somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মা কিংবা বাবা দিবস নিয়ে আমার ভাবনা

১০ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



"মা" পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট শব্দ কিন্তু সবচেয়ে বড় অনুভুতি। মায়েরা অতি সাধারণ কিন্তু অসাধারণ। আর বাবা ? বাবারা তো সুপারম্যান । সন্তান ও সংসারের জন্য তারা কি পরিমান ত্যাগ স্বীকার করেন কি পরিমান কষ্ট করেন তার অনেকাংশই আমরা জানিনা কারন বাবারা জানতে দেননা । মা বাবা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার ।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে আসলে কোন দিবস টিবস পছন্দ করতাম না তবে এই সকল দিবস নিয়ে আজ একটা বিষয় অনুধাবন করলাম । বিশেষ করে মা কিংবা বাবা দিবস নিয়ে ।

আগে আমি এসব করতাম না কিন্তু তিন চার বছর আগে থেকে প্রতি বছর মা আর বাবা দিবসে আমার মা বাবার জন্য খুব ছোট হলেও কিছু গিফট আনি আর উইশ করি, ফেসবুকে একটা ছবি দেই কিছু পোষ্ট দেই। আমি দেখলাম এতে তাঁরা খুব খুশী হয় । বাবা আবার ফেসবুকে কে কি দিলো এগুলো নিয়ে মা এর সাথে গল্প করে । আমি কিছু দিলেও সেইসব দেখায় মা কে । কেউ ফোন দিলে তার কাছেও খুব খুশী মনে গর্ব বোধ করে গল্পও করে আমার মেয়ে আজ আমার জন্য গিফট এনেছে । আমি লুকিয়ে দেখি তাঁদের সেই মুহূর্ত, মুখের হাসি । অনেক ভালো লাগে আমার কাছে ।

আমাদের কাছে এসব কিছুনা কারন আমরা সারাক্ষণ এগুলো নিয়েই পরে থাকি কিন্তু তাঁদের কাছে এসব আনন্দের মনে হয় কারন বয়স হলে বাবা মাও বাচ্চাদের মতন হয়ে যায় । জীবনের এই ছোট খাটো বিষয়গুলো কিন্তু অনেক বেশীই আনন্দদায়ক যার জন্য কোন টাকা পয়সার দরকার হয়না। দর‍কার শুধু একটু কেয়ার আর ভালোবাসার। আপনজনদের মুখে হাসি পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো লাগার কিছু তা অনেকেই ফিল করিনা।

অনান্য বার ছোট খাটো কিছু হলেও অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে মা এর জন্য কিছু নিয়ে আসি। এবার সেই উপায় নেই কিন্তু তাতে কি ? মা কে খুশী করতে কি আর বেশী কিছু লাগে ? তাই মা দিবসে আমার মাকে একটু খুশী দেবার জন্য করে ফেললাম চিকেন বিরিয়ানি । সবসময়তো মা রেঁধে খাওয়ায় আর মা দিবসে মা এর রেসিপি ফলো করে আমার মাদারস ডে স্পেশিয়াল চিকেন বিরিয়ানি :-B






যারা এসব দিবস টিবস নিয়ে উঠে পরে লেগে যান দিবস বলে কিছু নেই তাঁদের উদ্দেশ্যে বলছি । মা বাবাকে ভালোবাসার জন্য আসলে কোন দিবসের দরকার নেই এটা ঠিক । প্রতিদিনই মা বাবা কে ভালোবাসি। কিন্তু বড় হলে নিজেদের কাজকর্ম নিয়ে সবাই এত বেশী বিজি হয়ে যাই যে মা বাবাকে ভালোবাসলেও তাঁদের সময় দেওয়া হয়না । এই একটা দিনে একটু বিশেষ কিছু করে যদি নিজের বাবা মা কে স্পেশিয়াল ফিল করানো যায় তাতে ক্ষতি কি ?
তবে সেটা যেন অবশ্যই লোক দেখানো বা শুধুমাত্র সোশিয়াল মিডিয়ায় দেখানোর জন্য না হয় ।

মা বাবা দিবসের মত অন্যান্য দিবসেরও একই উদ্দেশ্য । জাস্ট সেই দিবসের মানুষ টাকে একটু স্পেশিয়াল ফিল করানো । আর তাতে ক্ষতি কিছুই নেই । বরং এতে সম্পর্ক গুলো আরও মধুর হয় ।

মাদারস ডে ফাডারস ডে কি তা আপনার মা বাবার বোঝার দরকার নেই । শুধু একটু জড়িয়ে ধরে আদর করে উইশ করে দিন বা দূরে থাকলে ফোন দিন । পারলে খুব সামান্য হলেও একটা কিছু গিফট দিন। দেখবেন অনেক অনেক খুশী হয়েছেন। মা বাবারা সবসময় আদর করেই যান কিন্তু তাদেরও কিন্তু সন্তানের আদর চাই। এটেনশন চাই । আর ভালোবাসা কিন্তু এক্সপ্রেসও করা চাই । আপনি হয়তো কাউকে মনে মনে অনেক বেশীই কেয়ার করে যান ভালোবেসে যান কিন্তু সেই মানুষটারও তো এই ভালোবাসা ফিল করার আনন্দ পাওয়া উচিত । আপনি যে তাঁকে ভালোবাসেন এটা ভেবে আনন্দ আর খুশী সেই মানুষটার জন্যও অনেক কিছু । তাই ভালোবাসা এক্সপ্রেস করুন ।

যাদের মা কিংবা বাবা নেই তারাও কষ্ট পাবেন না। তিনি আল্লাহর কাছেই আছেন যেখানে আমরা সবাই-ই একদিন যাবো। তার জন্য বেশী বেশী দোয়া করবেন। এটাই কিন্ত তার সবচেয়ে বেশী দরকার। মানুষ মারা গেলে সবাই তাকে ভুলে যাই কিন্তু সন্তান হিসেবে সবসময় বাবা মা এর জন্য দোয়া করা উচিত।

পৃথিবীর সব মা আর বাবার জন্য ভালোবাসা ও দোয়া।

হ্যাপি মাদারস ডে 8-|

(পোষ্ট এর উপরের ছবিটি আমার মা বাবার সাথে আমার পিচ্চি কালের ছবি :#) )
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৪২
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×