somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের কিছু আজাব নামা...পর্ব-৫ (পাচমিশালী)

২১ শে মে, ২০০৮ দুপুর ২:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
কুপা ব্লগে ফিরিয়া আসিয়াছে এইটা একটা পুরান খবর।
View this link



নিজের জীবনের কিছু একান্ত ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়া লেখতে চাইছিলাম। মাগার বেশী দূর যাইতে পারি নাই। শারীরিক অসুস্থতার জন্য মাঝখানে ৮/৯ মাস নেটে আসতে পারি নাই। আবার এখন থেকে "জীবনের কিছু আজাব নামা"র বাকী পর্ব গুলা লিখা শুরু করব।

সম্ভবত আগের মত ধারাবাহিকতা বজায় রেখে লিখা সম্ভব না, কিছুটা এলোমেলো হয়ে যাবে।

যারা আগের পর্ব গুলা পড়েন নাই তাদের জন্য আগের পর্ব গুলা নিচে দিয়া দিলাম


আজকে শুরু করমু আমার অসুস্থতার সময় কি দিন গেল....

-------------------------------------------------------------------------

গত বছর জুলাইমানের মাঝামাঝি আমার অবস্থা খুবই খারাপ, কোন কিছু খাইতে পারি না। খাইলেই বমি হয়, কোন কিছু খাওনের সাথে সাথেই বিনা কারনে কাশি.... ইত্যাদি হাবিজাবি সমস্যা নিয়া ঢাকা এ্যাপলো হাসপাতালে গেলাম।

ডাক্তার সব শুইন্য কয় আপনাকে কিছু টেষ্ট দিতেছি ওইগুলা টেষ্ট কইরা নিয়া আসেন। ভাল কইরা তাকাইয়া দেখি ওই টেষ্ট গুলার মধ্যে একটা টেষ্ট 'ক্যন্সারের "।

ক্যন্সারের টেষ্ট দেইখ্যা আমার মাথা ঘুরতাছিল। কিছুক্ষন ঝিম মাইরা বইস্যা ছিলাম।
বইয় বইয়া চিন্তা করতাছি বাসায় কি কমু নাকি যে আমারে ক্যন্সারের টেষ্ট দিছে?।

অনেক্ষন বইস্যা থাইক্যা পরে ব্লাড টেষ্টএর সেম্পল দিতে গেলাম, বাকী কিছু টেষ্ট করতে দিলাম.. তার পর বাসায় চলে গেলাম।

মনে মনে ঠিক করলাম বাসায় কিছুই বলা যাবে না, তাইলে কেয়ামত হইয়া যাইব।
রাতে বেলা গার্লফ্রেন্ডএর সাথে খুবই নরমাল কথাবার্তা কইলাম। মাগার আমার মন কিছুতেই ভাল লাগতেছিল না, মনটা কেন যেনা ভার ভার হইয়া যাইতেছিল।

আধা ঘন্টা নানান রোমন্টিক কথা বার্তা চালাইয়া যাইতেছি ভাব মারতাছি যে আমি খুবই নরমাল আছি।
হটাং গম্ভীর হইয়া আমরে কইল "'তুমাকে একটা কথা জিগাস করি, সত্যি উত্তর দিবা।" কইলাম এইটা আর এমন নতুন কি ব্যাপার? তুমি যাই জিগাইবা সত্যি উত্তর পাইবা।
আমারে জিগাইল "সত্যি করে বল, তুমার কি হইছে?"
প্রশ্ন শুইন্যা আমর সারা শরীর দিয়া ঘাম ছুটা শুরু করছে, মনে মনে কইলাম অহন তো দেখি সত্যিই ধরা খাইলাম।

কইলাম, কই কিছুই না তো?
এই বার আরো গম্ভীর হইয়া কইল "তুমাকে না বলছি আমার কাছে কোন কিছু লুকাবা না"
আমি কইলাম তেমন কিছু হইলে তো আমিই তুমাকে বলতাম।
তখন আমরে কইল "আমি এখন যদি ফোনটা রেখে দেই তাইলে আর জীবনেও আমাকে খুজে পাবা না...."
বললাম রাতের থেকে আমার শরীর টা ভাল যাচ্ছে না।

