দেশের পোশাক শিল্পে নৈরাজ্য চলছে। গত দু’দিনে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক এবং পুলিশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় দিনের মতো পুলিশ ও গার্মেন্ট শ্রমিকদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিতে ৩ শ্রমিক নিহত হয়েছে। এ পর্যায়ে সিইপিজেডের সব কারখানা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। রাজধানী ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় গার্মেন্ট শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক পোশাক শ্রমিক।
বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রীয় আয়ের প্রধান খাত তৈরী পোষাক শিল্পের অস্থিরতা সবার দৃষ্টি কেড়েছে । এমন ঘটনা নতুন না হলেও বাজেট পুর্ব সময়ে তা চিন্তারই বটে । আর এমন সময়ে অস্থিরতা নিরসনে সকল ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করবে মালিক পক্ষ এটাই স্বাভাবিক। কেননা মে দিবসের আলোচনা সভার মঞ্চে ঝড় তারাই বেশী তোলেন শ্রমিক দের থেকে । তখন তারা শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় যে বিশাল বক্তৃতা করেন তার কিছুটা বাস্তবায়ন করলেই সমস্যার কিছু মাত্র সমাধানে আসা সম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ে শ্রমিক অসন্তোষের কারন নূন্যতম মজুরী ৫০০০ টাকার দাবী। তা না দিলে অন্তত তাদের জন্য যে টুকু ঠিক করা হয়েছে তা তো পরিশোধ করা জরুরী । বর্তমান বাজারের সাথে তাদের এমন দাবী অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দেবার মত নয় আর এর দাবীতে বিক্ষোভ করা মে দিবসের অনুপ্রেরনাও বলা যেতে পারে । যে বক্তারা মে দিবসের আলোচনা মঞ্চে এর গুনগান গান তাদের দ্বারা শ্রমিক বিক্ষোবের প্রতিকার হিসাবে তাদের সামনে কারখানা বন্ধ করে দিয়ে ভয় দেখিয়ে সমস্যা ধামা চাপা দেয় কখনও আশা করা যায় না। এমন কাজ তো বৃটিশের নীলকদের ই মানায় । যারা জমি বিনষ্ট করে নীল চাষ করিয়ে বাংলার কৃষকদের রক্ত চুষে খেয়েছে। তারা না পেয়েছে তাদের শ্রমের দাম হারিয়েছে জমির উর্বরতা। আর ইংরেজরা নিয়ে গেছে তাদের শ্রমের ফসল ঘটিয়েছে শিলপ বিপ্লব।
তাহলে আমরা কি আমাদের বিজিএমইএ কে সেই নীলকদের সাথেই তুলনা করবো ? যারা শুষে নিচ্ছে শ্রম ও তার ফসল ... । দেখাচ্ছে ভয় কারখানা বন্ধের আর দিচ্ছে সিদ্ধান্ত সমাধানের বদলে। তাদের প্রতি আহবান ' সিদ্ধান্ত নয় সমাধানে আসুন'।
আর এর পরে আর কথা থাকবে না কেননা আমরা তো জানিই যত দোষ সব নন্দ ঘোষের ই থাকবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




