সাধারণত ১০ বছর বয়সের পর থেকেই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধক টিকা দেওয়া হয় বা নেয়া যায় । এটি মোট তিন ডোজ টিকা নিতে হয় । প্রথম ডোজের এক মাস পরে আপনাকে দ্বিতীয় ডোজ এবং প্রথম ডোজের ছয় মাস পর আপনাকে তৃতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে । টিকা গ্রহণের পাশাপাশি নিয়মিত পরীক্ষা করালে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের আক্রমণ হার অনেক কমিয়ে আনা যায় । ভাইরাস এইচপিভি ১৬ এইচপিভি ১৮ এইচপিভি ৬ এইচপিভি ১১ এর প্রতিরোধক টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে । আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এফডিএ নিয়মানুযায়ী ৯ থেকে ২৫ বছর বয়সে এই টিকা কার্যকর করা হয় । তবে এই টিকা গর্ভাবস্থায় ব্যবহারের কোন অনুমোদন পাওয়া যায়নি । ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সংঘটনের পর এই টিকা কিন্ত কোনো কাজে লাগবে না ।
তবে ঔষুধের প্রতিরোধকের চেয়ে আচরণগত প্রতিরোধকের দিকে বিজ্ঞানীরা বেশি গুরুত্বের কথা বলেছেন । যেমনঃ বাল্য বিবাহ রোধ করতে হবে । অধিক সন্তান প্রসব ও ধুমপান করা এমনকি পরোক্ষ ধূমপানের স্বীকার হওয়া পানের সাথে জর্দা, সাদা পাতা, দাঁতের গোড়ায় গুল তামাকের গুঁড়া রাখা ইত্যাদি কারণে এই ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবনাও অনেক বেশি । আর সুষম খাবার গ্রহণ দৈনিক তিন চারবার ফল শাকসব্জি তরকারি খাওয়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন এবং সামাজিক অনুশাসন মান্য করা এই রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে । এর পাশাপাশি নারীদের নিয়মিত পেপস স্মেয়ার টেস্টে অংশ নেওয়া উচিত তাতে নারীর রোগ আগেভাগে সনাক্ত করা সম্ভব হবে ।
তথ্যঃ জরায়ুমুখের ক্যানসার ও এই রোগের প্রতিরোধ, পারভীন শাহিদা আখতার অধ্যাপক, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:৫৪