বাংলাদেশে অর্থনীতি যেভাবে চলছে তাতে নিশ্চিত বলা যায়, আগামী বছর অর্থনীতির নোবেল পুরষ্কার বাংলাদেশে আসছেই। এতদিন আমরা জেনেছি যে, অর্থনীতির সূত্র মতে বাজারে কোন জিনিষের দাম নির্ভর করে মূলত: চাহিদা ও যোগানের উপর। এর সাথে আরো কিছু নিয়ামক থাকলেও সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকে চাহিদা ও যোগানের।
বাংলাদেশে আমরা এখন কি দেখছি? বাজারে পণ্যের কোন অভাব নাই, উৎপাদনের কোন ঘাটতি নাই, তার পরও জিনিষের দাম বেড়ে চলেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে ক্রেতার চাহিদা নয়, বিক্রেতার মুনাফার চাহিদা। সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় হলো যে, এই পরিস্থিতি সাময়িক হতে পারে নানা কারণে। সেটার ব্যাখ্যা অর্থনীতি দিতে পারে। কিন্তু বছরের পর বছর এই অবস্থা বজায় থাকাটা নিশ্চিত করেই নতুন কোন অর্থনীতির সূত্রের কল্যানে।
তাই আমার দৃঢ় ধারণা, সরকার যদি তাদের এই অর্জনের সপক্ষে যথেষ্ট প্রচারণা চালাতে পারে এবং এর দিকে বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতিবিদদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়, নিশ্চিতভাবেই আগামী বছর অর্থনীতির নোবেল পুরষ্কার বাংলাদেশে আসবে। তবে একটু ছোট ঝামেলা হতে পারে এর কৃতিত্ব নিয়ে। এই কৃতিত্বের দাবদার অনেকেই হতে পারেন - বানিজ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, এফবিসিসিআই সভাপতি প্রমুখ। তবে আমার বিশ্বাস, শেষ পর্যন্ত এদের সবার নিয়ন্ত্রক হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটা পেয়ে যেতে পারেন। এটা অবশ্য তাঁর প্রাপ্য। ইউনুস সাহেব, আমর্ত্য সেন, এরা একটা ডক্টরেট করে নোবেল পেয়ে যায়, আর আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এতগুলো ডক্টরেট করেও সেটা না পেলে বড়ই বেমানান হয়ে যায়। তাই না ?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




