মুনিয়া নামের মেয়েটার সাথে বিলাসের বিয়ে হয় অনেকটা পারিবারিক ভাবেই।
বয়স অতটা না হলেও হাল্কা ভুড়ির ওজন নিয়ে চলতে হয় বিলাসকে। প্রায় কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের মাঝে সেরকম সম্পর্ক তৈরি হয়নি।
কালো চেহারা ও ভুড়ি ওয়ালা ছেলেটাকে দেখলে অনেকটাই মেজাজ খারাপ হয়ে যায় মুনিয়ার।
সে যেরকম মানুষ চেয়েছিল তার ছিটেফোটাও নেই বিলাসের মাঝে।
মাঝে মাঝে রাত করে বাসায় আসে বিলাস। তারপর ছোট ছোট ঝগড়া আর শাসনের মাঝ দিয়ে সময় কাটে বিলাসের।
রাতে চা খাওয়া বিলাসের অভ্যাস , মুনিয়াকে ঘুমের মাঝে রেখেও বিলাস রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে চা খেতে যেত।
মুনিয়া খুবই অপছন্দ করত এইটা ।
সব মিলিয়ে বিলাসের সম্পর্ক অতটা ভালো ছিল না।
একরাতে বিলাস বাসায় আসছে না, রাত প্রায় ১২ টা, রাত হলেও আজকে অন্তত আজকে একটু তারাতারি আসা উচিত ছিল।
আজ মুনিয়ার জন্মদিন, বিয়ের আগে প্রতিবার সে তার পরিবারের সাথে মজা করতো। আজ হয়তো তার পরিবার কাছে না থাকলেও হয়ত স্বামী নামক লোকটা তাকে অন্তত একটা উইশ করতে পারতো। কথাগুলি ভাবতেই মুনিয়া রেগে যাচ্ছে, কেমন একটা দ্বায়িত্ব জ্ঞানহীন মানুষের সাথে বসবাস করে সে।
রাত ১২:০২ এ হঠাৎ দরজায় টোকা পড়লো, মুনিয়া বুঝলো বিলাসের আগমন।
দরজা খুলে বেরিয়ে এল, সে কাউকে দেখতে পেল না।আবার সে ঘরে ঢুকতে যাবে, সে মুহুর্তে কে যেন পিছন থেকে চোখ ধরে ফেললো।
তারপর ২৫ সেকেন্ডের নিরবতা।
জোর করে হাত ছুটাতেই দেখলো, ওর ভাই !!!! অনেকটা অবাক হয়ে সামনা তাকাতেই দেখলো ১ পাউন্ডের ছোট্ট একটা কেক হাতে নিয়ে মুনিয়ার মা, বাবা সামনে দাড়িয়ে আছে। তাদের পিছনে দারানো সেই ভুড়িওয়ালা বিভৎস ছেলেটা।
""তোমার জন্যে এর চেয়ে ভালো উপহার খুজে পেলাম না। """ বিলাস বললো,,,,
মুহুর্তেই মুনিয়ার চোখে অশ্রুমালা বের হয়ে এল, মুখে চলে আসলো এক অন্যরকম হাসি।
এটা না পাওয়ার মাঝে অসাধারন কিছু পাওয়ার হাসি। এটা অন্যরকম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার হাসি।
।
বি:দ্র: ইহা একটি অসমাপ্ত প্রেমের গল্প।
২৮.১০.২০১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


