সপ্নে দেখতাছিলাম..
আই.সি.সি তাদের ২০১১ বিশ্বকাপের নিরাপত্তা নিয়া ত্রিদেশীয় বৈঠক আহ্ববান করেছে.. সেখানে উপস্থিত ভারত, শ্রীলঙ্কা আর বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা তাদের দেশের নিরাপত্তারক্ষীদের গুনাগুন বলছিল.. প্রথমেই ভারত বলে উঠল- কোন চিন্তা করবেন না স্যার.. আমাদের আছে অতি শক্তিশালী বর্ডার গার্ড.. স্টেডিয়ামের তারকাটা তো দুরে থাক, যদি কেউ বড়ই গাছের কাটাও পার হইতে যায়.. নির্ঘাত গুলি..। তারপর গাছেই ঝুলাইয়া রাখবো বেটারে ৭ ঘন্টা। শেষে লাশ নামায়া আইনা দেখার চেষ্ঠা করবো দোষ টা কি ছিল..? থাকলে ভালো.. না থাকলেও সমস্যা নাই..। চালায়া দিতে পারবো.. প্র্যাকটিস আসে।
শ্রীলংকা প্রতিনিধি বলল- আমরা দেখমু বিদ্রোহের ব্যাপার টা.. যখন তখন আউট-নট আউট নিয়া যদি কেউ বিদ্রোহ করে, তার দফা রফা..। আম্পায়ার কল ইস কল.. নো ডাউট..। এইবার ক্রিকেটে থার্ড আম্পায়ার লাগবো না..,।
সবশেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধি আই.সি.সি রে জিগাইলো- স্যার আমাদের এইবার কয় মাঠে খেলা হইবো..? যে কয়টাই হোক.. মাঠের ঘাস কাটা নিয়া আপনার কোন টেনসন নাই..। এই টা আমার উপর দিয়া দেন..। আমার দেশের পুলিশ সারা বছর এই কামেই অভ্যস্ত।
মিটিং না ভাঙতেই ঘুম ভাইঙ্গা গেলো. সিরিয়সলি ভাইবা দেখলাম, তাছাড়া আর কোন উপায় নাই.. এইডা ছাড়া তাহাদের দ্বারা ইহ জগতে আর কোন কাজ হয় তো করানো সম্ভব হবে না..
সপ্ন মানুষ এমনি এমনি দেখে না..। আগের দিনের কামের কিছু গুতাগুতিও এর একটা কারন। মহান একুশের সকাল থাইকা শুরু কইরা রাত পর্যন্ত বই মেলায় প্রাথমিক চিকিৎসকের কাজ নিয়া বসছিলাম। নিরাপত্তা গেইটের পাশেই পোস্ট থাকায়, গুরুত্বপূর্ন একটা দিন কাটাইতে পারছি আমার আপনার সেবক পুলিশ ভাই ও বোন দের সাথে..।
ঘটনা বাড়াবো না.. সারা দিন যাই ঘটুক, বিকাল বেলা আমাদের হাতে পড়ে একজন ছিনতাই এর শিকার মানুষ। ভদ্রলোক লালমনিরহাট থেকে ব্যবসায়ীক কাজে ঢাকায় এসে অঙ্গান পার্টির পিঠা খেয়ে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে থাকে..এক পর্যায়ে পুরো পুরি সঙ্গাহীন হয়ে পরে। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যখন তার অবস্থা আসঙ্কাজনক বোধ করলাম তখনই পাশে কর্তব্যরত পুলিশ কে বিষয়টি জানালাম। সোলজার থেকে হাবিলদার, তার থেকে পদ না জানা আরেক কর্মকর্তা, তার থেকে আরো বড় কারো কাছে আর সবশেষে সিভিল পোষাক পরা সবচেয়ে বড় অফিসারের কাছে জানিয়ে উত্তর পেলাম- আমরা কি করতে পারি..???!! আপনারা দেখেন.. না চাইলে ঢমেক পাঠায়া দেন.. জানালাম আমাদের ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা নাই বলে উঠল- জানি না.. জানি না.. আমার কাছে কি..?? যত্তোসব..
সারা দিন এইখানে ওইখানে খারায়া থাইকা শেষ বেলায় মেলার লাইন ঠিক করাটাই ছিল তাদের একমাত্র জানা কাজ। এই কাজ করতে যাইয়া পাবলিকরে স্বভাব সুলভ ধাওয়াও দিছে কয়েক বার।
বুঝে নিলাম তারা এইখানে ৫০/৬০ জন পুলিশ সবাই ঘাস কাটতে আসছে..!! তারা কিছুই জানে না। এমন কি মেলা প্রাংগনে হাসপাতালের ঠিকানাও জানে না। জানে না, যেই নিরাপত্তা দিতে তারা আসছে তার অভাবে মরতে বসা সাধারন মানুষের জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনীয়তা। জানে শুধুই ঘাস কাটতে..
তাই আহ্বান মাননীয় সরকারের কাছে.. কিছু ঘাস-ই আইনা দেন.. অন্তত বেতনটা হালাল করুক..

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




