গতকাল ইউ ল্যাবের ঘটনা নিয়া একটি মন্তব্য করছিলাম।একজন লিখেছিল এত রাতে মেয়েরা বাহিরে কেন থাকবে তার পরিপেক্ষিতে।আমার মন্তব্য ছিল এ রকম আমাদের এখানে মেয়েরা রাতে কাজ শেষ করে বাস থেকে নেমে বাসায় ফিরে কেউ তো তাকে ধরেনা এবং অনেক সময় বুকের উপরের অংশ অনেক খোলা থাকে এটা নিয়েও কারো মাথা ব্যাথা নাই। কিন্তু মমিন মুসলমান/হিন্দুর দেশে রাতে একলা মেয়ে দেখলেই অনেকের জেগে উঠে কেন?মন্তব্যটি হুবাহু নয় তবে এই রকমই ছিল।সামু একটা মেইল পাঠিয়ে আমার মন্তব্য বাতিল করল।জানিনা সামুর সমস্যা কোথায় লাগল তাদের ও কি উত্তেজনা জাগে এই সব সামান্য কথায়।
সামুতে আমি দুই বছর হলেও অনিয়মিত।সামুর জন্মের অনেক আগে থেকেই ই-মেলা ব্লগে লেখা পড়তাম।অনিয়মিত ভাবে লিখতাম।কোনদিন মন্তব্য বাতিল করার মত ঘটনা ঘটেনি।কিন্তু আগে ঘটেনি বলে এখনও ঘটতে পারবে না তাও বলছি না। বলছি এই কারণে যে সামুতে প্রায় দেখি ব্লগ গুলোতে ব্যক্তি আক্রমন চলতে থাকে সামু তখন ঘুমায়। বরং ব্যক্তি আক্রমন কঠোর হস্তে দমন করা উচিত।ধরুন আসিফ মহিউদ্দিনের নাস্তিকতা নিয়ে পোষ্ট কেউ মন্তব্য করল ব্যাটা তুই একটা বেকুব নাস্তিক অথবা তুই তোর মায়ের সাথে এটা করতে পারবি অথবা রায়হান একটা ধর্মীয় লেখা লিখল কেউ তাকে বলল ব্যাটা তুই একটা বলদ ।এই ধরনের ব্যক্তি আক্রমন কোন ভাবেই গ্রহন যোগ্য নয়। ব্লগে কারো লেখার পক্ষে বিপক্ষে যোক্তিক কথা থাকতে পারে। লেখক কে ব্যক্তি আক্রমন কেন সহ্য করা হয়?
ব্যক্তি আক্রমন বলতে এখানে ব্লগার দের বুঝিয়েছি শুধু। কিত্নু কেউ যদি রাজনৈতিক,সামাজিক বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব নিয়ে কোন ব্লগে যোক্তিক আলোচনা করে তা কোন ভাবেই ব্যক্তি আক্রমনের পর্যায় পড়ে না। যেমন হাসিনা,খালেদা, ডঃইউনুস, মুজিব,জিয়া এদের নিয়ে আলোচনা সমালোচনা কোনভাবেই ব্যক্তিগত নয়।
পরিশেষে যে কারণে সামু আমার মন্তব্য বাতিল করেছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