কইল, গত কিছু দিন ধরেই তুমার শরীর ভাল দেখতেছি না।

আমি কইলাম হুম।
আমারে জিগাইল ডাক্তারের কাচে গেছি কি না?
কইলাম না, আবার কইলাম হা।
আমরে জিগাইল এর মানে কি ? একবার হা আর একবার না? মিথ্যা কথা কোথা থেকে শিখছ?
কইল "আগামী কাল বিকালে রেডি থাকবা আমি ডাক্তারের কাছে নিয়া যাব।"
আমার তো মাথা ঘুরতাছে হায় হায় ডাক্তার তো দেখাইছি... অহন কি করুম? /:)

কইলাম ঠিক আছে, তুমি এপয়েন্টম্যান্ট কইরা রাইখো আমি সময় মতো চইল্যা যামু।
কইল না, আমিও সাথে যাব....
ডরে ডর কইলাম ঠিক আছে, এর পর চিন্তায় পইরা গেলাম... অহন তো ধরা খামু....
চিন্তায় রাইতে আর দেখি ঘুম আসে না....

সকালে উঠ্যা ওরে ফুন দিলাম, কইলাম ডাক্তারের ফুন নং দাও এপয়েন্টমেন্ট করি, তার পর কথা ঘুরাইয়া কইলাম ঢাকা এ্যাপলো হাসপাতালে ভাল চিকিৎসা হয় চল ওই খানে যাই। এই কথা কইয়া, কইলাম তাইলে আমি এ্যপোল তো এপয়েন্টমেন্ট করি, যাবার সময় তুমারে নিয়া যামু।
রাজি হইয়া কইল "তাহলে তাই কর. আমার দুইজন এক সাথে যাব ডাক্তার দেখাতে, আমি তোমার সাথে না গেলে এবারো তুমার ডাক্তার দেখানো হবে না... আমি তো তোমারে ভাল করে ডাক্তার দেখাতে চাই"

রাতে দোস্ত গুরু রবিনরে ফুন দিলাম কইলাম দোস্ত এইবার আবার ডাইরেক্ট ধরা। সব শুইন্যা কইল ''বাচার কুনু উপায় নাই, তুই এ্যাপলোতে গিয়া আগে ডাক্তার দেখা দেখা, ডাক্তার কি কয় শোন। তার পর ওরে ফুন দিস। পরে অবস্থা বুইজ্যা ব্যবস্থা করা যাইব।''

গার্লফ্রেন্ড কে কইলাম এ্যাপয়েন্টমেন্ট করছি ৩ দিন পরে টাইম দিছে। আর এই ফাকে ৩ দিন টেষ্ট গুলা শেষ করলাম।

৩ দিন পরে টেষ্ট এর রিপোর্ট গুলা নিয়া এ্যপলোতে ডাক্তার দেখানুর জন্য বইস্যা আছি তখন আমারে ফুন দিল, কইল "আজ তো তোমার ডাক্তারের কাছে যাবার কথা তুমি কি রেডি?" আমি কইলাম সকালে আব্বা আমাকে এ্যপলোতে নামাইয়া দিয়া গেছে এখন ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করতাছি।
আমার কথা শুইন্যা একটা চিক্কুর পাইরা কইল "হয়্যাট!!! আমাকে না নিয়া তুমি কোন সাহসে ডাক্তারের কাছে গেছ? সত্যি করে বল তুমি কি এখন ডাক্তরের কাছে কি না? " আমি কইলাম সত্যি আমি এখন এ্যপলোতে।

কইল "তাহলে তুমি থাক আমি এখনই আসতেছি।" সাথে সাথে ফুনের লাইন টা কাইট্যা দিল, আমি ফুন দিলাম দেখি ধরে না.... আমার তো ভয়ে কইলজা কাপতাছে.... ওয়েটিং রুমে বইস্যা দেয়া ইউনুস পরতাছি....'লাইলাহা ইল্লা আন্তা সোবাহানা..."

