somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি সেই পবিত্র পরিখা

২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


উৰসর্গ :

প্রিয় শূকর সমীপেষু;

প্রতিদিনই তো ফেরেন
একদিন না হয় ভুলে গেলেন বাড়ি ফেরার পথ
প্রাতিষ্ঠানিক দরোজার বাইরে রোদের উৎসব,শৈশবের বাঁশি

কতোদিন বাড়ি ফিরি না আমি!

০১

তোমাকে ভালোবাসি বললেই তুমি কসাই হয়ে ওঠো। সব্জীবাজারের নিয়ম ভঙ্গ করে তুমি ছানবিন করো পবিত্র পরিখা। কোনো একদিন অনন্ত অন্ধকারের নিচে দাড়িয়ে একমুঠো খই ছড়িয়েছিলো আমার দাদীআম্মা। সেই থেকে অন্ধ নক্ষত্রগুলো জ্বলে যাচ্ছে আপন নিয়মে। দ্যাখো, আমাদের ডাইনিং টেবিলে হেসে উঠছে পার্সলে লীফ; কচি কচি প্রজাপতি

পরমাঙ্কের ভাঁজ হতে বেরিয়ে এসো প্রিয় শূকর আমার। মহাকালের পাঁকে চলো আরো একবার আকণ্ঠ ডুবে যাই।

তুমি মোটেও আমার অন্যসব প্রেমিকদের মতো নও। তোমার শরীর থেকে সোঁদা মাটির গন্ধ ভেসে আসে কেন বলোতো! গর্ভবতী নারীদের মতো তখন আমার মাটি খাওয়ার ইচ্ছে জাগে।
জেনে রেখো, আমি সেই শবরীবালা, হাড়ের মন্ত্রে বশ করি বন্য শূকর...


০২
এমন মাগুরগুঁড়িয়ানা দিনে তোমার শ্বাসকষ্ট হয়
তোমার শ্বাসকষ্ট হয় বলে আমাদের তাবৎ যুদ্ধবিমানের মন খারাপ হয়। তারা ঠিকমতো চক্কর দিতে পারে না। নগর নারায়ণগঞ্জের আম্মাজানের দেহরক্ষীরা ছটফট করে। তারা আম্মাজানকে একমুহূর্ত চোখের আড়াল করতে চায় না। তুমি এসব কিছুই দেখতে পাও না। তুমি মগ্ন তোমার নিউজরুমে। একটা ব্রেকিং তোমার দরকার। অথচ আমি ব্রেকিং নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি তো আছিই। খুলনার সরকারী সদনের নৈশ প্রহরী তিন তিনটি শিশুকে ধর্ষণ করেছে। মামলা হয়নি বলে তোমার কাছে তা গুরুত্ব পায় না। সিঙ্গেল কলাম ছেপে দাও। শিশুগুলোর মা বাবা নেই বলে কি তাদের ধর্ষক বেঁচে যাবে, তীর্থঙ্কর!

কতো আজেবাজে বিষয়কে ইস্যু করো তোমরা। তোমাদের ইশারায় সব টালমাটাল হয়ে যায়

ওই অনাথ শিশুগুলোর কী দোষ তীর্থঙ্কর! কেন কেঁপে ওঠে না আল্লাহর আরশ!

তুমি ডাকো, মোনা বাইরে এসো।
জানি, মফস্বল সংবাদদাতা বলে আমি কোনোদিনই তোমার নিউজরুমে ঢুকতে পারবো না।

০৩
জ্যোৎস্নার ভেতর কর্তিত প্রজ্ঞার পতন। কোথাও কোনো দর্শন-চিহ্ন নেই। তার ভ্রমণবিলাসী কণ্ঠস্বর আমায় বিহ্বল করে। ঘুমাতে যাওয়ার আগেও তার অনির্বাণ কথামালা ডেকেছিল। ডেকেছিল বৃক্ষের পাণ্ডুলিপি হাওয়ায় হাওয়ায়। অথচ হৃদকৌটায় রোগমুক্তির শল্যবিদ্যা গোপন রাখে সে। কোথাও কিছু অবশিষ্ট নেই। তবু, একবার বিন্যস্ত হতে চাই। বিপরীত অন্তর ধুয়ে ফিরে এসো। তুমিই তো সেই প্রজ্ঞাবান পাখি। উঁচু হতে নেমে এসো মর্ত্যে পুনর্বার। অতঃপর জেনে রাখো, কুয়াশা পাঠচক্রে সব বৃক্ষের ডাকে সাড়া জাগে না।

০৪
কতোকাল প্রতীক্ষায় আছি। প্রাণটুকু ধরে আছি হাতের মুঠোয়। মনোবিকলন কেন্দ্রের পথটুকু চিনে নাও। গলার রশিটা ক্রমশ গেঁথে যাচ্ছে তীর্থঙ্কর! তুমি ছুঁয়ে দিলেই তো নিশ্চিন্তে মরে যাই...

০৫
কাশিমপুর কারাগারে দমবন্ধ হয়ে আসছে। শুনলাম আগামীমাসে চালু হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড়ো কারাগার। ভাবছি কেরানিগঞ্জেই শিফট হয়ে যাবো। সেখানে উন্নতজাতের গোলাপ ফোটাবো। অথচ তুমি বলো, কোথাও যেতে হবে না, আমাদের প্রতিটি বাড়ি একেকটি কারাগার হয়ে উঠছে।

০৬
পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দময় স্মৃতি :
আব্বা টিউবওয়েলের পানি ঘটিতে ভরে গায়ে ঢালছেন। আর সাত বছরের আমি আব্বাকে জড়িয়ে আছি। আমার গায়ে শান্তির ধারা গড়িয়ে পড়ছে।

তুমি কি জানো, আমার বাবার ছিল উজ্জ্বল নীরবতা!
তিনি জানতেন, কী করে ভালোবেসে নীরব থাকতে হয়।

০৭
একেকটা পথ পরিক্রমণ শেষে, পথের শেষে এসে দাঁড়াই। অতঃপর পাঠ করি তোমার বাণী। হে আমার প্রিয়তম, আমি তোমার একান্ত দর্শন প্রত্যাশী। হায় , ক্যাসিনো ঘড়ি ও আমাদের রেড লিফ সময় ...

লাবণ্য প্রভা
২০১৯/ মার্চ
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:১৭
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×