অফিস থেকে দীর্ঘ পথ রিকশায় পাড়ি দিচ্ছি। রিকশার পার্টনারের সাথে কথা হচ্ছিল এলোমেলো। হঠাৎ তিনি বললেন, ঈদের সময় 4 কেজি গরুর মাংশ কিনেছিলাম। তারপর থেকে আর মাংশ চোখে দেখিনি।
চা খাচ্ছিলাম রাস্তার পাশের টঙে। দুপুর। এক ভদ্রলোক চাতে চুবিয়ে বিস্কিট খাচ্ছিলেন। গত তিনদিন যাবত তার দুপুরের এই খাবার। অনেক দূর থেকে অফিসে আসতে হয় বলে পথ খরচে শেষ হয়ে যায় ভাত খাবার টাকা।
বাসায় বুয়া দুই কেজি চাল ধার চাইলেন। তার স্বামী কাজ পাচ্ছে না গত এক সপ্তাহ যাবত। শুকনো মুখে বসে থাকে বাসের হেলপার। গত কয়েকদিন যাবত তার উপার্জন বন্ধ। কাজ করেও টাকা পাচ্ছে না রাজমিস্ত্রী। বাড়ীর মালিক ব্যাংকে যায় না ভয়ে।
থেথলে দেয়া মাথা নিয়ে পোস্টার করেছে জামাতে এসলামী 28 শে অক্টোবরের ঘটনার পরে। তা দেখে অনেকেই রাস্তায় বমি করেছে। এরপরে আওয়ামী লীগ আবার একই রকম বিভৎস পোস্টার করেছে। সেখানেও মানুষের বিভৎস ছবি শোভা পেয়েছে। আজকে দেখলাম আরো একটা পোস্টার ঢাকার রাস্তায়। সে পোস্টারে ঘিলু গড়িয়ে পড়ার দৃশ্য, অংগ প্রতংগ কর্তন করার রোমহর্ষক ছবি দেখে যেকেউ বমি করে দেবে নিঃসন্দেহে।
দেশটাকে আমি একদমই চিনতে পারছি না। এ এক ভিন্ন স্বদেশ। হাসান মোরশেদ, দুঃখিত, এ দেশ নিয়ে আমি গর্ব করতে পারছি না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