২০/২৫ মিনিট পরে দেখি আমারে ফুন দিছে কইল "আমি এখন এ্যাপলোতে তুমি এখন কোন ওয়েটিং রুমে, আজ মিথ্যা কথা বাহির করব....X((?
কইলাম ঢুকে র্ফর্মেসির পাশে ডানের ওয়েটিং রুমে বসে আছি।

একটু পরে দেখি ওয়েটিং রুমে ঢুকে আমাকে খুজতাছে... আমি হাত তুলে হাই কইলাম... আইস্যা আমার পাশে বসল ... কইল আমারে নিয়া আসলা না ক্যান?

আমি উত্তর দেওয়ার আগেই আমার হাতের রিপোর্টের খাম গুলা চোখে পড়ল... সাথে সাথে গম্ভীর হইয়া কইল তোমার হাতে কিসের রিপোট ? কইলাম গত কাল এই গুলা করছিলাম তোমাকে বলা হয় নাই শুনলে তুমিও আমার সাথে আসবা.... তোমাকে কষ্ট দিতে চাই নাই।
চুপ কইরা রইল... খালি কইল হুম.... বুঝলাম আইজ একটা কাল বৈশাখী হইব.... :(

তারপর ডাক্তারের কাছে যাওনের ডাক পড়ল... একটা সুন্দর মাইয়া আইস্যা কইল আমার সাথে আসেন..... আমি মাইয়ার সাথে যাওনের আগে কইলাম তুমি বস আমি ডাক্তার দেখিয়ে আসছি।
লগে লগে কইল “না আমিও তোমার সাথে যাব.... “
হাসপাতালের এ্যটেন্ডেস মাইয়া টা কইল "পেশেন্ট তো উনি, ডাক্তার তো উনাকেই দেখবেন”

মাইয়াটারে কইল “আমি ওর সাথে গেলে আপনার সমস্যা কি?... উনি আমার কি হয় আপনি জানেন? আমার যাবার দরকার আছে....” যে ভাবে শক্ত কইরা কইল তাতে মাইয়াটাই আর কিছু কওনের সাহস পাইল না...

হাসপাতালের মাইয়া টা মূলত ডাক্তারের এ্যসিষ্টেন হিসাবে কাজ করে.... আর পাশাপাশি রোগীর অনুবাদের কাজ কইরা দেয় (ইন্ডয়ান ডাক্তারের কছ হিন্দি কইরা দেয়) .......যথারীতি ডাক্তার সব টেষ্টের রিপোট দেখল, আবার বিস্তারিত শুনল... কইল আরো কিছু টেষ্ট করতে হবে...

আমি ডরে ডরে আস্তে আস্তে ডাক্তারকে জিগাইলাম “ডাক্তার আমার কি ক্যান্সার ধলা পরছে?”

ডাক্তার কইল ... its not clear.... need more test...

ডাক্তারের কথা শুইন্যা আমার গালৃফ্রেন্ড একটা চিল্লান দিয়া কইল “ডাক্তার ওর কি ক্যান্সার হইছে?????? ... আমার দিকে তাকাইয়া কইল “তুমি একটা চোর, শয়তান ভন্ড... আমার কাছে এইটা কেন লুকাইছ? ....” এই কথা কইয়া চোখের পানি ছাইড়া দিল.... হায় হায় এইটা কি হইল...


ডাক্তার আর হাসপাতালের মাইয়াটা অবাক হইয়া ওর চিল্লনি শুনতাছে.... লজ্জায় আমি মাথা নিচু কইরা বইসা আছি.....

চিল্লানি শুইন্য ডাক্তার ওরে শান্ত হইতে কইল... তার পর ডাক্তার ওরে অনেক কিছু বুজাইল... কইল “টেনশন কইরেন না.. তেমন মেজর কিছু ধরা পরে নাই..... আরো টেষ্ট করতে হবে তারপর শিওর হওয়া যাবে রোগ টা কি.....”

ডাক্তার আরো কিছু টেষ্ট ও দুইটা ঔষধ দিয়া বিদায় করল.... ডাক্তারের রুম থেকে বাহির হইয়া ওয়েটিং রুমে আইস্যা বসার পর দেখি ওর চোখের পানি বন্ধ হ্য় নাই..... ২/৩ মিনিট আমর পাশে বইস্যা কানতে থাকল... আশে-পাশের মানুষ দেখি সব তাকাইয়া আছে.....

