somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজতন্ত্র টিকে আছে গণতন্ত্রের মাধ্যমে 'ডিভাইড এন্ড রুল' প্রতিষ্ঠা করে

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আধুনিক গণতন্ত্রের জনক বলা হয় বৃটেনকে, কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন রাজতন্ত্রের ক্ষমতা কমানোর সেই তেরশ শতকের ম্যগনা কার্টা কিন্তু জনসাধারণের স্বার্থে তৈরী হয় নি, তা তৈরী হয়েছিল মধ্যস্বত্বভোগী ব্যারনদের এবং ধর্মীয় চার্চের স্বার্থে। তারপর অনেক শত বছর ধরে বাদানুবাদ, যুদ্ধবিগ্রহের মধ্য দিয়ে তাদের বর্তমানের দলভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু হয়। কল্পনা করতে পারি এখানে কোথাও কাজ করেছিল সূক্ষ্ম একটি বুদ্ধির খেলা। সেটি হল, “ডিভাইড এন্ড রুল”। এ বুদ্ধিটি ইংরেজরা ভারতবর্ষ ছেড়ে যাওয়ার আগেও ব্যবহার করেছে। বারশ বছর পাশাপাশি মিলেমিশে থেকেছে যে হিন্দু আর মুসলমান, সেখানে রায়ট হয়েছে কেবল মাত্র ইংরেজরা চলে যাওয়ার প্রাক্কালে। শেষমেশ ধর্মের ভিত্তিতে দুটো দেশ তৈরী করে দিয়ে গেছে তারা- যেন চিরকালের জন্য দুর্বল হয়ে থাকে স্বাধীনতা পেলেও। দেশের মানুষকে নির্বাচনের নামে কয়েকটি দলে ভাগ করে দেয়ায় সুবিধা হল যে বৃটেনের রাজা আজকের যুগেও তার অস্তিত্ব রাখতে পেরেছে, আগের দাপটে না হলেও, যদিও আধুনিক সমাজে রাজতন্ত্রের অস্তিত্ব থাকার কথা ছিল না। সেদেশের মানুষ জানে যে সরকারী আর বিরোধী দলের ঝগরা-মারামারিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠতে পারে, সেখানে রাজাই তাদের দেবে শান্তি, রাজাই হচ্ছে একতার শেষ সূত্র। এই সেদিনও অষ্ট্রেলিয়া সুযোগ পেয়েছিল ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়ার, সে এখনকার মত অর্ধ গোলক দূরের বৃটেনের রাজতন্ত্রের অধীনে থাকবে, না স্বাধীন হবে। যেখানে স্বাধীনতার আকাঙ্খা সারা পৃথিবীর মানুষের মজ্জাগত একটি চাহিদা, যেখানে আমরা লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্ত দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি, সেখানে অষ্ট্রেলিয়ার জনগণ ভোট দিয়ে অর্ধ গোলক দূরের বৃটেনের রাজতন্ত্রের পরাধীনতা বেছে নিল! তারা বুঝতে পেরেছে যে রাজতন্ত্র না থাকলে আধুনিক দলভিত্তিক গণতন্ত্রে তারাও তৃতীয় বিশ্বের মত ঝগরা-মারামরিতে লিপ্ত হয়ে তাদের সুন্দর জীবনটিকে নষ্ট করবে। তাই এ ঘটনাটি বিশেষ বিশ্লেষণের দাবী রাখে। এটি রাজতন্ত্রের সূক্ষ্ম বিজয়, জনস্বার্থের বিরুদ্ধে, এবং তার প্রবল হাতিয়ারটি হচ্ছে দলীয় নির্বাচনভিত্তিক গণতন্ত্র।
৯টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নীল নকশার অন্ধকার রাত

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৬


কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

লিখেছেন গ্রু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮



ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।

মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×