
— আজহার উদ্দিন
আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আমি আজ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার উৎস, আমার দুই কন্যা আরুশী আজহার আফজা ও আয়েশা আজহার রওজা সম্পর্কে কিছু বলতে চাই। তারা শুধু আমার সন্তানের পরিচয়ে নয়, তারা আমার জীবনের আশার আলো, আমার হৃদয়ের গভীরতম ভালোবাসা।
আমার বড় মেয়ে, আরুশী, একজন সাহসী, মেধাবী, এবং দায়িত্বশীল শিশু। তার চোখে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শেখার আকাঙ্ক্ষা ও জীবনকে নতুনভাবে দেখার জেদ আমি দেখি। সে পড়াশোনায় মনোযোগী এবং সমাজের জন্য ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখে। আমি মনে করি, প্রতিটি মেয়ের মধ্যেই এমন শক্তি লুকিয়ে থাকে, যা সঠিক পরিচর্যা ও ভালোবাসার মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হয়। আরুশী তার স্বপ্ন পূরণে অবিচল, আর সেই যাত্রায় আমি তার পাশে আছি।
ছোট মেয়ে আয়েশা আজহার রওজা একদমই আলাদা এক চরিত্র। তার প্রতিটি হাসি, খেলার ভঙ্গি, আর নিত্যনতুন কাণ্ড আমাকে জীবনের সাদামাটা গতি থেকে বের করে নিয়ে আসে। আয়েশা খুবই চঞ্চল, উদ্যমী, এবং সবসময় কিছু না কিছু আবিষ্কার করার চেষ্টা করে। তার সরলতা, মজার কাণ্ড-কারখানা আমাদের পুরো বাড়ি ভরিয়ে রাখে খুশিতে। সে তার স্নেহ ও আনন্দ দিয়ে আমাদের প্রতিদিনের জীবনকে আলোকিত করে।
আমার এই দুই কন্যা—আরুশী ও আয়েশা—আমার কাছে কেবল সন্তান নয়, বরং তারা সমাজের ভবিষ্যৎ। তাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সম্ভাবনাগুলো আমাকে প্রত্যেকদিন অনুপ্রাণিত করে। আমি চাই, তারা এমন একটি পৃথিবীতে বড় হোক যেখানে কন্যা শিশুরা সমান অধিকার পাবে, স্বপ্ন দেখতে এবং তা পূরণ করার সাহস পাবে।
আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, প্রতিটি কন্যার সমান সুযোগ, অধিকার, এবং সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, আমার সন্তানদের এমন একটি ভবিষ্যৎ উপহার দিতে, যেখানে তারা কোনো বাধা ছাড়াই তাদের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবে।
আমার কন্যারা আমার গর্ব, আমার পৃথিবী, এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আমি আজ, আগামীকাল এবং চিরকাল পাশে থাকবো।
এই আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবসে, আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি, প্রতিটি কন্যা শিশুর অধিকার রক্ষা করব, তাদের স্বপ্নগুলোকে পূর্ণতা দেওয়ার পথ তৈরি করব এবং সমাজে তাদের সঠিক স্থান নিশ্চিত করব।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৬:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




