তদন্ত সংস্থা সিআইডি মামলার তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারেনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। ইউ টিউবেও পাওয়া যায়নি দরবার হল থেকে উদ্ধার করা সিসিটিভিতে ধারণকৃত ১০ ঘণ্টার ভিডিও ফুটেজ। ফলে বিডিআর বিদ্রোহের নেপথ্য কারণ ও উদ্দেশ্য নিয়ে আজও হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। শুধু তাই নয় সেনাবাহীনির উর্ধতন কর্মকর্তারাও মেনে নেন নি বানানো গাল গপ্প, ১ মার্চ ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সেনা কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিডিআর বিদ্রোহের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ সময় তারা বিডিআর বিদ্রোহ দমনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সরকারের অন্যদের তত্পরতার কঠোর সমালোচনা করেন। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান উপস্থিত সেনা সদস্যরা। তারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরুদ্ধে ‘নো নো নেভার’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ রাইফেলস—বিডিআর প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই ছিল একটি ঐতিহ্যবাহী সুশৃংখল বাহিনী। দেশের সীমান্ত রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী এই বাহিনীর ঐতিহ্য ২১৪ বছরের। মাত্র একদিনের মর্মান্তিক ট্রাজিডিতে তাদের প্রায় সোয়া দুই শতাব্দীর ঐতিহ্য ধুলায় মিশে যায়। সেই সাথে মিশে যায় তার নাম টিও..। আর মুছে দেবার চেষ্ঠা চলছে পিলখানার নামও।
আর আজকের গোটা শতেক দিন পার করে আমরা বেশ আরামেই দিন কাটাচ্ছি.. কারও মনে একবারও আর উকি দেয় না ৫৭ জন স্কলারের অনুপস্থিতি। কেউ অভাব বোধ করে না আজ সেই হারানো মেধা গুলোর । তবে বাবা, স্বামী হারানোর ক্ষতিপুরন হিসাবে কিছু কাগজি নোট তুলে দেয়ার হাস্যকর দৃশ্য মাঝে মাঝেই প্রকাশ করা হয় মিডিয়াতে। প্রকাশিত হয় না রক্তাক্ত সেই বিক্ষত মুখ গুলোর ছবি।
হয়তো আর কিছু দিন পর অকপটেই বলবে সবাই : পিলখানা..?? সে তো ভুইল্লাই গেছি...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




