তখন চাকুরী সুবাদে টাঙ্গাইল র্ছিলাম। আত্মীয় আসার সুবাদে আমার বাসায় ভাল এবং বাহারী রান্না হয়েছিল। আমার বাসায় যিনি পার্ট টাইম কাজ করতেন তার ৮ বছরের ছোট ছেলেটিকে উক্তদিন নিয়ে আসতে বলেছিলাম। কাজ শেষ হলে তাকে খাবারগুলো একটি টিফিন বক্সে দিয়ে দিলাম তার ঘরের সদস্যদের জন্য এবং তাকে ও তার ছেলেটিকে খেতে দিলাম। খাচ্ছে আর মা ছেলেতে গল্প করছেঃ
মাঃ খাওন কেমন হইছে বাজান?
ছেলেঃ আগে খাইয়্যা নেই , তারপর কমু
মাঃ ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও তোগো জন্নি এমন বালো খাওন খাওয়াইতে পারি না (তার প্লেটের মাছ, মাংস ছেলের পাতে তুলে দেয়)
ছেলেঃ মা তুই কতা কওয়া থামা, আমি আগে খাইয়া নেই
খাওয়া শেষ হলে ছেলেটি বলছে,,,মা ও মা খাইছি পেট ভইরা, তয় তুই যখন রান্না করিস তখন একটা বাসনা কয়, এহানে তা পাই নাই। তার মা কাজে ব্যাস্ত, তাই আবার বলে ও মা –মারে তোর রান্ধনই সবচাইতে স্বাদ, তুই কত স্বাদ কইরা ক্ষীর রান্না করিস, মাছ রান্না করিস, ঐযে গোসত রান্না করছিলি একদিন, কত স্বাদ কইরা খাইছিলাম।
মাঃ ছেলেকে আদর করে বলে, আমরা তো এত পদের রান্না রান্দি না বাজান, এত মসলাও দেই না, তাই স্বাদও তেমন হয় না
ছেলেঃ তারপরও স্বাদ হয়
আমার মা আর আমি মন দিয়ে শনুছিলাম মা আর ছেলের কথাগুলো। আমার মা আমাকে বললো, দেখ লায়লা তোমার কাছে তোমার মায়ের রান্না যেমন সবচেয়ে মজা, ঠিক তেমনি সব সন্তানের কাছেই তার মায়ের রান্না সব চেয়ে মজা। আমার মা কাছে যেয়ে ছেলেটিকে কোলে তুলে আদর করলো।
আজ মা দিবস। সবার মা সবার কাছেই খুব প্রিয় -যেমনটি আমার মা আমার কাছে খুবই প্রিয়।
মা যে তার প্রতিটি সন্তানের জন্য কত কষ্ট করেন, কত ভালবাসে, কত আগলে রাখেন,,,আরো কত কি তা বলে শেষ করা যাবে না।
কোন মাকেই যেন বৃদ্ধ বয়সে বৃদ্ধনিবাসে যেতে না হয়। কোন মাকেই যেন অবহেলার শিকার হতে না হয়।
বিশ্বের সকল মাকে ভালবাসা আর শ্রদ্ধাসহ ছালাম।