হটাৎ কান্দন আরো বাইরা গেল....আওয়াজ কইরা কানতাছে... আমি শান্তনা দিতে থাকলাম... আরে তেমন কিছু হয় নাই.... দেখবা এই ঔষধ গুলা খাইলেই ভাল হইয়া যামু.....

আমার কথা শুইনা একটা চিক্কুর দিয়া উঠল..... কইল.. “তুমার কি.... তুমি তো একটা শয়তান...ভন্ড" এর পর হাউ মাউ কইরা কানতে থাকল.....

কান্দন শুইনা ওয়েটিয় রুমের সব পাবলিক আমদের দিকে তাকাইয়া রইল.... আমি কইলাম আস্তে লোকজন দেখতেছে.... লগে লগে .... আরো জোরে হাউ মাউ কইরা কাইন্দা উঠল... একটা চিক্কর মাইরা কইল, "আমার কাছে লুকাইছ ক্যান.....?"

কইয়া দুই হাতে আমর মাথার চুল ধইরা মাথাই টাইন্যা মাথা ঝাকাইতে থাকল.... চুল মনে হয় সব গুলা ছিইড়া যাইতাছে...আমি কইলাম আরে কি কর, কি কর....
তারপর আরো কি যে কইল সব কথা মনে নাই.... এর পর ঘটল সবচে দূভাগ্য জনক ঘটনা টা....

হটাৎ ওর হাতে থাকা সব রিপোর্ট ছুইড়া মাটিতে ফালাইয়া দিল... তারপর ঠাশ কইরা একটা চর মারল আমার গালে ... চিক্কার দিয়া কানতে কানতে আমারে কইল ... "তুমি আমার কাছে এই গুল লুকাইছ ক্যান......?????? এই কথা কইয়া আরো ২/৩ টা চড় মারল..... চড় খাইয়া আমর আর কুনু কিছু মনে নাই... দেখি মাথা ঘুরতাছে..... :(
:( :(
হাউ মাউ কান্দন আর আমরে চড় মারা দেইখ্যা সব লোকজন জড় হইয়া গেল..... আমি তো হত ভম্ব হইয়া গেছি... কি করুম কিছুই বুঝতাছি না..... লজ্জায় মনে লইতাছিল মাটি যদি দুই ভাগ হইয়া যাইত আর আমি ভিতরে ডুইক্যা যাইতে পারতাম... হায় আল্লাহ মান সম্মান বুঝি আর রইল... না... আমার আর কোন কথা বলার শক্তি নাই..... আমর মনে হইতে ছিল আমি কেন মইরা যাই নাই..... :( :( :(

সেই দিন যারা এ্যাপলোতে ছিলেন... অনেকই সেই ঘটনার স্বাক্ষী......

আমি আর কুনু কথা কইতে পরলাম না.... কিছু লোক জনকে কইতে শুনলাম ঘটনা কি?.... পরে হাসপাতালের এ্যটেন্ডেস মাইয়াটা আইস্যা আমারে ধইরা পাশের একটা রুমে নিয়া গেল..... সেখানে বসাইয়া রাখল... আমরে জিগাইল উনি আপনার কি হয়?.... আমি কুনু কথাই কইতে পারলাম না..... মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম ওর সাথে আর কুনু এ্যফেয়ার না.... আজ সব সম্পর্ক কবর দিয়া শেষ কইরা বাসায় যামু......

একটু পরে দেখি কানতে কানতে হাতে টেষ্টের রিপোর্ট গুলা নিয়া রুমে ঢুকল... রুমে তখনো হাসপাতালের মাইয়াটা... দাড়াইয়া আছে.....

রুমে ডুইক্যাই দৌড় দিয়া আমার দিকে আসতে লাগল... মাইয়াটা কইল আপনি ওই দিকে যাবেন না.... কে শুনে কার কথা...

দৌড় দিয়া আইস্যা আমার জড়াইয়া ধইরা কানতে থাকল..... কইতে থাকল... “তুমি কি আমাকে আপন কিছু ভাবতে পার না....? আমি কি তোমার কেউ না?...... আমার কাছে এত কিছু কেন লুকালা..... তুমি না থাকলে আমি কি নিয়ে বাচব???? তুমি ছাড়া আমর জীবনে আর কি আছে.....”

এই সব হাবি জাবি কইয়া ছুটু পুলাপাইনের মত কানতে থাকল......

