-কিসের জন্য মারলে?
- লোকটি তেমন ভাল না। আমাদের বিরুদ্ধে লিখে।
- কি লিখে, কোথায় লিখে?
- কি জানি, তবে বস কইল আমাগো বিরুদ্ধে নাকি,ব্লগে লিখে।
- নিজে কি দেখছেন, কি এমন বিরুদ্ধে লিখে?
- আমি ভাই ব্লগ বুঝি না। বসে কইল, কামডা কইরা দিতে হইব, তাই কইরা দিলাম।
- একবার কি জানার ইচ্ছা হল না, আপনার হাতে একটা নিরাপরাধ লোক মারা গেল কিনা?
- দুর ভাই, বসের কথাই শেষ কথা। তারা কইছে,লোকটা বাজে কথা লিখে। তারে মারতে হবে। এটাই শেষ কথা।
=> এতক্ষন যা পড়লেন, তা কাল্পনিক কিন্তু বাস্তবে এমনই হয়। যে বা যারা মারে তারা জানে না, কেন মারছে, কি অপরাধ যাকে মারছে।
কতই না অদ্ভুত। চারপাশে শুধু শোনা যায়, লোকটা অনেক ধর্মের বিরুদ্ধে, সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্লগে লিখত। কখনো দেখেছেন সেই বিরুদ্ধের লেখা গুলো। আমার ব্লগ জীবনে দেখার সুযোগ হয় নি। আমার একান্ত মতামত, যদি কেউ লেখে তাহলে সেগুলি কেন প্রকাশ করা হয় না? সবার মাঝে ছরিয়ে দিয়ে, জানার সুযোগ করে দেয়া উচিত।
=> মেরে ফেললেই কি অন্য সবার কলম থেমে যাবে? একজন বিরুদ্ধে লিখছে, তার জন্য তাকে মারতে হবে, এটা কোথায় নিয়ম আছে? যদি কেউ লেখে পাপ করে, তার দায় ভার সে নিবে,কিন্তু তাকে মারার দায়িত্ব তে দিয়েছে?
=> আজকে অনন্ত বিজয় দাশ আততায়ীর হাথে নৃশংস ভাবে খুন হলেন। হয়তো দু থেকে তিন দিন এর রেশ থাকবে। নতুন কোন প্রসঙ্গ চলে আসবে। অতল সাগরের নীচে হারিয়ে যাবে সমস্ত আলোচনা।
একবার ভাবুন তো, কি এমন দোষ ছিল অনন্ত বিজয় দাশের, যার জন্য এমন শিক্ষিত এক তরতাজা মানুষকে খুন করে ফেলল।
=> প্রশ্নগুলো নিজের অন্তর আত্মাকে শান্তি দেবার জন্য করা। সঠিক উত্তর পাওয়া ভার। কখনো পাবেনও না। যার যায় সে বুঝে।
এমন হত্যাকান্ড আর কতকাল চলবে।
কলম কি থামবে মুক্তমনা লেখকদের? থামাতে কি বারবেন তাদের লেখনির ধারা।
প্রশ্ন, হত্যাকারীদের উদ্দেশ্যেঃ-