কোথা থেকে শুরু করব এ লেখা বলতে পারছিনা। যাক অনিয়ম দিয়েই শুরু করি। আজ ২০ এ আগস্ট শুক্রবার ছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯ সালের(০৮-০৯ শিক্ষা বর্ষের) এলএলবি (ফাইনাল )পরীক্ষা। নতুন সিলেবাসের প্রথম ব্যাচের পরীক্ষা ছিল এটি। পাশাপাশি একই দিনে পুরাতন সিলাবাসের ছেলেরাও ভিন্ন বিষয়ে ভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে।
আজ ছিল নতুন সিলেবাসের দেওয়ানী কার্যবিধির পরীক্ষা। কিন্তু যিনি এ প্রশ্নটি প্রনয়ন করেছেন তিনি মনে হয় নিজেই কোনো আইনের ছাত্র ছিলেন না।
প্রশ্ন প্রনয়ন কর্তা প্রশ্নের এক জায়গায় উল্লেখ করেছেন ১৯৯৮ সালে দেওয়ানী আইনের কার্যধারা কেন ধারা,আদেশ ও নিয়মে বিভক্ত।
যে ছাগল ১৯০৮ সালে দেওয়ানী কার্যবিধি কে ১৯৯৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধি বলে তাকে আমি কি বলতে পারি। আইনের নামটা যে ঠিক করে প্রশ্নপত্রে উল্লেখ করতে পারে না । তাকে দিয়ে প্রশ্ন করানো হল।
তাছাড়া প্রত্যেক এলএলবি পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে ৬ টি করে প্রশ্নের উত্তর দেয়ার নিয়ম থাকলেও এবার প্রশ্নে পাঁচটি উত্তর দিতে বলা হয়েছে।
অর্থাৎ প্রতিটি প্রশ্নে মান ২০ করে পড়েছে। কিন্তু এমন অনেক প্রশ্ন এসেছে যেগুলো ২০ নম্বরের মত লেখার প্রশ্ন নয়।
এমনিতেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি পরীক্ষায় নম্বর কম দেয়ার প্রবনতা আছে যার ফলে বিগত কয়েক বছরে কেউ প্রথম শ্রেনী পায়নি। আর দ্বিতীয় বিভাগ হচ্ছে গুটি কতেক। তাই পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর লেখলে নম্বর আরো কম উঠবে এটাই স্বাভাবিক। এ আশঙ্কা করছে বেশির ভাগ ছাত্র ছাত্রীরা।
অনেকটা খামখেয়ালীর মধ্যে দিয়ে এ রকম প্রশ্ন তৈরী করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় । যিনি প্রশ্ন করেছেন তিনি অদক্ষ, মনে হয় বিগত বছরে কয়টি করে প্রশ্নের উত্তর ছাত্রদের লিখেতে হয় সেগুলো তিনি দেখেননি অথবা জানেন না।
তত্ত্ব সরকারের সময় একই কলেজে প্রিলিমিনিরি পরীক্ষা হয়েছিল তখন এরকম ভয়াবহ, বিশৃঙ্থলা, ও জালিয়াতির মূলক চিত্র একই কলেজে দেখি নাই। তাছাড়া প্রশ্নপত্রে এরকম ভুল ও রীতি বিরুদ্ধ নীতি বিগত ১০ বছরে হয়েছিল কিনা জানি না।
এবার আসি জালিয়াতির কথা বলতে। উল্লেখ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা অঞ্চলের যে সকল ল' কলেজ আছে সেগুলোর সব , মীরপুরের সরকারি বাংলা কলেজে পরীক্ষা দেবার জন্য সীট পড়ে।
কিন্ত আজ পরীক্ষা হলে এমন অনেক পরীক্ষার্থী ছিল যারা পরীক্ষার হলে রেজিষ্ট্রেশন কার্ডের ফোটোকপি, প্রবেশ পত্রের ফোটো কপি নিয়ে পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দিচ্ছে। হলে কর্তব্য রত শিক্ষকদের বিষয়টি নজরে পড়লেও তারা এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিলেন না। এভাবে বহু পরীক্ষা কক্ষে দেখা গেছে একজনের পরীক্ষা আরেকজনকে দিয়ে দিতে।
তার মধ্যে কিছু অস্ত্রবাজ পরীক্ষার হলে কোমোরে অস্ত্র নিয়ে পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দিয়েছে। কিছু কিছু কক্ষে পরীক্ষার্থী রা প্রকাশ্যে নকল করে পরীক্ষা দিচ্ছে অথচ তাদেরকে হল থেকে বহিস্কার করছে না। পরীক্ষায় কর্তব্যরত শিক্ষক বৃন্দ।