আমি চুপ মাইরা আছি.... দেখি আরো দুইটা নার্স আইস্যা দড়জায় দাড়াইয়া এই ঘটনা দেখতাছে......

মিনিমাম আরে আধা ঘন্টা আমারে জড়াইরা কাণতে থাকল......

হাসপাতালের মাইয়াটা আমাদের শান্তনা দিতে থাকল..... কইল.. উনার তো রোগ এখনো ধরা পরে নাই..... সো এত টেনশন করার কোন কারন নাই... প্লিজ আপনারা এখন বাসায় যান......

কিছুক্ষন বইস্যা থাকার পর আমরে কইল... চল.. তুমাকে আজ আমি বাসায় দিয়া আসব....

তার পর আমারে ধইরা রুম থেইক্যা বাহির হইল....

বাহিরে আইস্যা দেখি ওয়েটিং রুমের সব পাবলিক আমর দিকে তাকাইয়া আছে..... লজ্জায় আর আমি মাথা তুলতে পরছিলাম না.....

হাসপাতাল থেকে বাহির হইয়া আমারে নিয়া হাসপাতালের সামনে (বসুন্ধরা বাজার নামে ) কাছের একটা ফাষ্টফুডের দোকানে বসাইল... কইল কি খাইবা.... আমি আর কুনু কথা কই না.. চুপ মাইরা আছি........

অনেক্ষন চুপ মাইরা পইরা রইলাম.... চুপ মারা দেইখ্যা আমারে অনেক কিছু বুঝাইল..... যার মর্ম অর্থ হইল.. তুমি ছাড়া আমার জীবনে আর কি আছে.... তোমার ভাল মন্দ সবই আমর ভাল মন্দ..... এখন থেকে যাই কিছু হোক আমরা সবই শেয়ার করব..... “আমার মাথা ছুয়ে বল এখন থেকে কোন কিছু লাকাবা না.....”

তার পর সেকি আদর .... আমি কি খামু কি খাইতে মন চায় .... ইত্যদি জিগাইতে লাগল... আমার মাথায় গায়ে হাত বুলইয়া দিতে থাকল.... লক্ষী সোনা মানিক ইত্যদি কইতে থাকল...

আমি শুধু কইলাম... আমার গালের (চড়ের ) লাল দাগ গুলা কি মুছে গেছে.....? লগে লগে একটা টিশ্যু ভিজাইয়া আইন্যা আমার গালে মালিশ করতে লাগল.... (হায়রে নারী জাতি.... :( )

আমি শুধু কইলাম ...... দাগ না মোছা পযর্ন্ত বাসায় যাওয়া যাবে না....

এর পর আর কি হইব ... আনেক আদর কইরা খাওয়াইল....
অনেক্ষন বইস্যা থাকলাম....
তারপর আমারে নিয়া বাসার দিকে রউনা হইল....রাস্তায় আসার সময় গাড়িতে বইস্যা আমার শরীরের কি ভাবে যত্ন নিতে হইব তার উপর ১০০টা উপদেশ দিল....টাইম মত যেন খাওয়া দাওয়া করি... দুপুরে গোসল কইরা খাওনের পরে যেন একটু ঘুমাই... রাতে তারাতারি যেন শুইয়া পরি...ইত্যদি হাবিজাবি......
তার পর বাসার নিচে নামাইয়া দিয়া বাসায় গেল গা.....

ওই বাসায় যাইতে যাইতে একটু পরে পরে রাস্তায় গাড়িতে বইস্যা ফুন দেয় আর কান্দে.....
আমি মনে মনে কইলাম.... চড় তো আমি খাইছি... কান্দন তো আমর কথা, তুমি কান্দ ক্যান?... চড় মাইরা যে মানুষ নিজেই কান্দে, এইডা আগে জানতাম না.....



----------------------------------------------
পর্ব-১
পর্ব-২
Click This Link
পর্ব-৩
Click This Link
পর্ব-৪

(মনের কিছু দুক্ষের কথা কইতাছি.... কেউ কোন বাজে মন্তব্য করবেন না...যন্ত্রনা কিভাবে শুরু হইছে আইজ তার বয়ান দিমু....)
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৪
৩২টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×