্কুল ছিল সকালে, ফেরার পর গোসল, খাওয়া দাওয়া তারপর ঘুম। বিকালে মা পড়তে বসায়। বদমায়েস গুলার সাথে আর দেখা হয় না।
৪০ দিনের মাথায় আব্বা আমাকে ঘাড়ে নিল। বলছিল, টিনের চালায় একটা জিনিস গুজিয়ে রাখছি, তোমাকে ঘাড়ে নিলে তুমি জিনিসটা পারবা, তারপর খুলে দেখবা।
আমি আব্বার ঘাড়ে চরে জিনিসটা পারলাম। দেখি কলা পাতায় মোড়ানো কিছু একটা। খোলার পর বুঝলাম, ওটা আমার নুনুর কাটা চামড়া। শুকে শক্ত হয়ে আছে। আমি আব্বার হাতে দিয়ে দৌড় দিলাম। আব্বা হাসতে হাসতে বলতেছে, এটা নিয়ে যা, ইদুঁরের গর্তে ফেলা লাগবি।
এর কিছুদিন পর। কোন এক রহস্যের কারনে, আমি মুসলমানি করা ফুটফুটে শিশ্নে লিপিস্টিক লাগাই। রাতে শোবার সময়, মা আমার ছোট ছোট আঙ্গুলে লাল লিপিস্টিক লাগানো দেখে বলে, তোর হাতে লিপিস্টিক ক্যা বাপ। লিপিস্টিক ভাঙছু? আমি বলছিলাম, এমনি দেখতে গেছিলাম, খাপ খোলার সময় হাতে ভরছে।
এমনিতে আমি বিছানায় হিসু দেই না। আল্লার কি কাম, সে রাতে আমি হিসু দিছি। মা আব্বাকে বলে, তুমি হাফ প্যান্ট খোল, আমি আর একটা শুকনা প্যান্ট নিয়া আসি। আব্বা প্যান্ট খুলতে চায়, আমি আর খুলতে দেই না। পরে মা এসে মশারির ভেতরেই দাড় করায়া প্যান্ট খুলল। আর যাই কই। আব্বা হাসতে হাসতে বলে, তুমি এডা কি করছো, লিপিস্টিকের মাথায় লিপিস্টিক দিছো ক্যা। মা বলে, তুই কখন এই অকাম করছু রে?
আমি আহলাদে মার দিকে হাত মুঠি করে মারতে গেলাম। মা এর ভেতরেই আমাকে শুকনা প্যান্ট পড়িয়ে দিল। আবারও ঘুমালাম।
আজ আব্বা নেই। কিন্তু সেই ছোট বেলার ভাসা ভাসা কিছু কথা যখন তখন মনে পরে...
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৫৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




