অবিশ্বাসীরা সাধারণত মৃত্যু পরবর্তী জীবনে বিশ্বাসী নয়।
তারা বলে, " কি? অস্থিতে ও ধূলাতে পরিণত হলেও কি আমরা নূতন সৃষ্টিরূপে উত্থিত হব?" [সূরা বণী ইসরাঈল; আয়াতঃ ৪৯]
অবিশ্বাসীরা এই প্রশ্ন করে যে পুনরুথ্থানের দিনে খন্ড খন্ড হয়ে যাওয়া হাড় সর্বস্ব মৃত মানুষগুলোকে কি উপায়ে শেষ বিচারের জন্য সনাক্ত করা হবে? সর্বশক্তিমান আল্লাহ উত্তর দিয়েছেন যে তিনি শুধু খন্ড খন্ড হয়ে যাওয়া অস্থিই নয় আঙ্গুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত পুণর্বিন্যস্ত করতে সক্ষম।
"মানুষ কি মনে করে যে, আমি তার অস্থিসমুহ একত্র করতে পারবো না? বস্তুত আমি তাদের অঙ্গুলির অগ্রভাগ পর্যন্ত পুণর্বিন্যস্ত করতে সক্ষম।" [সূরা কিয়ামত; আয়াতঃ ৩-৪]
কেন কোরআন শরীফে শেষ বিচারের দিন ব্যক্তি সনাক্তকরনে বিশেষভাবে
আঙ্গুলের অগ্রভাগের কথা বলে হলো?
স্যার ফ্রান্সিস গাল্টনের গবেষনার ভিত্তিতে ১৮৮০ সালে ব্যক্তি সনাক্তকরনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। পৃথিবীতে কোনো দুই জন ব্যক্তির ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্যাটার্ন একই রকম হয়না। এই কারণে সারা বিশ্ব জুড়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধী সনাক্তকরনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে।
১৪০০ বছর আগে ফিঙ্গারপ্রিন্টের এই ইউনিকনেসের কথা কে জানতো? অবশ্যই একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ জানতেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




